সমর প্রাঙ্গণে সুরের সুধা
১৯ আগস্ট ২০১৩![The photos indicate a music concert held in Kabul on 24th March in order to support the treatment of drug-addicted people. Photo: Hussain Sira / DW](https://static.dw.com/image/16696070_800.webp)
১২ বছর আগে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে বামিয়ান বৌদ্ধ ভাস্কর্য ধ্বংস করার পর নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সব ধরনের সংগীত, এমনকি জনসমক্ষে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়৷
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের জবাব হিসেবে বৃহস্পতিবারের কনসার্টে শিল্পীদের প্রধান অস্ত্র ছিল গানের কথা বা লিরিক৷ নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৫ জন আফগান শিল্পী অংশ নিয়েছিল এতে৷ ১০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানে চমক ছিল ১২ বছরের এক কিশোরীর গান৷
গত তিন দশক ধরে যে গৃহযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশটি৷ তাদের সব ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সুর যেন সেখানে শান্তি আর ঐক্যের বাণী নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল৷
স্থানীয় দারি ভাষায় দেশের দুর্দশার কথা গানের ফাঁকে ফাঁকে তুলে ধরছিলেন দুজন শিল্পী৷ এমনকি হিপহপ আর পপ মিউজিকের তালে ব্রেক ড্যান্সও করেছে তরুণদের একটি দল৷
বামিয়ান এলাকাটি তালেবান সহিংসতা থেকে মুক্ত এলাকাগুলোর মধ্যে একটি৷ জাতিসংঘের সহায়তায় আন্তর্জাতিক যুব দিবসের আয়োজনে কনসার্টটি করা হয়েছিল দেশের যুবকদের উদ্দেশ্যে৷
জাতিসংঘের আফগানিস্তান বিষয়ক এক কর্মকর্তা ডিপিএ কে জানান, দেশকে স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ হিসেবে গড়ে তুলতে যুব সম্প্রদায়ের কী করার আছে তা তুলে ধরাই এ কনসার্টর উদ্দেশ্য৷
শিল্পীরা জানালেন, তাঁরা যাতে এই কনসার্টে অংশ না নেন এ জন্য মোল্লারা তাদের বিরত করার চেষ্টা করছিলেন, বলছিলেন, এ ধরনের কনসার্ট ইসলাম সমর্থন করে না৷
কনসার্টের অন্যতম সংগঠক রাওইল সিং জানালেন, তারা মোল্লাদের বলেছিলেন, জনগণই ঠিক করবে তারা কনসার্টে আসবে কিনা৷
আফগান শিল্পী আরিয়ানা সাঈদ জানালেন, মোল্লাদের হুমকির কারণে কনসার্ট ঠিক মত হবে কিনা তা নিয়ে তার সংশয় ছিল৷ কিন্তু দর্শকদের সাড়া পেয়ে তিনি অভিভূত৷
সাঈদি এখনকার যুব সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়৷ বাদ্যযন্ত্র ছাড়া ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে গাওয়া তার একটি গান মোল্লাদের নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় জবাব ছিল৷
এপিবি / এসবি (ডিপিএ)