1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইয়ট খুঁজে পেল বিমান

২০ অক্টোবর ২০১২

সমুদ্রে নিখোঁজ একটি ইয়ট নাবিকসহ খুঁজে পেয়েছে একটি যাত্রীবাহী বিমান৷ বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় ইয়ট চলে গিয়েছিল গভীর সমুদ্রে৷ ইতিমধ্যে অবশ্য উদ্ধার করা হয়েছে নাবিককে৷ তবে ইয়টটি রয়ে গেছে সমুদ্রেই৷

Mykonos Town, Chora, Mykonos, Cyclades, Greek Islands, Greece, Europe picture alliance / Sergio Pitamitz/Robert Harding Notiz zur Verwendung picture alliance/Robert Harding World Imagery
ছবি: Robert Harding World Imagery

এয়ার ক্যানাডার যাত্রীবাহী বিমান খুঁজে পায় গ্লেন আইকে৷ তাঁর আগে অবশ্য কয়েকদিন সমুদ্রের বুকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ভাসতে হয়েছে তাঁকে৷ ৪৪ বছর বয়সি এই নাবিক এখন সুস্থ আছেন৷ ১২ অক্টোবর আকস্মিক ঢেউয়ের ধাক্কায় গভীর সমুদ্রে চলে যায় তাঁর ইয়টটি৷ এই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘বিকটাকৃতির একটা ঢেউ হঠাৎ করেই আঘাত হানে৷ ইয়টটি যখন পানিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল, তখন আমি ছাদের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে থেতলে যাই৷''

ইয়ট হচ্ছে এক ধরনের হালকা নৌকা যা বিশেষত প্রতিযোগিতার সময় ব্যবহার করা হয়৷ এই ইয়টে করে একাই সিডনি থেকে নিউজিল্যান্ড যাচ্ছিলেন আই৷ দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘এটা অস্বাভাবিক ঘটনা ছিল৷ শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল, বিস্ফোরণ ঘটেছে৷''

দুর্ঘটনার পর আই আবিষ্কার করেন, মাস্তুল ছিঁড়ে গেছে এবং ইয়টে কোনো জ্বালানি তেল নেই৷ এরপর মাস্তুলটি খানিকটা মেরামত করে জরুরি সাহায্যের জন্য সংকেত চালু করেন তিনি৷

এদিকে, গ্লেন আইকে খুঁজতে জোর তৎপরতা শুরু করে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ৷ সাহায্যে এগিয়ে আসে একটি যাত্রীবাহী বিমান৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে ক্যানাডার ভ্যাংকুভারে যাচ্ছিল বিমানটি৷ সেটার পাইলট যাত্রা পথে বিমানটিকে সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩৫,০০০ ফুট উপর থেকে পাঁচ হাজার ফুটে নামিয়ে আনেন৷ এরপর চলার পথেই খুঁজতে থাকেন ইয়টটি৷ আর এভাবেই শনাক্ত হন আই৷ এয়ার ক্যানাডার ক্যাপ্টেন অ্যান্ড্রু রবার্টসন পুরো কাজটি করেছেন যাত্রীদেরকে জানিয়েই৷ এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘যখন আমরা ঐ এলাকায় পৌঁছাই, তখন আমি সবাইকে বাইরের দিকে নজর রাখতে বলি৷ যাতে করে কারো চোখে কিছু পড়লে আমরা সেটা জানতে পারি৷''

বিমানটি ডানদিকে বাঁক নিতেই ‘ফার্স্ট অফিসার' ইয়টটি দেখতে পান৷ সিডনি উপকূল থেকে সেটির অবস্থান তখন ২৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে৷

গত বৃহস্পতিবার আবারো তীরে ফিরেছেন গ্লেন আই৷ উদ্ধারকর্মীরা ৪৩ ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন৷ আপাতত আর সমুদ্রে ফিরে যেতে চাইছেন না গ্লেন৷ তাঁর মতে, কিছুদিন গাছের তলায় বসে থাকতেই ভালো লাগবে৷ হাজার হোক, ভয় কাটতে সময় তো লাগবেই!

এআই/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ