1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমাজ ও অর্থনীতি নিয়ে ড. ইউনূসের ভাবনা

৯ আগস্ট ২০২৪

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে বৃহস্পতিবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন৷ বিশ্বব্যবস্থা, সমাজ এবং অর্থনীতি নিয়ে এই নোবেলজয়ীর রয়েছে বিশেষ ভাবনা৷

বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সামাজিক ব্যবসা নিয়ে একটি নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছবি: INDRANIL MUKHERJEE/AFP

ব্যবসা-বাণিজ্য, বিশ্বায়ন, সমাজ উন্নয়ন, নারী উন্নয়ন নানান খাতেই ড. মুহম্মদের ইউনূসের যুগান্তকারী ভাবনা বিশ্বমহলে সমাদৃত৷ 

সামাজিক ব্যবসা

সামাজিক ব্যবসা- ধারণার জনক ড. মুহম্মদ ইউনূস৷ সামাজিক ব্যবসা বলতে তিনি এমন একটি ধারণাকে বুঝিয়েছেন যেখানে ব্যবসা করে অর্থসম্পদ উপার্জনের চেয়ে সামাজিক সমস্যা সমাধানের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়৷ প্রাপ্ত মুনাফা ব্যবসার প্রসারণে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়৷ তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক এই ধারণার উপরই প্রতিষ্ঠিত যার মধ্যে দিয়ে দেশে হাজার হাজার মানুষ দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়েছেন৷ ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা বিকাশে ২০০৬ সালে নোবেল পুরস্কার পান মুহম্মদ ইউনূস৷ ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ে তার এই ধারণা অনুন্নত বিশ্বের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে আর ড. মুহম্মদ ইউনূস হয়ে উঠেন গরীবের ব্যাংকার৷

দারিদ্র্য

ড. ইউনূসের মতে, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সমস্যার মূলে রয়েছে দারিদ্র৷ দারিদ্রতার কারণে সমাজে সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে মানবপাচার নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়৷ ‘‘আপনি মানুষকে গরিব রেখে তাকে সুখি করতে পারবেন না … তারা একটি অসহনীয় অবস্থায় থাকবে৷ আপনি যখন বেপোরোয়া, তখন আপনি শান্তির বিনষ্ট ঘটাবেন,'' ২০০৬ সালে নোবেলডটওআরজিকে এই কথা বলেন ড, ইউনূস৷ 

বিশ্বায়ন

বিশ্বয়নের এই যুগে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার সাথে তাল মিলিয়ে অর্থনীতিবিদ ইউনূস সামাজিক ব্যবসা নিয়ে আরেকটি নতুন ধারণা দেন৷ এ বিষয়ে তার পরামর্শ হলো ‘বহুজাতিক সামাজিক ব্যবসা'৷ এই ব্যবসার মূল ধারণাটি হলো, এটি এমন এক ধরণের ব্যবসা, যা গরিবদের হাতে ব্যবসার মালিকানা তুলে দেবে অথবা ব্যবসার মুনাফা স্বল্পোন্নত দেশগুলোতেই থাকবে৷

যেমন, ২০০৭ সালে তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে কন্টিনেন্টাল সমুদ্রবন্দর করে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ অবশ্য সমালোচকেরা বলেছিলেন, এর ফলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং কর্মসংস্থান বিপন্ন হবে৷

এদিকে সম্প্রতি ভারতের একটি সংবাদমাধমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরেকটি ধারণার কথা বলেন ড. মুহম্মদ ইউনূস৷ এর নাম দেন তিনি ‘গ্লোবাল সিভিলাইজেশন'৷ সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ভারতে ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে মন্তব্য করায় ভারতের সমালোচনা করেন৷ এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের এই অস্থিরতা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে৷

নারী

ভবিষ্যৎ নির্মাণে নারীদের ভূমিকা নিয়ে ড. ইউনূসের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে৷ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে কর্মরত নারীর সংখ্যাও পুরুষের তুলনায় বেশি৷

২০১২ সালে হার্ভার্ড রিভিউ বিজনেসকে তিনি বলেন, নারীরা নিজের টাকা দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য কিছু করতে চায়৷ আর পুরুষেরা নিজের টাকা খরচ করে নিজেরা উপভোগ করতে চায়৷''

আরআর/জেডএইচ (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ