1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সব দলমতের প্রতি সহনশীল হন: ম্যার্কেল

১ জানুয়ারি ২০১৮

জার্মানি এখন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এ কথা উল্লেখ করে জার্মানির চ্যান্সেলর দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সব দলমতের প্রতি সহনশীলতা না থাকলে সমাজে চিড় ধরতে পারে৷

Deutschland | Neujahrsansprache BK Angela Merkel 2018
ছবি: Reuters/H. Hanschke

অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেয়া ভাষণটি রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়৷ সেখানে তিনি বলেন যে, বহুদিন ধরেই রাজনীতিতে মতাদর্শিক দূরত্ব বাড়ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব সমাজের ওপরও পড়ছে বলে অনেকের বিশ্বাস৷ ‘‘ভিন্ন মতের মানুষদের প্রতি সহনশীল হতে হবে৷'' বলেন ম্যার্কেল৷ তাঁর মতে সহনশীলতার অর্থ, ‘‘অন্যদের প্রতি মনোযোগী হওয়া, তাঁদের কথা শোনা এবং বোঝার চেষ্টা করা'’৷ 

অসন্তোষ ও বিভ্রান্তি

গেল ২৪ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনের পর থেকে নতুন কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে গিয়ে রীতিমত গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ৬৩ বছর বয়সি ম্যার্কেলকে৷ যদিও তাঁর দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও এর ব্যাভারিয়ান সহযোগী ক্রিস্টিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন সে নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পায়৷

সর্বোচ্চ ভোট পেলেও আগের যে কোনোবারের চেয়ে বাজে ফল করে দল দু'টি৷ সেই সুযোগে প্রথমবারের মতো অতি-ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) সংসদে ঢোকার সুযোগ পায়৷ রক্ষণশীল সংসদ সদস্য ও বক্তারা এর জন্য ম্যার্কেলের সাম্প্রতিক উদারনীতিকে দায়ী করেন৷ তাঁরা মনে করেন, সে কারণেই গেল চার বছরে ভোটাররা অতি-ডানদের দিকে ঝুঁকেছেন৷

‘বিশ্ব অপেক্ষা করবে না'

যে গ্যাঁড়াকলে আটকে আছে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া, তা থেকে অচিরেই বেরিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ম্যার্কেল৷ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ব অপেক্ষা করবে না৷'' তিনি মনে করেন, এভাবে চলতে থাকলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে৷

জানুয়ারিতে গ্র্যান্ড কোয়ালিশনের জন্য আবারো আলোচনায় বসবে সিডিইউ-সিএসইউ এবং মধ্যবামপন্থি দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি)৷

গেল নভেম্বরে সিডিইউ-সিএসইউ-এর সঙ্গে ব্যবসা বান্ধব ফ্রি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও গ্রিন পার্টির মধ্যকার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি৷ এরপরই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্তে আসে সিডিইউ-সিএসইউ ও এসপিডি৷ তবে এ আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে

ছবি: Getty Images/AFP/J. Skarzynski

ইউরোপই ভরসা

নতুন কাজের সুযোগ তৈরি, শিক্ষার মানোন্নয়ন, আঞ্চলিক বৈষম্য কমানো, উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো এবং আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে জার্মানির অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন ম্যার্কেল৷

ম্যার্কেল মনে করেন, জার্মানির ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তাঁর মতে, ২৭ দেশের এই জোট এর সীমান্ত নিরাপদ রাখতে একসাথে কাজ করতে হবে, অন্তত আরো কয়েক বছর৷ 

নিজ বক্তব্যে ‘ভবিষ্যতের জন্য ইউরোপকে তৈরি করা'-র ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর মূলমন্ত্রে আস্থা রাখলেন ম্যার্কেল৷

জেডএ/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ