1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘সব ঠিক আছে, ফাঁসি হয়নি’’

১৬ জুলাই ২০১৩

ফেসবুক, ব্লগ জুড়ে এখন আলোচনা একটাই – একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গোলাম আযমের ৯০ বছরের কারাদণ্ড৷ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এই আমিরের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী রায় ঘোষণার পর বলেন, ‘‘সব ঠিক আছে, ফাঁসি হয়নি৷’’

File:Ghulam Azam Office 2009.jpg Quelle: http://en.wikipedia.org/wiki/File:Ghulam_Azam_Office_2009.jpg
ছবি: Rayizmi Rayizmi

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গোলাম আযমের শাস্তি কি হতে পারে তা নিয়ে জল্পনাকল্পনা চলছিল গত কয়েক মাস ধরেই৷ সোমবার (১৫.০৭.১৩) সে সবের অবসান হয়েছে৷ ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন৷

এই রায় ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক এবং বাংলা ব্লগে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে৷ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমীর মন্তব্য আঘাত করেছে অনেককে৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে, ‘‘রায় শুনে হাসতে হাসতে বাবার কাছে গিয়ে আযমীকে বলতে শোনা যায়, সব ঠিক আছে, ফাঁসি হয়নি৷''

বাংলা ব্লগ আমরা বন্ধু ডটকম-এ এই বিষয়টি তুলে এনেছেন ব্লগার টুটুল৷ তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘বিষয়টা আসলে কি নির্দেশ করে?'' টুটুল লিখেছেন, ‘‘যদি জামাতের সকল নেতার ফাঁসি ঘোষণা করা হয় তবুও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের আপরাধের কাছে কিছুই নয়৷ গোলাম আযম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের সর্বাধিনায়ক৷ তার নির্দেশেই সকল অপরাধ সংঘটিত হয়েছে৷''

গোলাম আযমকে কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সামহয়্যার ইন ব্লগে রেজা ঘটকের লেখার শিরোনাম, ‘‘৪২ বছরের ভুল রাজনীতি আর দুর্বল নেতৃত্বে বাংলাদেশ দিশেহারা৷'' বিস্তারিত নিবন্ধের একাংশে তিনি লিখেছেন, ‘‘গোলাম আযমের রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই এখন আর দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ বলে কিছু নেই৷ এখন নতুন প্রজন্মের উচিত হবে ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক দর্শন ঠিক করা৷ নইলে বাংলাদেশ আবারো পেছনের দিকে হাঁটা শুরু করবে৷''

আমার ব্লগ ডটকমে এই বিষয়ে সাইদ জামানের লেখার শিরোনাম, ‘‘হায়রে কি শ্রদ্ধা!'' বয়স বিবেচনায় গোলাম আযমকে কারাদণ্ড দেওয়ার রায় মানতে পারেননি এই ব্লগার৷ তাঁর মনে হয়েছে, এভাবে গোলাম আযমের প্রতি ‘‘শ্রদ্ধা'' দেখানো হয়েছে৷ সাইদ জামান লিখেছেন, ‘‘আমার যে বোনটি মাত্র ১২ বছর বয়সে ধর্ষিত হয়েছিল তার প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই৷ আমার যে অন্তঃসত্ত্বা মাকে বেয়োনেটের খোঁচায় প্রাণ দিতে হয়েছিল তার প্রতি কোনো শ্রদ্ধা নেই৷''

ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেক পাঠক৷ গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত এক বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির ছবির নীচে শওকত আরা লিখেছেন, ‘‘এই ছবিটা দেখে কাঁদছি৷ একজন বয়স্ক ভদ্রলোক – দেখে বোঝা যাচ্ছে তার বুকটা ফেটে যাচ্ছে৷ উনি হয়ত মুক্তিযোদ্ধা, হয়ত এই গোলাম আযমের বাহিনীর কারণে '৭১ হারিয়েছেন আপনজনদের৷ ৪২ বছর বুক বেঁধেছিলেন বিচারের আশায়৷ আজ আশা করার আর কিছু রইল না৷''

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ