সমাধান ছাড়াই শেষ পাকিস্তান-আফগানিন্তান শান্তি আলোচনা
৮ নভেম্বর ২০২৫
সীমান্তে সংঘর্ষের জেরে গত ১৯ অক্টোবর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ৷ এরপর আলোচনা চালিয়ে যেতে তুরস্কে বৈঠকে বসে দেশ দুটির প্রতিনিধিরা৷ কিন্তু শুক্রবারের এই আলোচনায় কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারেননি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা৷
এই পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ৷ তার দাবি, ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে ‘দায়িত্বহীন এবং অসহযোগিতামূলক' আচরণ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী৷
‘‘আলোচনায় পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগানিস্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে৷ তবে তারা নিজেদের এবং আফগানিস্তানের নিরাপত্তার বিষয়ে দায়িত্ব নিতে কোনো আগ্রহ দেখায়নি,’’ বলেন তিনি৷
আলোচনায় কোনো ফল না এলেও যুদ্ধবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র৷ তিনি বলেন, ‘‘এর সাথে যুদ্ধবিরতির কোনো সম্পর্ক নেই৷''
মধ্যস্থতার জন্য কাতার এবং তুরস্ককে জন্য ধন্যবাদও জানান এই তালেবান নেতা৷
যুদ্ধবিরতি বিষয়ে একই কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও৷ দেশটির জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে লঙ্ঘন না করা হলে পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতির সব শর্ত মেনে চলবে৷
এর আগে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ 'সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আফগানিস্তান ব্যর্থ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
কী নিয়ে দুই দেশে উত্তেজনা
পাকিস্তান সরকারের দাবি, কট্টরপন্থি ইসালামিক ভাবধারার তেহরিক-এ-তালেবান পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশে নিজেদের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চায়৷ আফগানিস্তান থেকে কার্যক্রম চালালেও দেশটির তালেবান সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ইসলামাবাদের।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করছে তালেবান৷
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেহরিক-এ-তালেবান, এমন অভিযোগ রয়েছে৷
এমন এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত মাসে আফগান সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনী হামলা চালালে তালেবানের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়৷
আরআর/এডিকে (এপি, এএফপি)