1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সমকামী সমর্থক’ সংবাদমাধ্যমকে হুমকি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৬ মে ২০১৬

উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী আনসার আল-ইসলাম এলজিবিটি অধিকারের সমর্থক সংবাদমাধ্যমগুলোকে হুমকি দিয়েছে৷ বলেছে, যারা সমকামীদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করবে না তাদের কোনো ক্ষমা নেই৷ হুমকিতে একটি ইংরেজি দৈনিকের নাম উল্লেখ করে তারা৷

সমকামীদের অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট-ভিত্তিক একটি প্রকল্প
সমকামীদের অধিকার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে অনলাইনে একটি প্রকল্প রয়েছে (ফাইল ছবি)ছবি: Instagramm/Project Dhee

আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ বা একিউআইএস-এর শাখা বলে দাবি করা এই জঙ্গি সংগঠন তাদের ইংরেজিতে দেয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সংবাদমাধ্যমকেও একই ধরনের হুমকি দেয়৷ ২৫শে মার্চ বাংলাদেশের প্রথম এলজিবিটি (লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার) ম্যাগাজিন ‘রূপবান'-এর সম্পাদক জুলহাস মান্নান ও অ্যাক্টিভিস্ট তনয় হত্যার দায় স্বীকারের পর, দ্বিতীয় দফায় এই বিবৃতি দিল আনসার আল-ইসলাম৷

তাদের মুখপাত্র মুফতি আব্দুল্লাহ আশরাফের পাঠানো ঐ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তা'আলার অনুগ্রহে আনসার আল-ইসলামের দুঃসাহসী মুজাহিদিনরা বাংলাদেশে সমকামী প্রসারের পথিকৃৎ, সমকামীদের গুপ্ত সংগঠন ‘রূপবান'-এর পরিচালক জুলহাস মান্নান ও তার সহযোগী সামির মাহবুব তনয়কে হত্যা করেছেন৷....অ্যামেরিকা ও তার ভারতীয় মিত্রদের সাহায্য নিয়ে ১৯৯৮ সাল থেকে এই ভূখণ্ডের অধিবাসীদের মধ্যে সমকামিতার মতো জঘন্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিল রূপবান৷’’

[No title]

This browser does not support the audio element.

তবে জুলহাস মান্নানের বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী পারভেজ মোল্লাকে আঘাত করার ইচ্ছে তাদের ছিল না বলেও দাবি করে সংগঠনটি৷ বলে, আত্মরক্ষার্থে তারা পারভেজের ওপর হামলা করতে বাধ্য হন৷ তাই তাকে আহত করার জন্য দুঃখও প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে৷ আনসার আল-ইসলামের দাবি, ‘ইসলামি শরিয়ার বিধান মেনেই এ সব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে৷'

ঢাকা ট্রিবিউনের নাম উল্লেখ করে যেসব গণমাধ্যম বাংলাদেশের মুসলিমদের মাঝে সমকামিতাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছে, তাদেরকে এ ধরনের ‘ঘৃণ্য অপরাধ' থেকে বিরত থাকার জন্য বলেছে আল-কায়েদা৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তা না হলে এ ভূখণ্ডের মুসলিমরা আপনাদের ক্ষমা করবে না৷'

এই হুমকির পর ঢাকা ট্রিবিউনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে খবর৷ তবে এ ব্যাপারে ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

এই হুমকি নিয়ে মানবাধিকার নেতা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তারা ক্রমেই তাদের ‘টার্গেট এরিয়া' বাড়াচ্ছে৷ ব্লগার, মুক্তমনা, লেখক, প্রকাশক, ভিন্নধর্মী, ভিন্নমতের মানুষের পর এখন সংবাদমাধ্যমকে টার্গেট করছে৷ তারা চাইছে, তারা যা চায় তার বিরুদ্ধ মতকে দমন করতে, হত্যা করতে৷''

নূর খান বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের প্রতি এই হুমকি খুবই আশঙ্কার৷ এটা স্বাধীন মত প্রকাশ ও স্বাধীন চিন্তার ওপর আঘাত৷''

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলা করা হবে৷ এ জন্য সরকারেরও দায়িত্ব আছে৷ নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের৷''

তাঁর কথায়, ‘‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়৷ যারা এটা করেন, তাদের এ থেকে বিরত হওয়া উচিত৷ সকলেরই দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত৷''

বন্ধু, সমকামিতাকে কি আপনিও জঘন্য অশ্লীলতা বলে মনে করেন? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ