বার্লিনে এক সাক্ষাৎকারে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন যে, তিনি সমকামী বিবাহের বিষয়টিতে ‘বিবেকের সিদ্ধান্ত’ চান৷ সংসদীয় নির্বাচনের তিন মাস আগে এ মন্তব্য করলেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
বার্লিনের গোর্কি থিয়েটারের ঘরোয়া পরিবেশে মঞ্চে বসে জার্মানির সর্বাধিক বিক্রীত নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ব্রিগিটে’-র দুই সম্পাদিকার প্রশ্নের উত্তর দেন ম্যার্কেল৷ নিজের বাসভবন থেকে গোর্কি থিয়েটার পায়ে হেঁটে মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ৷
সাধারণত আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে এত খোলাখুলি কথা বলতে দেখা যায় না৷ ফুকুশিমার পর ম্যার্কেল যে রাতারাতি জার্মানিতে পরমাণু শক্তির অবসান ঘটানোর সিদ্ধান্ত নেন, সেটা ছিল তাঁর সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত – বলেন ম্যার্কেল৷ অপরদিকে মিডিয়া যে আজ তাঁর চুলের কেয়ারির চেয়ে তাঁর রাজনীতির প্রতি বেশি মনোযোগী, তাতে সুখি ম্যার্কেল৷
নানা মুডে আঙ্গেলা ম্যার্কেল
সারা বিশ্বের মিডিয়া জুড়ে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ছবি৷ তাঁর সরকারি মুখাবয়ব প্রায়শই গম্ভীর, কথা বলেন সুচিন্তিতভাবে৷ ছবি তোলেন দু’হাতের আঙুলগুলো জুড়ে, তাঁর সুপরিচিত ভঙ্গি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সুবিখ্যাত ম্যার্কেল মুদ্রা
ব্রীড়া থেকেই হোক, বা ঝানু রাজনীতিকের পরিশীলিত ভঙ্গিই হোক, ম্যার্কেল যে হাতের আঙুলগুলো জোড়া দিয়ে কী বলতে চাইছেন, তা তিনি নিজেই জানেন...
ছবি: picture-alliance/dpa/Michael Kappeler
ইউরোপীয় রাজনীতিক
সার্বভৌম, উৎসাহী অথচ নিরুদ্বেগ অভিব্যক্তি নিয়ে ইউরোপীয় রাজনীতির মঞ্চে চলাফেরা করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ ছবিতে তিনি ব্রাতিস্লাভায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক শীর্ষবৈঠকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Hoslet
চ্যান্সেলরের সঙ্গে সেলফি
উদ্বাস্তু সংকট ম্যার্কেলের রাজনৈতিক জীবনে একটা বড় প্রসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবুও গতবছর বার্লিনের মারৎসান এলাকার একটি উদ্বাস্তু শিবিরে সিরিয়া থেকে আগত এক রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ দেন ম্যার্কেল৷
ছবি: Getty Images/S. Gallup
সরকারপ্রধান
চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেলকে দেখা যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমা ও ভূমিকায়৷ সঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
নারীসুলভ
হঠাৎ কিছুটা অন্তরঙ্গতা ও একটি হাসি৷ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদকেও পার্ফেক্ট জেন্টলম্যান বলা চলে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
জোট সরকার
ম্যার্কেলের দুই জোট সহযোগী, এসপিডি প্রধান সিগমার গাব্রিয়েল ও সিএসইউ প্রধান হর্স্ট জেহোফারকে দেখলে বোঝা যায়, ‘অ্যাঞ্জি’ মাথা ঠান্ডা না রাখলে বিপদ ঘটতে কতক্ষণ?
ছবি: picture-alliance/AP Photo/B. von Jutrczenka
বৈজ্ঞানিক মনোবৃত্তি
পদার্থবিদ্যায় ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারিনী ম্যার্কেলের ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মিডিয়াগুলোর জন্যে খুব একটা সময় থাকে না৷ তবে টুইট করতে ভালোবাসেন৷ ২০১৫ সালে জাতিসংঘের একটি ফোরামে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক সাকারবার্গের সঙ্গে আগ্রহ নিয়েই আলোচনা করছেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
যাজক তনয়া
২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎ প্রটেস্টান্ট যাজকের কন্যা ম্যার্কেলের পক্ষে একটি বিশেষ মুহূর্ত৷
ছবি: Reuters/A. Pizzoli
শ্যাম্পেন পান করার মতো উপলক্ষ্য চাই
যেমন জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে এলিসি চুক্তির ৫০ বছর পূর্তি৷
ছবি: AP
ক্ষমতার নেশা চেনেন ম্যার্কেল
২০১১ সালে ডয়চে ব্যাংকের প্রধান ইয়োসেফ আকারমান-এর সঙ্গে বৈঠকে সম্ভবত চলতি আর্থিক সংকট নিয়েই কথা হয়েছিল৷
ছবি: AP
ছুটিছাটায়
চ্যান্সেলরও মানুষ, তাঁরও ছুটি লাগে৷ তবে ছুটিতেও পাপারাৎসিদের হাত থেকে মুক্তি নেই আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ ছবিতে তাঁর স্বামী ইওয়াখিম সাওয়ারকে দেখা যাচ্ছে (বাঁয়ে)৷
ছবি: dapd
সে অনেকদিন আগের কথা
তরুণ সিডিইউ রাজনীতিক আঙ্গেলা ম্যার্কেল দলীয় সতীর্থ আনেট শাভান ও প্রবীণ সিডিইউ রাজনীতিক এর্ভিন টয়ফেল-এর সঙ্গে দক্ষিণ জার্মানিতে সাইকেল টুরে৷ তখনও তাঁর মুখে অভিজ্ঞতা ও ক্ষমতার ছাপ পড়েনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
12 ছবি1 | 12
ম্যার্কেল যে রসালো মন্তব্য করতে পারেন, তাঁর যে ‘সেন্স অফ হিউমার’ আছে, তাঁকে যারা ভালোভাবে চেনেন, তারা এ কথা আগেও বলেছেন৷ সোমবারের ৯০ মিনিটের টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সাধারণ জার্মানরাও ম্যার্কেলের এই দিকটিকে দেখতে ও চিনতে শিখলেন৷ গত ১২ বছর ধরে যিনি জার্মানির চ্যান্সেলর, তাঁকে এরকম অকপটে ও খোলামনে কথা বলতে দেখার সৌভাগ্য সচরাচর এ দেশের মানুষদের হয় না৷
‘‘রাজনীতিতে রস-রসিকতা থাকাটা জরুরি৷ আমি দিনে অন্তত একবার হাসি, নয়তো এ কাজ করতে পারতাম না,’’ বলেন ম্যার্কেল৷ অপরদিকে তিনি কাউকে ‘‘তাঁর ছুটি কেড়ে নিতে দেবেন না,’’ জানান ম্যার্কেল৷
বিশ্বনেতার স্বীকারোক্তি
স্বামীর সঙ্গে কিভাবে প্রথম দেখা হয়েছিল– এ প্রশ্নের উত্তরে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘কাজের জায়গায়৷’’ অর্থাৎ এখানে তাঁর কাছ থেকে কোনো রোম্যান্টিক আখ্যান আশা করে লাভ নেই৷ ফিট থাকার জন্য ওয়ার্কআউটের ক্ষেত্রে ম্যার্কেল স্বীকার করেন যে, জগিংয়ের চেয়ে যোগব্যায়ামই তাঁর স্বভাবের সঙ্গে মেলে৷ সাজপোশাক নিয়ে কি তিনি মাথা ঘামান? ম্যার্কেলের উত্তর, ‘‘স্বভাবতই আমি কী পরছি, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করি, কেননা, আমি আমার সঙ্গীকে লজ্জায় ফেলতে চাই না৷’’
আরো অনেক অজানা বা কম-জানা খুঁটিনাটি তথ্যও জানান ম্যার্কেল৷ তাঁর নিজের কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই, তাঁর মোবাইল ফোনে মাত্র ১০০টি নম্বর স্টোর করা আছে৷ এছাড়া বাড়িতে অতিথি আসার আগে নিজে ওয়াইনের গ্লাসগুলো পরীক্ষা করে দেখেন কোথাও ধুলো লেগে রয়েছে কিনা৷
ম্যার্কেলের কিছু অন্যরকম ছবি
২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর থেকে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ জার্মানদের কাছে এখনও তিনি বেশ জনপ্রিয়৷ ছবিঘরে থাকছে তাঁর এমন কিছু ছবি, যা দেখতে হয়ত আপনার ভালই লাগবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Stefan Sauer
চেনা যায়?
হ্যাঁ, ইনিই আজকের ক্ষমতাধর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ১৯৫৪ সালের ১৭ই জুলাই জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন তিনি৷ সে সময় আঙ্গেলার পুরো নাম ছিল - আঙ্গেলা ডোরোটেয়া কাসনার৷ বাবা হর্স্ট কাসনার ছিলেন একজন লুথেরান যাজক৷ আর মা হ্যারলিন্ড কাসনার ইংরেজি ও ল্যাটিন ভাষার শিক্ষিকা৷ তিন ভাইবোনের মধ্যে আঙ্গেলাই ছিলেন সবচেয়ে বড়৷
ছবি: imago
বন্ধুদের সঙ্গে
দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে ম্যার্কেল৷ এতজনের মাঝ থেকে চ্যান্সেলরকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব কিন্তু পাঠক আপনার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্যাম্পিং
এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে আমরা অনেক কিছুই করেছি৷ ম্যার্কেলও এর বাইরে ছিলেন না৷ তাই ‘আবিটুয়র’ শেষের পর বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পিংয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি৷ ছবিটি ১৯৭৩ সালে তোলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ছুটিতে ঘোরাঘুরি
জার্মান চ্যান্সেলর হলেও সেটিতো একটি চাকরি, তাই না? তাইতো ছুটি পেলেই স্বামী রসায়নের অধ্যাপক ইওয়াখিম সাউয়ারকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ম্যার্কেল৷ ছবিতে ইটালির ইসকিয়া দ্বীপে ম্যার্কেলকে ‘থার্মাল বাথ’ করতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters
এরপর হাঁটাহাঁটি
থার্মাল বাথ শেষে স্বামীর সঙ্গে হেঁটে বেড়াচ্ছেন ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/AP Photo/C. De Luca
নিজের বাসাতেই থাকছেন ম্যার্কেল
বার্লিনের মাঝে একটি ‘মিউজিয়াম আইল্যান্ড’ আছে৷ সেখানেই একটি জাদুঘরের কাছে এই ভবনটির অবস্থান৷ চ্যান্সেলর হওয়ার আগে যেমন, তেমনি এখনও স্বামীকে নিয়ে সেখানেই থাকছেন ম্যার্কেল৷ ছবিতেই দেখতে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ তাঁর বাসার সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে৷ নিরাপত্তার জন্য শুধু দুজন পুলিশ সবসময় এই ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে৷ বাসার গেটে নেমপ্লেটে কিন্তু ম্যার্কেলের নাম নেই, আছে স্বামী অধ্যাপক সাউয়ারের নাম৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘সামার স্কুল’
ভৌত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে ম্যার্কেলের৷ ১৯৮৯ সালে শিক্ষার্থী অবস্থায় পোল্যান্ডে একটি সামার স্কুলে গিয়ে ছবিটি তোলা হয়৷ ছবির মাঝখানের মানুষটি আজকের চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের স্বামী অধ্যাপক সাউয়ার, আর ম্যার্কেলকে তো নিশ্চয় চেনা যাচ্ছে!
ছবি: Bogumil Jeziorski/AFP/Getty Images
কোনজন ম্যার্কেল?
বলুনতো ছবিতে কোনটা ম্যার্কেল? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, ডান থেকে তৃতীয়জন৷ ১৯৮২ সালের এই ছবিতে দুজন অধ্যাপক সহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লেমুর সঙ্গে দেখা
মেকলেনবুর্গ-ফোয়রপোমার্ন রাজ্যের মার্লো পাখি পার্কে গিয়ে লেমুরের সঙ্গে দেখা হয় ম্যার্কেলের৷ তাইতো এই দোস্তি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Stefan Sauer
‘টোস্ট’
২০১৩ সালে জার্মানি সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ম্যার্কেল৷
ছবি: Reuters
এত বন্ধুত্ব!
২০১৩ সালের এই ছবি দেখে কে বলবে রাশিয়া ও জার্মানির সম্পর্কের মধ্যে এখন যোজন যোজন দূরত্ব? রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জি২০ দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের এক অনুষ্ঠানে তোলো ছবি এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অপেরা হাউসের উদ্বোধনীতে
নরওয়ের অসলোর অপেরা হাউস পর্যটকদের কাছে এখন অন্যতম আকর্ষণীয় স্থাপনা৷ ২০০৮ সালে এই অপেরা হাউসের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷ ছবিতে তাঁকে নরওয়ের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Bjorn Sigurdson/AFP/Getty Images
কোথায় যাচ্ছেন তিনি!
২০০৬ সালে জার্মান নৌবাহিনীর একটি সাবমেরিনে প্রবেশ করছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল৷
ছবি: Reuters
ফুটবলপ্রিয় চ্যান্সেলর
যত ব্যস্ততাই থাকুক ফুটবলের খবর নিয়মিতই রাখেন ম্যার্কেল৷ জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলাগুলোতেও উপস্থিত থাকতে চেষ্টা করেন৷ ছবিতে ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যার্কেলকে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters
14 ছবি1 | 14
ভাবলেশহীন?
আবার ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের কাহিনি উঠে পড়ে৷ বিশেষ করে সেই অস্বস্তিকর মুহূর্তটি, যখন ম্যার্কেল – ফটোগ্রাফারদের কল্যাণে আরো একবার করমর্দন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ চ্যান্সেলরের প্রস্তাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোনো প্রতিক্রিয়াই দেখা যায়নি৷ ম্যার্কেল যখন পরে ট্রাম্পকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তখন ট্রাম্প বলেন যে, তিনি ‘‘এর আগেই বার দুয়েক আমার সঙ্গে করমর্দন করেছেন, বলে তাঁর ধারণা, যা কিনা সত্যি,’’ গোর্কি থিয়েটারে জানান ম্যার্কেল৷
ট্রাম্প কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় ম্যার্কেলের মুখের ভাব যা হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গ উঠলে জার্মান চ্যান্সেলর জানান, তিনি ঐ ধরনের পরিস্থিতিতে নির্বিকার থাকার চেষ্টা ‘ত্যাগ করেছেন’৷ ‘‘আমি ওটা করতে পারি না – স্কুলেও আমার ঐ সমস্যা ছিল,’’ বলেন ম্যার্কেল৷
মিত্র, অমিত্র
ম্যার্কেলকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি রাশিয়ার পুটিন বা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্পের চেয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বা ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সংসর্গে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন কিনা৷ ম্যার্কেল উত্তর দেন, তিনি কারো সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে বা না করতে বেশি বা কম পছন্দ করেন না, বরং সকলের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলেন৷
‘‘আমার উল্টোতরফে যিনি রয়েছেন, তিনি কী ভাবছেন বা না ভাবছেন, সেটা বোঝা আমার কাজ,’’ বলেন ম্যার্কেল৷ তবে তিনি স্বীকার করেন যে, ‘উল্টোতরফের’ মানুষজনের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু মানুষের সঙ্গ বেশি প্রীতিকর৷
‘বিবেকের সিদ্ধান্ত’
সাক্ষাৎকারের শেষে প্রেক্ষাগৃহের দর্শকদের তরফ থেকে প্রশ্নের জন্য মাত্র কয়েক মিনিট সময় ছিল৷ এই সময়ে একজন সমকামী ম্যার্কেলকে সমকামী বিবাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন৷ তিনি কবে তাঁর রেজিস্টার্ড বা নথিভুক্ত জীবনসঙ্গীকে ‘আমার স্বামী’ বলে সম্বোধন করতে পারবেন? জানতে চান ঐ পুরুষ সমকামী৷
উত্তরে ম্যার্কেল বলেন যে, জার্মান সংসদের বাকি সব দল যে লিঙ্গনির্বিশেষে বিবাহের সপক্ষে, তা তাঁর অজ্ঞাত নয়৷ জার্মান ভোটারদের মধ্যেও সমকামী বিবাহের ব্যাপক সমর্থন আছে৷ রাজনৈতিক বিচারে এরপর একটি বোমা ফাটান ম্যার্কেল, সমকামী বিবাহ নিয়ে বিতর্ক ‘‘বিবেকের সিদ্ধান্তের দিকে এগোবে’’, বলে তাঁর ‘আশা’, বলেন ম্যার্কেল৷
সংসদীয় প্রক্রিয়ার পরিভাষায় এর অর্থ দাঁড়ায়, সমকামী বিবাহ নিয়ে বুন্ডেসটাগে যখন ভোট হবে, তখন কোনো পার্টি হুইপ থাকবে না – অর্থাৎ সংসদসদস্যরা তাঁদের নিজেদের বিবেক অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন৷ সেক্ষেত্রে আর কয়েক মাসের মধ্যেই জার্মানিতে নারী ও নারী, বা পুরুষ ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে৷