দেখা হলোনা ওবামা-রোহানির
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩![President Barack Obama returns a Marine honor guard's salute as he steps off the Marine One helicopter and walks on the South Lawn at the White House in Washington, Thursday, Dec. 27, 2012, as he returned early from his Hawaii vacation for meetings on the fiscal cliff. (Foto:Charles Dharapak/AP/dapd)](https://static.dw.com/image/16482578_800.webp)
মঙ্গলবারের অধিবেশনের দিকে আশা নিয়েই তাকিয়ে ছিলেন সবাই৷ গত মাসে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরি সম্পর্কে পরিবর্তন আনার সদিচ্ছা অনেকভাবেই করেছেন রোহানি৷ মূল কথা ছিল, তাঁর দেশের মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে নতুন দিনের সূচনা দেখতে চায়৷ নিজের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা একরকম চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিয়েছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্টের দিকে৷ রোহানির সদিচ্ছার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু পরে জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিতে গিয়ে রোহানি তেমন কিছুই বলেননি৷ আণবিক অস্ত্রের বিষয়টি নিয়ে নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেয়ার আগ্রহেই সীমাবদ্ধ থেকেছে তাঁর বক্তব্য৷
তবে বড় দুটি বিষয়ে ইরানের আগের অবস্থানে অটল থাকার বাস্তবতাই ফুটে উঠেছে রোহানির কথায়৷ তাঁর দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টির সমালোচনা করেছেন তীব্র ভাষায়৷ পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধেও কথার তোপ দাগিয়েছেন৷ পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আণবিক বোমা তৈরি পরিকল্পনার ব্যাপারে ‘মিষ্টি কথা' বলে রোহানি আসলে বোমা তৈরির জন্য সময় নিচ্ছেন৷
সব কিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কোন্নয়নে জাতিসংঘের এ অধিবেশন প্রত্যাশার বিন্দুর সামান্য কাছেও যেতে পারতো৷ কিন্তু ওবামা আর রোহানির সংক্ষিপ্ত বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা বিফলে যাওয়ায় সেই সম্ভাবনা আরো ক্ষীণ হয়েছে৷ দুই প্রেসিডেন্টের হাত মেলানোর আনুষ্ঠানিকতাটুকুও সম্ভব হয়নি এ অধিবেশনে৷ তারপরও অবশ্য আশা জাগিয়ে রেখেছে ওবামার একটি কথা৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘পথের বাধাগুলো হয়তো অনেক বড়, তবে (সম্পর্কোন্নয়নে) কুটনীতির পথটি অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখা উচিত বলে মনে করি আমি৷''
এসিবি/এসবি (রয়টার্স)