1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সব দলই নির্বাচনে অংশ নেবে: প্রধানমন্ত্রী

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৩ অক্টোবর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলই অংশ নেবে৷ তবে কোনো দল যদি অংশ না নেয়, তাহলে তাঁর সরকারের কিছু করার নেই৷ নির্বাচনকালীন সরকারের আকার ছোট হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

Bangladesch Premierministerin Sheikh Hasina zum Gesetz zur digitalen Sicherheit
ছবি: government's press department

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে বুধবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন৷ সেখানে আগামী জাতীয় নির্বাচন, নির্বাচনী জোট, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বই, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলসহ আরো অনেক বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন তিনি৷

নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবেতিনি বলেন,‘‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে৷ নির্বাচন হবে৷ দেশের মানুষ ভোটও দেবে৷ দেশে অনেক রাজনৈতিক দল৷ নির্বাচনে কোন দল আসবে, আর কোন দল আসবে না, সে সিদ্ধান্ত তো আমরা নিতে পারি না৷ তবে আমাদের আশা, সব দলই নির্বাচনে আসবে৷ তবে কেউ নির্বাচনে না এলে আমাদের কিছু করার নেই৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের সময় যত নির্বাচন হয়েছে, সব সুষ্ঠু হয়েছে৷'' প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘যাদের অপরাধী মন, তারাই ডিজিটাল আইন নিয়ে ভয় পায়, উদ্বিগ্ন৷ অপরাধী মন না থাকলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই৷ যারা সঠিক সাংবাদিকতা করবেন, তাদের ভয় পওয়ার কোনো কারণ নেই৷ যদি কেউ জঙ্গি তৎপরতা চালায়, তাকে চিহ্নিত করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা না গেলে কেমন হবে? ওয়ারেন্টের জন্য অপেক্ষা করলে তো আর তাকে পাওয়া যাবে না৷ আর যারা নির্বাচনের আগে প্রস্তুত হয়ে আছে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর জন্য, তারা এই আইনে উদ্বিগ্ন৷ সাংবাদিকরা তো উদ্বিগ্ন৷ আমাদের উদ্বেগ কে দেখবে৷ আমি যতক্ষণ আছি, ততক্ষণ সাংবাদিদের কোনো সমস্যা হবে না৷'' 

‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে’

This browser does not support the audio element.

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের জোট গঠনকে স্বাগত জানান৷ তিনি বলেন, ‘‘শত ফুল ফুটতে দাও৷'' তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে তাদের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলাদা মঞ্চ করে দেবো৷ জনসভায় লোক লাগলে তা-ও দেবো৷ বাংলাদেশে ভোটের দু'টি ভাগ৷ একটি আওয়ামী লীগের পক্ষে, আরেকটি আওয়ামী লীগবিরোধী৷ সেই ভোটগুলো তো এক জায়গায় যেতে হবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘এইসব জোট আমার ভয়ের কোনো কারণ নয়৷ জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই৷'' তবে তিনি বলেন, ‘‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে৷ মানুষ নৌকায় ভোট দেবে৷ কারণ, একমাত্র নৌকা ক্ষমতায় থাকলেই উন্নয়ন হয়৷''

এদিকে  সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বই নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি৷ তবে যারা চায়, তাদের বইটি পড়ে দেখতে বলেছেন৷ এতে কোনো বাধা নেই বলে জানান তিনি৷ এস কে সিনহা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগকে সমর্থন না দেয়ার অনুরোধ করেছেন- এমন তথ্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা তো অনেকেই ভারতে গিয়ে বলে৷ বিএনপিও বলে৷ আমরা বিদেশের কারো সমর্থন বা সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসিনি৷ জনগণের ভোটে এসেছি৷'' কোটা বাতিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তারা কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করেছে৷ সহিংসতা করেছে৷ কোটা বাতিল করে দিয়েছি৷ এখন কোটা চাইলে তারা আবার আন্দোলন করুক৷ তখন দেখবো৷''

‘আর কেউ নয়, প্রধানমন্ত্রী সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছেন’

This browser does not support the audio element.

সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে৷''

 বুধবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা৷ মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, দুই-একদিনের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে৷   

এর আগে গত সোমবার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা তুলে দেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয় সরকার গঠিত সচিব কমিটি৷

সব কোটা বাতিলের এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বুধবার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা৷ কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা আজ (বুধবার)  বিকেলে এ নিয়ে বৈঠক করেছি৷ বৃহস্পকিবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিভাবে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো৷ এখন কিছু বলতে চাই না৷''

‘সব কোটা বাতিল করায় নতুন করে আরেকটি সংকট তৈরি হতে পারে’

This browser does not support the audio element.

তবে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজউদ্দিন খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা তো হোলসেল হয়ে গেল৷ আমি চাইনি, আমাকে তা-ও দিয়ে দিলেন৷ কেউতো সব কোটা বাতিল চায়নি৷ যারা আন্দোলন করেছে, তারাও তো কোটা বাতিল চায়নি৷ তারা চেয়েছে সংস্কার৷ সরকার সব কোটা কেন বাতিল করল, কী উদ্দেশ্যে করল, তা বোঝা যাচ্ছে না৷ তবে কোটা পুরোপুরি বাতিল ঠিক হয়নি৷ কিছু কোটার দরকার আছে৷ যেমন আদিবাসী, প্রতিবন্ধী, তাঁদের জন্য কোটা থাকতে হবে৷''

তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘সব কোটা বাতিল করায় নতুন করে আরেকটি সংকট তৈরি হতে পারে৷''

অন্যদিকে সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে এবং এই সংক্রান্ত অন্যান্য বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ যে তিনি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেছেন৷ এখন এই সব দলের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা তাঁকে বা তাঁর সরকারকেই করতে হবে৷ আর কেউ নয়, প্রধানমন্ত্রী সংবিধান কাটাছেঁড়া করেছেন৷ এখন তাঁকেই সংবিধান ঠিক করতে হবে৷ কেয়ারটেকার ব্যবস্থা তিনিই বাতিল করেছেন৷ এখন তাঁর সমাধান তাঁকেই করতে হবে৷''

তিনি আরো বলেন,‘‘কেউ নির্বাচনে না এলে প্রধানমন্ত্রীর কিছু করনীয় নেই, এ কথা ঠিক নয়৷ প্রধানমন্ত্রীর করণীয় আছে৷ তিনিই এখন প্রধান বাধা৷ তিনিই সব বাধার সৃষ্টি করেছেন৷ তিনি সরে দাঁড়ালে সব বাধা দূর হয়ে যাবে৷ তখন তাঁকে আরেকবার অভিনন্দন জানাবো৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ