‘সমাবেশ করতে না দেয়া গণতন্ত্র পরিপন্থি’
২৬ ডিসেম্বর ২০১৪![Aktivisten sammeln sich vor dem Sitz der Nationalistischen Partei BNP in Dhaka](https://static.dw.com/image/15802463_800.webp)
বিএনপি বা ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ঘোষণায় উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার দুপুর দুটো থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গাজীপুরে সব ধরনের সভা, সমাবেশ কিংবা মিছিল নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় এই তথ্যটির সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, ‘‘আপনি কি এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন?''
এই প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল হাসান লিখেছেন, ‘‘না, সমর্থন করি না৷ বিএনপিকে সমাবেশের অধিকার দেয়া হোক৷'' শামিমুল হকের মতে হচ্ছে, ‘‘কথা বলার অধিকার দাও? কথা বলার অধিকার না দিয়ে প্রশ্ন করো না৷'' আর কামরুল হাসান মোল্লা ‘‘সর্বদা বাক স্বাধীনতার পক্ষে৷''
ডয়চে ভেলের আরেক পাঠক তুহিন লিখেছেন, ‘‘যদি দেশ স্বাধীন হয়ে থাকে তাহলে বিএনপিকে জনসভা করতে দেয়া উচিত কারণ অনেক আগের থেকেই তাদের সময় সূচি দেয়া৷'' আর হুমায়ুন কবির লিখেছেন, ‘‘এটা কোনো কথা হলো৷ কথা যদি এটাই, তাহলে ডেমোক্র্যাসি কী?'' টুইটারে ‘অভ্রনীল' লিখেছেন:
তবে প্রশাসনে এই সিদ্ধান্তকে সমর্থনও করেছেন কয়েকজন পাঠক৷ পুলক কর্মকার লিখেছেন, ‘‘হ্যাঁ, ভালো প্রশাসনিক ডিসিশন৷'' শাহিনুচ মোহাম্মদ ইসলাম মনে করেন, ‘‘এর ফলে সংঘাত ও হবে না এবং সাধারণ মানুষ ও ভালো থাকবে৷''
কেউ কেউ প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আওয়ামী লীগের ইন্ধন রয়েছে বলেও সন্দেহ করছেন৷ স্নিগ্ধা আক্তার স্নেহা এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘‘প্রশাসনতো আওয়ামীলিগের পক্ষে এই কারণেই এমন করছে৷'' আরিক চৌধুরী লিখেছেন, ‘‘পুলিশ পড়েছে উভয়সংকটে৷ বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিরে ছাত্রলীগ দিবে বাঁশ৷ আর যদি ছাত্রলীগকে সমাবেশ করতে দেয়া হয় তাহলে বিএনপি ক্ষেপে যাবে৷ উভয় দিক থেকেই পুলিশ পড়েছে ঝামেলায়৷''
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই রাজনীতির অপমৃত্যু হয়েছে৷ দুর্ভাগ্য, অপরাজনীতিকেই এখন রাজনীতি বলে চালাবার চেষ্টা করা হচ্ছে৷''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ