সাম্প্রতিক গবেষণায় এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা৷ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারগুলো যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়িত হলেও এমনটা হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা৷
এছাড়া প্রায় চার লক্ষ বছর আগে তাপমাত্রা যখন আজকের চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল, তখনো পানির উচ্চতা বেড়েছিল ৬ থেকে ১৩ মিটার৷ আর ৩০ লক্ষ বছর আগে সমুদ্রের পানির উচ্চতা আজকের চেয়ে অন্তত ৬ মিটার বেশি ছিল৷
মানুষের হাতেই পৃথিবীর ধ্বংসের উপায়
জলবায়ু পরিবর্তন বা বিশাল আকারের উল্কা পতন নয়, এমন কিছু বিষয় আছে যা মনুষ্যসৃষ্ট এবং তাতেই পৃথিবীকে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে৷ theconversation.com কী বলছে দেখুন৷
ছবি: picture-alliance/PIXSELL/Puklavec
পারমাণবিক যুদ্ধ
পারমাণবিক যুদ্ধে আণবিক অস্ত্রের ফলে প্রাণ হারাতে পারে কোটি কোটি মানুষ৷ তবে সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় পরমাণু যুদ্ধের প্রভাব, যাকে বলা হচ্ছে নিউক্লিয়ার উইনটার৷ এর প্রভাবে শত শত বছর ধরে তাপমাত্রা নীচে নেমে যাবে অথবা প্রচণ্ড খরা দেখা দেবে৷ বিশ্ব জুড়ে দেখা দেবে খাদ্যের অভাব৷
ছবি: Getty Images/AFP
বায়ো টেকনোলজি বা জীব প্রযুক্তি
জীব প্রযুক্তির নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণেও মানুষের জীবন এখন হুমকির মুখে৷ যেমন একট্রোমেলিয়া ভাইরাসের কথাই ধরা যাক৷ এই ভাইরাসের কারণে জলবসন্ত হয়ে থাকে৷ গবেষণাগারে এই ভাইরাসটি তৈরি করে ইঁদুরের উপর সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ এই ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে৷
ছবি: imago/Science Photo Library
বুদ্ধিমত্তা
যে কোনো লক্ষ্য পূরণের জন্য বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো জরুরি৷ কিন্তু এমন মানুষের হাতে যদি বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের ক্ষমতা থাকে , যারা পৃথিবীর মানুষের অনিষ্ঠ করতে চায়, তাহলে বিপর্যয় ঠেকানো খুব মুশকিল৷
ছবি: Fotolia/DOC RABE Media
ন্যানো প্রযুক্তি
এই প্রযুক্তিতে পদার্থকে অণু বা আণবিক পদার্থ তৈরি হয়৷ এটা অবশ্যই ক্ষতিকর নয় বরং কার্যকরী৷ সমস্যা হলো এ ধরনের জৈব প্রযুক্তিকে খারাপ ভাবে ব্যবহার করা হতে পারে৷ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় হলো যে, এর সাহায্যে খুব দ্রুত এবং অল্প খরচে অস্ত্র উৎপাদন করা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অজানা কিছু
আর একটা সম্ভাব্য বিষয় হলো – পৃথিবীতে জীবনকে ধ্বংস করতে পারে, এমন বিধ্বংসী কিছু জানিস আছে, যার অস্তিত্ব আমাদের জানা নেই৷ কিন্তু সেটা লুকিয়ে আছে৷ অজানা কিছু ঘটার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়৷
ছবি: Fotolia/andreiuc88
5 ছবি1 | 5
এ সব হিসেব দেখে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা হয়েছে যে, বর্তমান বিশ্ব হয়ত সেইসব সময়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গ্রিনহাউস নির্গমন কমানোর জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেটা অর্জনে সমর্থ হলেও সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি সেরকমই হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের৷
তবে গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দ্রেয়া ডাটন বলেছেন, ছয় মিটার বৃদ্ধির ঘটনা ঘটতে কয়েক শতাব্দী লেগে যেতে পারে৷
এমনটা হলে বেইজিং থেকে শুরু করে লন্ডন, ফ্লোরিডা থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে৷
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে একবিংশ শতাব্দীর শেষ নাগাদ সাগরের পানির উচ্চতা ১০ থেকে ৩২ ইঞ্চি বাড়তে পারে৷