বায়ু ও শব্দ দূষণের কারণে বিশ্বের অনেক মেগাসিটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে৷ কেনিয়ার নাইরোবিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির মাধ্যমে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ শুরু হয়ে গেছে৷ দেশটি এক্ষেত্রে আফ্রিকার জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
লেরয় মাইনা ভোরেই সাইকেল ক্যারিয়ার নিয়ে নাইরোবির রাজপথে বেরিয়ে পড়েন৷ আশেপাশের বস্তি এলাকায় তিনি খাদ্য নিয়ে যান৷ এ দিন অস্বাভাবিক রকম বৃষ্টি পড়ছে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কেনিয়ায় শুষ্ক ও বর্ষার মরসুম ওলটপালট হয়ে গেছে৷ সোলার ই-সাইকেল্স কোম্পানির কর্মী হিসেবে মাইনা সৌরশক্তি চালিত পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক সাইকেল ব্যবহার করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এমন দিনে ব্যাটারি পুরোপুরি চার্জ হলে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যায়৷ যেদিন রোদ ওঠে, সে দিন ১০০ কিলোমিটার দূরত্বও অতিক্রম করা সম্ভব৷ অনেক রোদ উঠলে সোলার প্যানেল রেঞ্জ বাড়িয়ে দেয়৷’’
মাল ভরা থাকলেও ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে সাইকেল ক্যারিয়ার চলতে পারে৷ ছাদের উপর সৌর প্যানেল শুধু বৃষ্টির সময় মাথা ঢাকে না, এমন দুর্যোগের সময়ও ব্যাটারিও চার্জ করে৷
পরিবেশবান্ধব টেকসই প্রযুক্তি
লেরয় মাইনা কোয়ানজা টুকুলে নামের ক্ষুদ্র সংস্থায় কাজ করেন৷ কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা শহরের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে সস্তায় খাবার সরবরাহ করেন৷ এমন সাইকেল থাকায় কোম্পানির খুব সুবিধা হয়েছে৷ কোয়ানজা টুকুলে ফুডস-এর খাদিজা মোহামেদ-চার্চিল বলেন, ‘‘আমরা টেকসই পদ্ধতি অনুযায়ী চলতে চাই৷ সেটাই প্রধান উদ্দেশ্য৷ আমরা অবশ্য অর্থনৈতিকভাবেও স্বাবলম্বী হতে চাই৷ মূলত দরিদ্র ক্রেতাদের সামর্থ্যের কথাও ভাবতে চাই৷ ‘সবুজ জ্বালানী' ব্যবহার করলে তাদের আরও সুবিধা হবে৷ আমরা যে সোলার বাইক ব্যবহার করি, তার জন্য জ্বালানীর কোনো খরচ নেই৷ মোটরবাইকের তুলনায় আরও বেশি মালপত্র বহন করা যায়৷’’
আফ্রিকার জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে কেনিয়া
05:49
‘সোলার ই-সাইকেলস’ নামের স্টার্ট-আপ কোম্পানি এই ইলেকট্রিক সাইকেল তৈরি করেছে৷ সোলার ই-সাইকেলস কোম্পানির ম্যানেজার আলেক্স মাকালিওয়া কেনিয়া তথা আফ্রিকা মহাদেশে বৈদ্যুতিক যানের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী৷ তিনি বলেন, ‘‘টেকসই মোবিলিটি খুবই সুন্দর, কারণ সেটি পরিবেশের জন্য ভালো৷ বিশেষ করে কেনিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ, যেখানে আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরে জনসংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাবে৷ তাই সব সময়ে পরিবেশের বিষয়টিকে জোরালোভাবে সামনে রাখতে হবে৷’’
বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিপুল সম্ভাবনা
কেনিয়ার বিদ্যুতের প্রায় ৮০ শতাংশের উৎস পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি৷ ফলে বৈদ্যুতিক যান ব্যবহারের উপযুক্ত পরিবেশ সেখানে রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও মাত্র ৩০০টি বিদ্যুতচালিত যান চালু আছে৷ কেনিয়ায় ই-মোবিলিটি আরও জোরদার করতে উন্নত অবকাঠামো প্রয়োজন৷ বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত গাড়ি বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে না৷ এখনো পর্যন্ত দেশে কোনো চার্জিং স্টেশন নেই বললেই চলে৷ নাইটস এনার্জি কোম্পানির ফিলিক্স কামিরি মনে করেন, ‘‘বৈদ্যুতিক গাড়িকে মূল স্রোতে আনতে হলে আমাদের দ্রুত চার্জ করার ব্যবস্থার প্রয়োজন৷ সেটা করতে হলে ইলেকট্রিক গাড়ি চাই৷ তাই কিছু লোককে সবার আগে ঝুঁকি নিতে হবে৷’’
কেনিয়ার ‘নাইটস এনার্জি’ কোম্পানি বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি করছে ও সৌরবিদ্যুৎচালিত চার্জিং স্টেশন বসাচ্ছে৷ নাইরোবি শহরের মধ্যে ঘোরাফেরার জন্য একবার ব্যাটারি চার্জ করে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব অতিক্রম করা যায়৷ কিন্তু দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় পৌঁছনো সম্ভব নয়৷
প্রকৃতির জন্য ভালো
প্রকৃতি ও পশুপাখির জন্য সংরক্ষিত এলাকায় সেটা কোনো সমস্যা নয়৷ যেমন নাইরোবির উত্তরে প্রায় ৪ ঘণ্টা দূরত্বে ওল পাজেতা অঞ্চল৷ একটি ল্যান্ডক্রুইজার একসময় বিকট শব্দ করে পেট্রোলে চলত৷ এখন সেই গাড়ির মধ্যে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসানো হয়েছে৷ ক্যাম্প অ্যাসিলিয়ার কর্মী স্টিফেন সিয়াপান নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘‘এর ফলে যে নীরবতা সৃষ্টি হয়, তা আমার খুব পছন্দের৷ প্রাণীদের কাছাকাছি গাড়ি চালালে প্রাণীগুলি কোনো শব্দ শুনতে পায় না, তাদের বিরক্ত করা হয় না৷ আমরা প্রাণীর কাছে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারি৷ অন্যান্য জ্বালানিযুক্ত গাড়ির মতো শব্দ করে ইঞ্জিন চালু করে প্রাণীগুলিকে বিরক্ত করা হচ্ছে না৷’’
সুইডেনের ওপিবাস কোম্পানি এ সাফারি-গাড়িটির ইঞ্জিন বদলে দিয়েছে৷ নাইরোবি শহরে এই কোম্পানি বর্তমানে গাড়ি, মোটরসাইকেলের রূপান্তর ঘটাচ্ছে৷ এই কোম্পানি অদূর ভবিষ্যতে বাসেও ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসানোর কাজ করবে৷ প্রায় ৪০ জন কর্মী কোম্পানির হয়ে কাজ করছেন৷ সহ প্রতিষ্ঠাতা ফিলিপ ল্যোভস্ট্রোম এর মাধ্যমে কেনিয়ার জন্য শুধু পরিবেশগত সুবিধাই নয়, অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও দেখতে পাচ্ছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে আরও গভীর স্তরে উৎপাদনের দিকে আমরা এগোবো৷ অর্থাৎ গোটা অঞ্চলে বৈদ্যুতিক যানের জন্য কেনিয়াকে আমরা কেন্দ্রীয় ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলবো৷ তখন আর আমদানির প্রয়োজন হবে না৷ এখানে যান তৈরি হলে সেগুলি এখানে আরও সহজে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে৷ তখন এমন যানের প্রসারও বাড়বে৷ তখন গোটা পরিবহণ ব্যবস্থা আরও দ্রুত ও টেকসই করে তোলা সম্ভব হবে৷’’
কেনিয়ায় বৈদ্যুতিক গাড়ি এখনো বিরল৷ কিন্তু সে দেশে ব্যাপক আকারে এমন যান চালু করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে৷ তখন নাইরোবি শহরের বায়ু দূষণও অনেক কমে যাবে৷
টোমাস হাসেল/এসবি
বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ সাত শহর
নিজেদের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন শহর৷ চলুন এখন অবধি সফল কয়েকটি শহরের কথা জেনে নেয়া যাক৷
ছবি: picture alliance/GES/M. Gilliar
কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক
২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রথম কার্বন-নিরপেক্ষ শহর হতে চায় কোপেনহেগেন৷ ১৯৯৫ সাল থেকে এখন অবধি শহরটি কার্বন নির্গমণের হার অর্ধেকে কমিয়ে এনেছে৷ শহরের একটি বড় অংশকে গাড়িমুক্ত করে এবং উচ্চমানে গণপরিবহন এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা লেন গড়ে ক্রমশ সবুজ শহরে পরিণত হচ্ছে ডেনমার্কের এই রাজধানী৷
ছবি: DW/E. Kheny
রেকইয়াভিক, আইসল্যান্ড
আইসল্যান্ডের রাজধানীতে তাপ এবং বিদ্যুতের পর্যাপ্ত নবায়নযোগ্য সাপ্লাই রয়েছে৷ মূলত হাইড্রোপাওয়ার এবং জিওথার্মাল থেকে আসে এগুলো৷ শহরটির ৯৫ শতাংশ বাড়ির হিটিং সিস্টেম সরাসরি জেলা হিটিং নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত, যা এক চমৎকার ব্যাপার৷ ২০৪০ সাল নাগাদ শহরের সকল গণপরিবহণ জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত করতে হয় নগর কর্তৃপক্ষ৷ সেখানে সাধারণ মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/U. Bernhart
কুরিটিবা, ব্রাজিল
ব্রাজিলের অস্টম বড় শহর কুরিটিবার ৬০ শতাংশ মানুষ শহরের বাস নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল৷ শহরটিতে আড়াইশ’ কিলোমিটার সাইকেল লেন রয়েছে৷ পাশাপাশি হাঁটার জন্যও আছে বিশেষ ব্যবস্থা৷ শহরটির প্রাকৃতিক সবুজ দেয়াল বন্যা রোধে সহায়তা করে৷
ছবি: picture alliance/GES/M. Gilliar
সান ফ্রান্সিসকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সান ফ্রান্সিসকো শহরে ২০১৬ সালে এক আইন পাস করা হয় যাতে নতুন সব ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়৷ শহরটিতে প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ সেই ২০০৭ সাল থেকে৷ ২০২০ সাল নাগাদ নিজেদের আর্বজনামুক্ত শহর ঘোষণার পরিকল্পনা করছে সান ফ্রান্সিসকো৷
ছবি: AFP/Getty Images/J. Edelson
ফ্রাংকফুর্ট, জার্মানি
২০৫০ সাল নাগাদ শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর শহরে পরিণত হতে কাজ শুরু করেছে ফ্রাংকফুর্ট৷ নতুন তৈরি হওয়া ভবনগুলোকে জ্বালানি সাশ্রয়ী করতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে৷ পিভিসির মতো বিতর্কিত সামগ্রী নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ শহরটি আবর্জনার পরিমাণ নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে এক কার্যকরী পন্থা অবলম্বন করে৷
ছবি: CC BY Epizentrum 3.0
ভ্যানকুভার, কানাডা
২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ শহরে পরিণত হতে চায় ফ্রাংকফুর্ট৷ ২০০৭ সালের তুলনায় সেসময় কার্বন নির্গমণের মাত্রা ৩৩ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায় শহরটি৷ শহরটির প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের প্রায় সবটাই আসে হাইড্রোইলেক্ট্রনিক ড্যাম থেকে৷ তবে হিটিং এবং গণপরিবহণে এখনো গ্যাস এবং তেল ব্যবহার করে শহরটি৷
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS.com/A. Chin
কিগালি, রুয়ান্ডা
কিগালিকে বলা হয় আফ্রিকার সবচেয়ে পরিষ্কার শহর৷ এটি পথচারী এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা লেন করার পরিকল্পনা করেছে৷ সেখানে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ আর নগরের বাসিন্দারা মাসে একদিন নগর পরিষ্কারের কাজ করেন৷ তবে নগর পরিষ্কার রাখতে গিয়ে নগরের বাসিন্দাদের উপর বাড়াবাড়িরকম চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন৷
ছবি: Imago/robertharding
লিবিয়ানা, স্লোভেনিয়া
ইউরোপের সবুজ রাজধানী ২০১৬ খেতাবজয়ী এই শহরে বিদ্যুতের উৎস হাইড্রোপাওয়ার৷ গণপরিবহণ, পথচারীদের এবং সাইকেল আরোহীদের জন্য আলাদা লেনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে শহরটি৷ ইউরোপের প্রথম শজর হিসেবে আবর্জনার মাত্রা শূণ্যতে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছে শহরটি, ইতোমধ্যে আবর্জনার ৬০ শতাংশ রিসাইকেল করতে সক্ষম হয়েছে শহরটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Kaufhold
8 ছবি1 | 8
সাইকেলে চড়ে ইউরোপের ইতিহাস দেখা
প্রায় পঞ্চাশ বছর ইউরোপ ছিল পূর্ব আর পশ্চিমে বিভক্ত৷ চরম বৈরি দুই অংশের বিভাজনরেখার প্রতীকী নাম ছিল ‘দ্য আয়রন কার্টেল ট্রেল’ বা লৌহ যবনিকা৷ সেই রেখা এখন সাইকেলে ইউরোপ ঘুরে দেখার পথ৷ চলুন দেখে আসি...
ছবি: picture-alliance/R. Hackenberg
কির্কেনেস, নরওয়ে
ঠান্ডা যুদ্ধের সেই সময়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে যাত্রা শুরু করতে হবে নরওয়ের কির্কেনেস শহরের কাছের এই রাস্তা থেকে৷ বন-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে, হৃদের তীর ঘেঁষে এই পথ গিয়ে মিলেছে রাশিয়ার সীমান্তে৷
ছবি: picture-alliance
সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া
এই পথে প্রথম শহরের দেখা পাওয়া যাবে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে পৌঁছালে৷
১৯২৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল লেনিনগ্রাদ৷ এ শহরে নেভার নদীর তীরে রয়েছে দ্য হার্মিটেজ জাদুঘর৷ জাদুঘরটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে৷
ছবি: picture-alliance
তালিন, এস্তোনিয়া
সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিনে গেলে মুগ্ধ হবেন টাউন হল দেখে৷ এটিও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত৷
ছবি: picture-alliance
রিগা, লাটভিয়া
বাল্টিক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শহর লাটভিয়ার রাজধানী রিগা৷এই শহরের আর্ট নুভৌ-কেও বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো৷
ছবি: picture-alliance
গদান্স্ক, পোলান্ড
বাল্টিক সাগরের তীর ধরে ধরেই এগিয়ে যায় সাইকেল৷ তাই পোলান্ডের গদানস্কে পৌঁছানোর পর মন চাইলে পানিতে টুক করে একটা ডুব দিয়ে আসতে পারেন৷ ভালোই লাগবে! এ শহর থেকেই শুরু হয়েছিল লৌহ যবনিকার পতন৷
ছবি: picture-alliance
ল্যুবেক, জার্মানি
গদান্স্ক থেকে চলে আসুন জার্মানির ল্যুবেকে৷ এ শহরে গেলে হল্সটেন্টর গেটটা দেখতে ভুলবেন না কিন্তু!
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warnecke
পয়েন্ট আলফা, জার্মানি
ঠান্ডা যুদ্ধের সময় পয়েন্ট আলফা নামটি নিয়মিতই স্থান পেতো খবরে৷জার্মানির হেসে আর টুরিঙ্গিয়ার এই সীমান্ত অঞ্চলে সব সময়ই থাকতো টানটান উত্তেজনা৷
ছবি: picture-alliance
চেব, চেক প্রজাতন্ত্র
জার্মানির বাভারিয়া এবং স্যাক্সনির কাছেই চেক প্রজাতন্ত্রের শহর চেব৷ ৩০ হাজার অধিবাসীর এই শহরের কিছু স্থাপত্য দেখলে মনে হবে যেন মধ্য যুগের ফিরে গেছেন৷
ছবি: picture-alliance
ব্রাতিস্লাভা, স্লোভাকিয়া
সাইকেল নিয়ে এরপরে চলে যান স্লোভাকিয়ার ব্রাতিস্লাভে৷ এ শহরের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান ব্রাতিস্লাভা ক্যাসল৷১৯৯২ সালে এখানেই চূড়ান্ত হয়েছিল স্লোভাকিয়ার সংবিধান৷
ছবি: picture-alliance
সপ্রন, হাঙ্গেরি
৬০ হাজার অধিবাসীর এই শহরের টাউন হলটিও (ওপরের ছবিতে মাঝখানে) দেখার মতো৷ অনেক পর্যটকের কাছে অবশ্য ফায়ার টাওয়ার (ওপরের ছবিতে বাম দিকে) বেশি প্রিয়৷
ছবি: picture-alliance
বেলাসিকা মাউন্টেন, গ্রিস
সাইকেল চালানোর এই রুটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান গ্রিসের এই পাহাড় অঞ্চল৷ গেলে নিশ্চয়ই মুগ্ধ হবেন৷
ছবি: picture-alliance
এদির্নে, তুরস্ক
দ্য আয়রন কার্টেন ট্রেল-এর ইতিহাস দর্শন শেষ হবে তুরস্কের এই শহরে গেলে৷ রোমানদের প্রতিষ্ঠা করা এই শহরের পাশেই বুলগেরিয়ার সীমান্ত৷