1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমঝোতা চুক্তি

৯ মে ২০১২

ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির মনে হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত তার প্রতিশ্রুতি পালন করবে৷ ড. মনমোহন সিং ও পি.চিদাম্বরম তাঁকে এ আশ্বাসই দেন৷

ছবি: picture-alliance/dpa

মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরমের সঙ্গে৷ কথা হয় তিস্তা নদীর জল বণ্টন, ছিটমহল হস্তান্তর, ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তে চোরাচালান ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ইস্যু নিয়ে৷ আলোচনা শেষে ডা. দীপু মনি বলেন, আলোচনা অত্যন্ত সদর্থক হয়েছে, বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার জন্য সীমান্ত ট্রানজিট পয়েন্ট খোলার বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে৷ এছাড়া বিএসএফ ও বিডিআর-এর পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে৷ অবশ্য ছিটমহল হস্তান্তর নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে অস্বীকার করেন তিনি৷

উল্লেখ্য, দেশভাগের সময় ভারতের ১১০টি ছিটমহল পড়ে এখনকার বাংলাদেশে এবং ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহল পড়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে৷ গত বছর প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর ঢাকা সফরকালে সম্পাদিত স্থলসীমা সমঝোতা চুক্তিতে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়৷ ভারতীয় সংসদে স্থলসীমা সমঝোতা চুক্তি অনুমোদনের জন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং সেজন্য সংসদের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন থাকা দরকার৷ আর সেটা হলে, তিনবিঘা করিডর দিয়ে ২৪ ঘণ্টা দহগ্রাম ও আঙ্গোরপোতা যাতায়াতের সুবিধা থাকবে বলে সে সময় জানিয়েছিলেন মনমোহন সিং৷

এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী ড. সিং-এর সঙ্গে৷ ওঠে তিস্তা ও ছিটমহল হস্তান্তর চুক্তি ইস্যু৷ প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে ভারত তার কথা রাখবে৷ তবে ভারতে সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া ভিন্ন৷ বাংলাদেশে এক-রাষ্ট্রীয় সরকার আর ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয়৷ তবে মনিপুরে বরাক নদীর ওপর টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পে এমন কিছু করা হবেনা, যা বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী৷ বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং৷ জানা যায়, বাংলাদেশ থেকে একটি পর্যবেক্ষক দল শীঘ্রই টিপাইমুখ প্রকল্প দেখতে যেতে পারবে৷

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তির প্রেক্ষিতে, তিস্তার জট ছাড়াতে ঢাকা-কলকাতার মধ্যে সরাসরি আলোচনার সুযোগ আছে কিনা - সেসম্পর্কে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে হতে পারে, কিন্তু তিস্তা ও স্থলসীমার মতো চুক্তি দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যে৷ কাজেই তা হয়না৷ তবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের ওপর বাংলাদেশের ভরসা আছে৷ তাই এই চুক্তি কার্যকর হবে, বলেন ডা. মনি৷

চুক্তির নতুন খসড়ায় বাংলাদেশের আপত্তি আছে? এর উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের আপত্তির প্রশ্ন নয়৷ ভারতের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা বা সংবিধান সংশোধন - এসব ভারতের নিজস্ব সমস্যা৷ সেটার সমাধান ভারতকেই করতে হবে৷ তবে বাংলাদেশ এই নিয়ে আর টালবাহানা মেনে নিতে পারছে না৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ