‘সমর নায়ক' হোসনি মুবারকের মৃত্যু
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০মুবারকের ছেলে আলা মুবারক টুইটারে জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে তাঁর বাবার একটি অপারেশন হয়েছিল৷ এরপর থেকে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷
৯১ বছর বয়সি হোসনি মুবারক ৩০ বছর মিশরের ক্ষমতায় ছিলেন৷ ২০১১ সালে গণবিক্ষোভের কারণে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন৷ ঐ বছরেরই এপ্রিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
১৮ দিন ধরে চলা বিক্ষোভের সময় মারা যাওয়া ২৩৯ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১২ সালে মুবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল৷
এরপর একটি আপিল আদালত পুনরায় বিচারের নির্দেশ দেন৷ এতে মুবারকের বিরুদ্ধে থাকা মামলা খারিজ হয়ে যায়৷ ২০১৭ সালে তিনি মুক্তি পান৷
এছাড়া পরিবারের সম্পদ বাড়াতে সরকারি অর্থ ব্যবহারের দায়ে ২০১৫ সালে অভিযুক্ত হয়েছিলেন মুবারক ও তাঁর দুই ছেলে৷ তাঁদের তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল৷
অবশ্য মুবারক সবসময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন৷ তিনি বলতেন, ইতিহাস তাঁকে নিঃস্বার্থভাবে দেশের সেবা করা একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে মনে রাখবে৷
মুবারকের পদত্যাগের পর মিশরে প্রথমবারের মতো নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ এতে জয়ী হয়েছিলেন মোহামেদ মুরসি৷ তবে তিনি মাত্র এক বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিলেন৷ ২০১৩ সালে আরেক গণবিক্ষোভের সময় তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি৷ তিনি এখন দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷
মুবারকের মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা বিবৃতিতে মুবারককে ‘সামরিক নেতা ও সমর নায়ক' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোকপ্রকাশ করা হয়৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)