সমালোচকদের চোখে বছরের সেরা ছবি ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’
১৪ ডিসেম্বর ২০১০ইন্টারনেটের এই যুগে সামাজিক যোগাযোগের প্রচলিত ধারণাটাই পুরো বদলে দিয়েছে মার্ক জুকারবার্গের গড়ে তোলা ফেসবুক৷ খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০০৪ সালে এই ফেসবুকের জন্ম৷ আর বর্তমানে গোটা বিশ্বে ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে৷ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জুকারবার্গের ফেসবুকের এই পথ পাড়ি দেওয়ার কাহিনীই মূলত তুলে ধরা হয়েছে ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক' ছবিটিতে৷
কি রয়েছে ছবিটিতে? ২০০৩ সালের ঘটনা, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মার্ক বান্ধবীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ফেসম্যাশ নামে একটি ওয়েবসাইট গড়ে তোলেন৷ স্রেফ মজা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের তথ্য ও ছবি হ্যাক করে ওয়েবসাইটটি গড়ে তোলেন তিনি৷ তবে পরে ধরা পড়ে যান এবং শাস্তিও পান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে৷ কিন্তু এর মাধ্যমেই তিনি নজরে পড়ে যান উইংকলভোস ভাইদের৷ তাদের অধীনে ওয়েবসাইটের প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ পান৷ কিছুদিন পরে বন্ধু এডুয়ার্ডোর দেওয়া অর্থে দ্য ফেসবুক নামে একটি ওয়েবসাইট গড়ে তোলেন৷ এরপরের কাহিনী গড়ায় কীভাবে এই দ্য ফেসবুক নিয়ে আইনী জটিলতায় পড়েন মার্ক সেই দিকে৷ পাশাপাশি কীভাবে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় ও পরে স্কুলগুলোতে তাঁর এই ফেসবুক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷
নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিক্স সার্কেল এর চেয়ারম্যান আরমন্ড হোয়াইট জানিয়েছেন, সমালোচকরা প্রথমে ছবিটিকে অত আমলে না নিলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে সকলেরই নজর কাড়ে৷ বিশেষ করে বর্তমান বিশ্বে গণমাধ্যমের একটি নতুন ধারা কীভাবে সৃষ্টি হলো সেটা চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চার তার ‘সোশ্যাল নেটওয়ার্ক' এ৷ সমালোচকরা সেরা ছবির পাশাপাশি সেরা পরিচালক হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছেন ডেডিভ ফিঞ্চারকে৷ এর আগে গত সপ্তাহে লস এঞ্জেলেস এর চলচ্চিত্র সমালোচকরাও ছবিটিকে বছরের সেরা বলে স্বীকৃতি দেয়৷ উল্লেখ্য, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে পহেলা অক্টোবরে৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারূক