1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমালোচনার বাণে জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার

২৩ আগস্ট ২০১১

ইংল্যান্ডের কাছে ধবল ধোলাই-এর পর সমালোচনায় পিষ্ট হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট স্কোয়াড এবং ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিসিসিআই৷ ৪-০ তে সিরিজ হেরে বিশ্ব ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান থেকে ভারতের এখন জায়গা হয়েছে তিনের ঘরে৷

India's Gautam Gambhir hits a ball as England's Graeme Swann misses a catch during the fifth and final day of the second test cricket match between India and England in Mohali, India, Tuesday, Dec. 23, 2008. (AP Photo/Bikas Das)
ফাইল ফটোছবি: AP

ভারতের এবারের ইংল্যান্ড সফরের ফলটা ঠিক এমন দাঁড়িয়েছে - প্রথম টেস্টে ১৯৬ রানে, দ্বিতীয় টেস্টে ৩১৯ রানে, তৃতীয় টেস্টে এক ইনিংস ও ২৪২ রানে এবং চতুর্থ বা শেষ টেস্টে এক ইনিংস ও আট রানে শোচনীয় পরাজয়৷ অবশ্য ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অঘটন নতুন নয়৷ ১৯৯১-৯২ মৌসুমে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল অস্ট্রেলিয়ায়৷ সেসময়ও স্বাগতিকদের কাছে ৪-০ ম্যাচে টেস্ট সিরিজ হেরে ব়্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আসন থেকে তৃতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছিল ভারত৷ তবে তখন ভারতের উপরে অবস্থান ছিল ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার৷ ক্রিকেট বোদ্ধারা অবশ্য ইংল্যান্ডের এই চমৎকার জয়কে ১৯৭৪ সালের ধবল ধোলাইয়ের পুনরাবৃত্তি হিসেবে দেখছেন৷ স্বাগতিকরা তখনও তিন ম্যাচের সিরিজ এবং দু'টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সবগুলোতেই ভারতকে হারিয়েছিল খুব শোচনীয়ভাবে৷

এবারের সফরে অবশ্য অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ইনজুরির কারণে জহির খান এবং হরভাজন সিং-এর মতো সহকর্মীদের ছাড়াই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে৷ ফলে সেটিও এমন পরাজয়ের পেছনে কিছুটা দায়ী হতে পারে৷ তবে ব্যর্থতার কারণ যা-ই হোক, দলের হাল ছাড়তে চাননি ধোনি৷ সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ভাবছি না৷ আমাকে যখন এই দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন আমি এটা চাইনি৷ তবে এই দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সর্বোচ্চ ভালো কিছু দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি৷''

ছবি: AP

ইংল্যান্ডের মাঠে এমন শোচনীয় পরাজয়ের পর ভারতের গণমাধ্যম নানাভাবে সমালোচনার বাণ ঝুঁড়েছে বিসিসিআই-এর দিকে৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়া এই পরাজয়কে বলেছে ‘এ ক্রায়িং শেম' অর্থাৎ অশ্রুসিক্ত লজ্জা৷ পত্রিকাটি অভিযোগ তুলেছে, শুধু অর্থ আয়ের দিকেই নজর দিচ্ছে বিসিসিআই৷ দলের দক্ষতা এবং মান বাড়ানোর দিকে তাদের নজর নেই৷ পত্রিকাটি ব্যঙ্গ করে বিসিসিআই-কে তাদের প্রত্যেকটি অক্ষর নিয়ে বিশেষায়িত করেছে বম্বাসটিক, ক্যালাস, কেওটিক এবং ইনকরিজিবল শব্দ দিয়ে৷ মেল টুডে শিরোনাম করেছে ‘দুর্দশাগ্রস্ত ভারত ধবল ধোলাই'৷ দ্য হিন্দু পত্রিকার মন্তব্য - ‘অবমাননার আর কিছু বাকি নেই'৷

এদিকে, শচিন টেন্ডুলকারের শততম শতক পূরণ হলো না মাত্র নয় রানের জন্য৷ ফলে দলের ভরাডুবির সাথে শচিনের বিশাল রেকর্ড গড়ার ব্যর্থতাটিও যোগ হয়েছে ভক্তদের মনে৷ অবশ্য, শচিনের এই ব্যর্থতাই আনন্দিত হিন্দুস্তান টাইমস৷ তাদের যুক্তি, দলের এমন খারাপ দিনে শচিনের এই রেকর্ড তৈরি হলে তা দলের ব্যর্থতার দিক থেকে মনোযোগ ঘুরিয়ে দিত৷ তাই শচিনের এই রেকর্ড না হয়ে বরং ভালই হয়েছে৷ তবুও সব মিলিয়ে ভারতের যে বেহাল দশা হয়েছে এবারের ইংল্যান্ড সফরে তাতে প্রচণ্ড হতাশ ভারতীয় ক্রিকেট অঙ্গনের সবাই৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ