1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
প্যানোরামাজার্মানি

সমুদ্রে জরিপ পরিচালনার রোবট তৈরি করে যে কোম্পানি

২৮ জানুয়ারি ২০২৫

সমুদ্রে জরিপ পরিচালনা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য স্বয়ংক্রিয় রোবট তৈরি করে বার্লিনের একটি কোম্পানি৷ এসব রোবট তৈরির কৌশল খুঁজে পেতে কোম্পানিটি সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রাণীর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে থাকে৷

এই কোম্পানির নাম ইভোলজিক্স৷ এর প্রধান নির্বাহী ফাবিয়ান বানাশ বলেন, ‘‘আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য, তার রূপ, তার নান্দনিকতা এবং এটি যেভাবে কার্যকর থাকে তা পছন্দ করি৷ সবকিছুর একটা প্রযুক্তিগত উদ্দেশ্য থাকে৷ এসব যন্ত্রের আকার অনেক বেশ ডায়নামিক হয়ে থাকে, হাইড্রোডাইনামিক ড্র্যাগ অনেক কম থাকে, এগুলো সামনে এগোতে অনেক কম শক্তি ক্ষয় করে, আর শব্দও অনেক কম হয়৷ আর যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য আমরা ডলফিনের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিচ্ছি৷ এছাড়া ডাটা কানেকশনও অনেক ভালো... আর সবকিছুই অনেক পরিবেশবান্ধব৷''

ইভোলজিক্সের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত যন্ত্রের নাম সনোবোট, যা একটি ছোট্ট কাটামারান৷ এটি দিয়ে সহজে ও দ্রুত কোনো এলাকায় পানির গভীরতা মাপা যায়৷ কাটামারানে থাকা কম্পিউটার এআই ব্যবহার করে, যা হারিয়ে যাওয়া পণ্য বা এমনকি মানুষও খুঁজে পেতে সহায়তা করে৷

সমুদ্রের তথ্য সংগ্রহে রোবট ডুবুরি

04:23

This browser does not support the video element.

বর্তমানে ইভোলজিক্সে প্রায় ১০০-র মতো কর্মী আছে৷ দিনে তারা এক বা দুটি সনোবোট তৈরি করছেন৷ কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে এগুলোর দাম এক থেকে পাঁচ লাখ ইউরো হয়ে থাকে৷ প্রায় ৬৫ দেশের ক্রেতা বাঁধ, উইন্ডপার্ক, ব্রিজ তৈরিতে... বা পাইপলাইনের দেখাশোনা করতে এগুলো ব্যবহার করছেন৷ হার্বার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো দেখাশোনা করতেও এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷

ফাবিয়ান বানাশ বলেন, ‘‘অবশ্যই আমরা ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-কৌশলগত বিভিন্ন ঘটনার কথা মাথায় রেখে কাজ করি৷ চীন, রাশিয়া জড়িত থাকায় কৃষ্ণ সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় বিশেষ চ্যালেঞ্জ রয়েছে৷ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেরিটাইম সলিউশন প্রয়োজন৷ জার্মানি ও ইউরোপে মেরিটাইম নিরাপত্তা এখন বড় ইস্যু, এবং এটা আমাদের মেনে চলতে হবে৷''

আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তার সহায়তা করার কথা৷ আর সেজন্য আছে কোয়াড্রোইন, আরেকটি মেরিটাইম রোবট, দেখতে পেঙ্গুইনের মতো৷ সনোবোটের মতো এটি পানির অনেক গভীরে গিয়ে মেরিটাইম ও পরিবেশের অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারে৷ এটি রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়... বা এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেও চলতে পারে৷  

বিভিন্ন কোম্পানি এই প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ সেই সঙ্গে পুলিশ, এমনকি সামরিক বাহিনীরও দৃষ্টি কাড়ছে এটি৷

আলেক্সা মায়ার/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ