বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির নামে যা হয়, তা আসলে মূলধারার রাজনীতির প্রতিফলন৷ এখানে ছাত্রদের দোষ দিয়ে লাভ নেই৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলন বা ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস সুবিদিত৷ প্রশংসিত৷ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত ছাত্ররা কী না করেছে৷ কত শত অর্জন৷ সুগৌরবে মাথা উঁচু করে বলে বেড়ানোর মতো ব্যাপার সব৷
পরে কী যেন হয়ে গেল৷ আস্তে আস্তে সফেদ চুনকাম করা ভবনটির পলেস্তারাগুলো খসে খসে পড়তে শুরু করল৷ এখন ছাত্র রাজনীতির উপর বিরক্ত, বিরূপ লোকসমাজ৷ চায়ের কাপে সুনামি ওঠা বিতর্ক হলো, ছাত্র রাজনীতির আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা৷ সে বিতর্কে দু-একটি কথা পরে বলি৷ তার আগে একটা কথা বলে নিই৷ তা হলো, গণতান্ত্রিক ধারায় শোষিত সমাজের রাজনীতি, আর স্বশাসিত সমাজের রাজনীতি কখনো এক হয় না৷
ব্যতিক্রম হয় কেবল একনায়কতন্ত্রের পাটার তলে পড়ে চ্যাপ্টা হলে৷ '৯০-এর গণঅভ্যুত্থান তার প্রমাণ৷ '৪৭-এর পর থেকে পশ্চিম পাকিস্তান পূর্বের গোটা মানচিত্রটাকে শোষণ করতে করতে একেবারে জরাজীর্ণ করে ফেলেছিল, সে কথা সবাই জানেন৷ তাই সে সময় এক দেশ হলেও পূর্ব পাকিস্তানের সমাজ ছিল শোষিত সমাজ৷
দুর্লভ ছবিতে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস
বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ ও ৬৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ছয় দফার আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ছাত্রসমাজের ভূমিকা অপরিসীম৷
ছবি: Journey/A. Hoque
ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা
এদেশের ভূখণ্ডের জন্মের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা৷ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-র শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ’৬৬-র ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ১১ দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনসহ প্রতিটি ঐতিহাসিক বিজয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি ও আন্দোলন সফল করায় তৎকালীন ছাত্রছাত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম৷
ছবি: Journey/A. Hoque
তৎকালীন ছাত্রনেতারা
নূরে আলম সিদ্দিকী, আসম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন থেকে শুরু করে তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন এবং ওই সময়ের অন্যসব জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ছাত্রনেতারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি করতেন৷
ছবি: Journey/A. Hoque
ভাষা আন্দোলন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যে ছাত্ররা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে পরবর্তীতে তারা প্রত্যেকেই এদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে একেকটি পিলার হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন৷ ১৯৫২ সালে পূর্ববাংলায় বাম রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন৷
ছবি: Journey/R. Hoque
বঙ্গবন্ধু পথপ্রদর্শক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী যে কোনো রাজনীতিবিদ ও ছাত্র সংগঠনগুলোর জন্য পথপ্রদর্শক৷ বঙ্গবন্ধু অল্প বয়স থেকে রাজনীতি ও অধিকার সচেতন ছিলেন এবং সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি৷
ছবি: Journey/M. Alam
ছয়দফা কর্মসূচি
১৯৬৬ সালে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের যুগান্তকারী ঘটনা৷ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়দফা কর্মসূচি এবং পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা রুজু হলে ছয়দফা সমর্থন ও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ছাত্রদের মধ্যে এক নজিরহীন ঐক্য গড়ে ওঠে৷
ছবি: Journey/A. Hoque
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
১৯৬৯ সালে সকল ছাত্রসংগঠন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এবং জাতীয় ও সমাজতান্ত্রিক ধারণাপুষ্ট ১১-দফা দাবিনামা উপস্থাপন করে৷ এর ফলে আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবকে মুক্তিদানে বাধ্য হয়৷ মুক্তিলাভের পর শেখ মুজিবুর রহমান এক জনসমাবেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রদত্ত ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রদের এ প্রভাবকে স্বীকৃতি দেন৷
ছবি: Journey/R. Talukder
স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রদের ভূমিকা
১৯৭১ সালের ১ মার্চের পরে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ জাতিসত্তার ধারণাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রসর হয়৷ ১৯৭১ সালের ২ মার্চ তারা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে৷ পরদিন তারা পল্টন ময়দানে ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়৷ শেখ মুজিবের সাতই মার্চের ভাষণ ছিল ছাত্রদের আকাঙ্ক্ষারই বহিঃপ্রকাশ৷
ছবি: Journey/R. Talukder
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চের মধ্যরাতে জনগণের উপর পাকবাহিনীর আক্রমণ ৩ মার্চ ছাত্রদের স্বাধীনতা ঘোষণার যৌক্তিকতা প্রমাণ করে৷ ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল বস্তুত ৩ মার্চ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের স্বাধীনতা ঘোষণারই স্বীকৃতি৷ উল্লেখ্য, মুজিবনগর সরকার যথার্থভাবেই ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জাতীয়তাবাদী অভিধাগুলি, যেমন দেশের নাম, জয় বাংলা স্লোগান, জাতীয় পতাকা ইত্যাদিকে স্বীকৃতি দিয়েছিল৷
ছবি: Journey
মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র সমাজ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ছিল অহঙ্কার করার মতো৷ গোটা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা৷ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শিক্ষার্থীদের বড় অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়৷
ছবি: Journey/M. Alam
স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এবং ১৯৯১ সালে তাঁর পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে পুনরায় ছাত্ররা ঐক্য ও শক্তির পরিচয় দিয়েছে৷ ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তৎকালীন ক্ষমতাসীন সেনাশাসক জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের পতন হয়৷ শুরু হয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রযাত্রা৷
ছবি: Journey/Y. Saad
২০০২ শামসুন্নাহার হল আন্দোলন
২০০২ সালের ২২ জুলাই রাত ১টায় অর্থাৎ ২৩শে জুলাই দিবাগত রাতে শামসুন্নাহার হলে ছাত্রীদের ওপর রাতের অন্ধকারে পুলিশের নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় গড়ে ওঠা আন্দোলনে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন৷ ২৩ শে জুলাই সকাল থেকে ছাত্রদল ব্যতীত ক্যাম্পাসের ক্রীয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে৷ ১ লা আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হন ভিসি৷
ছবি: Journey/Z. Islam
২০০৭ সালে ছাত্র আন্দোলন
২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষক ও আট শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক হন আট শিক্ষক, এক কর্মকর্তা৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
ছাত্র আন্দোলনের মুখে শিক্ষকদের মুক্তি
দু’দিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত কয়েকশ জন আহত হয়৷ পরে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে দণ্ড পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষককে ডিসেম্বরে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় তৎকালীন সরকার৷ ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের ছেড়ে দেয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার৷
ছবি: Journey/S.-M. Gorki
13 ছবি1 | 13
ব্যাপারটা এমন যে, শোষিত সমাজের একটা ‘সাধারণ শত্রু' থাকে৷ তা হলো শোষক গোষ্ঠী৷ সেই শত্রুর বিরুদ্ধে কিছু সুবিধাবাদী আগাছা বাদ দিলে শোষিত সবাই এককাট্টা৷ তাই সে সময় আন্দোলন সংগ্রামে যাঁরা ভুমিকা রাখেন, তাঁরা নায়ক হন৷ বাংলাদেশের ইতিহাসে-সংগ্রামে ছাত্ররা অগ্রগামী ভূমিকা রাখায় অতীতের ছাত্র রাজনীতি সবসময়ই নায়কের আসনে৷
স্বশাসিত সমাজে ধীরে ধীরে পালটাতে থাকে রাজনীতির হুলিয়া৷ গণতন্ত্রের পুনর্বাসনের পর অবস্থা আরো পাল্টায়৷ সাধারণ শত্রু পরিণত হয় ‘ক্ষমতা'-র প্রতিদ্বন্দ্বীতে৷ চিন্তা চেতনায় ঔপনিবেশিক প্রভাবমুক্ত না হতে পারা সমাজে সরকার গঠনের ধারণাটিই যখন ‘ক্ষমতায় যাওয়া', তখন প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে মাঠে ময়দানে পেশিশক্তির দাপট দেখানোই রাজনীতি হয়ে ওঠে৷ আর নায়কদেরও চরিত্র বদলে যায় তাই৷ ছাত্র রাজনীতিতেও ক্ষমতার লড়াইটিই মুখ্য হয়ে ওঠে৷ কিছু ব্যতিক্রম বাদে আন্দোলনে-সংগ্রামে ‘অরাজনৈতিক ছাত্ররাই' কেবল ধরে রাখে অতীতের স্বর্ণযুগের চেতনা৷
কাড়াকাড়ির রাজনীতির চৌকাঠ মাড়িয়ে যখন ছাত্রের হাতে অস্ত্রের ঝনঝনানি, তখন কিছু সময়ের ব্যবধানে পত্রিকার সম্পাদককে একবার লিখতে হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগ সামলান!' আবার লিখতে হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রদল সামলান!'
মনে পড়ে, হলে সিট পাবার জন্য যখন হলের ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের প্রেসিডেন্টের কড়া নাড়লাম, তখন তিনি পাঠালেন আরেক নেতার কাছে৷ সেই নেতা কয়েকদিন ধরে খালি ঘুরাতেই থাকেন৷ অনেক ঘুরিয়ে পরে, একই দলের একাধিক গ্রুপের টানা হ্যাঁচড়ার পর যে রুমে ওঠা গেল, সেখানে কখনো আলো জ্বলে না৷
অন্ধকার ঘরে টেবিল ল্যাম্প জ্বালিয়ে চার বেডের এক রুমে দু'জন থাকতে শুরু করি৷ রুমেরও যে রাজনৈতিক তকমা হয়, সেটি সেখানেই টের পেলাম৷ সেইসঙ্গে আমি ‘সৌভাগ্যবান', কারণ, যেখানে অন্যদের ১০-১২ জন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০-২৫ জনও এক রুমে থাকতে হয়, সেখানে আমি যে ‘সম্মান' পাই, তা বিরল৷
অবশ্য এতটা আদরে রাখার ফলাফল খুব মধুর ছিল না৷ তাই বেশিদিন সেখানে টিকতে পারিনি৷ কিন্তু আমি বেঁচে যাই, ঢাকা শহরে আমার অন্য ঠাঁই ছিল বলে৷ মফস্বল থেকে আসা অনেক ছাত্রছাত্রীরই সেই সুযোগ নেই৷ তাই হল থেকে কোনো কারণে ‘বিতাড়িত' হলে যাওয়ার জায়গা থাকে না৷ কিন্তু প্রতিবাদ ক'জন করেন৷ সব হজম করে, মেনে নিয়ে কষ্ট হলেও থেকে যেতে হয়৷
কিছুদিন আগে আমাদের ছাত্র রাজনীতির নামে শিশু রাজনীতিও দেখতে হয়েছে৷ ছাত্রলীগ সব স্কুলে কমিটি করা শুরু করে দিলো৷ স্কুলের ছাত্ররা দেখলো ও দেখালো রাজনীতির দাপট! ভাগ্য ভালো যে, তা বেশিদুর এগোয়নি৷
প্রশ্ন হলো, এই ছাত্র রাজনীতির বলে বলীয়ান শিক্ষার্থীদের এ সংস্কৃতির ধারা কবে বন্ধ হবে? যারা অতি উৎসাহী অথবা অতি বিক্ষুব্ধ, তাদের কাছে মাথা ব্যথায় মাথা কেটে দেয়াই সমাধান৷
কিন্তু কোনো কোনো ওয়ালিদই কেবল ছাত্রসংসদ নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লাগেন৷ দশকের পর দশক ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধের প্রতিবাদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় কর্মসূচি হয় না৷ যাঁরা এক সময়ের ডাকসু-চাকসুর নামকরা নেতা-নেত্রী, তাঁরা গালভরা কথাতেই সীমাবদ্ধ থাকেন৷ অনশন তো তাঁদেরই করার কথা৷ ওয়ালিদের নয়৷
সে কি আর হবে?
তাদের অনেকেই বরং উপাচার্যকে ‘উদ্ধারকারী রুস্তম' হওয়া, রড-লাঠি হাতে লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করা এই ‘কোমলমতি' ছাত্রদের পিঠ চাপড়ান৷
ছাত্রদের দোষ দিয়ে লাভ নেই৷ মূলধারার রাজনীতির ছায়ায় বেড়ে ওঠা এই সংস্কৃতি বন্ধ না হলে এমনটাই চলবে বলেই মনে হয়৷ হতাশা প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছু করার নেই৷
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷