পশ্চিমবঙ্গের ভোটে সবার নজর নন্দীগ্রামে। মমতা বনাম শুভেন্দুর লড়াইয়ের দিকে। সেই নন্দীগ্রামে বইছে মেরুকরণের স্রোত।
বিজ্ঞাপন
নন্দীগ্রামের সেই জায়গাগুলি একই আছে। সামসাবাদ, তেখালির মোড়, গড় চক্রবেড়িয়াকে বাইরে থেকে দেখলে কিছুই বোঝা যাবে না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে বয়ে যাচ্ছে অন্য এক স্রোত। বিভাজনের স্রোত। যে নন্দীগ্রামে জমিদখলের বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলিম একজোট হয়ে লড়াই করেছিল, সেখানে আজ বিভাজন বড়ই স্পষ্ট। বাস্তব হলো, সামসাবাদের মুসলিম অভিযোগ করছে, হিন্দুরা এখানে বিজেপি-কে ধরে নিয়ে এসেছে। আর গড় চক্রবেড়িয়ার হিন্দুর অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় মুসলিম নেতারা এখানে দাদাগিরি করছে। আর এই বিভাজনই পশ্চিমবঙ্গের এবারের বিধানসভা ভোটে সব চেয়ে চিত্তাকর্ষক লড়াইকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।
তাই নন্দীগ্রামে একই সঙ্গে দুইটি লড়াই হচ্ছে। একটা লড়াই ভোটের, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়ছেন একদা তারই লেফটন্যান্ট শুভেন্দু অধিকারী। গত দশ বছর এই শুভেন্দুর হাতেই তো নন্দীগ্রামের দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিশ্চিন্তে ছিলেন মমতা। দ্বিতীয় লড়াইটা হিন্দু বনাম মুসলিমের। গত দুই-এক বছরে যে লড়াই ঘিরে সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে নন্দীগ্রামে।
দুই পক্ষের নেতারাই এই বিভাজনের কথা মেনে নিচ্ছেন, কিন্তু প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করছেন না। স্থানীয় মানুষের কাছে এই মেরুকরণ ঘোর বাস্তব। আর এটাও ঘটনা, এই মেরুকরণের জন্যই মমতা বনাম শুভেন্দু লড়াইটা অন্য মাত্রা পেয়েছে। তার প্রাক্তন সহকর্মী এবং বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ জানাতে মমতা নন্দীগ্রাম থেকে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এটা তার কাছে একেবারেই কেকওয়াক নয়। বরং রীতিমতো কঠিন ঠাঁই। সে জন্যই নন্দীগ্রামে মমতাকে ভালোরকম প্রচার করতে হচ্ছে। সোমবারও দিনভর তিনি নন্দীগ্রামে রোড শো, জনসভা সবই করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে লড়ছেন মমতা
আগামী ২৭ মার্চ থেকে আট পর্বের বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। কেমনভাবে লড়ছেন গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW
মমতাই প্রথম
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই ২৯১টি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। পাহাড়ের তিনটি আসন ছেড়ে দিয়েছেন শরিক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে। বিজেপি ও বাম জোট প্রথম দুই দফার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে তিনি বাকিদের থেকে এগিয়ে রইলেন।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
বাদ ৬৪ জন বিধায়ক
এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। গতবারের ৬৪ জন বিধায়ককে এবার আর প্রার্থী করেননি তৃণমূল-সুপ্রিমো। তাদের কেউ বিজেপি-তে গেছেন। অন্যরা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। সবমিলিয়ে গতবারের তুলনায় শতাধিক প্রার্থী বদল করেছেন মমতা। নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ থাকলে তাকে আর প্রার্থী করা হয়নি। ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা বাদ পড়েছেন। তাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ভোটে লড়ছেন না। উপরের ছবিটি বাজেট পেশ করার সময় অমিত মিত্রর।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নতুন কেন্দ্রে মমতা
মুখ্যমন্ত্রী নিজে লড়ছেন নতুন কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। তার আগের কেন্দ্র ভবানীপুরে নয়। বিজেপি-তে যোগ দেয়া তার একদা লেফটন্যান্ট শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ ভোঁতা করে দিতে তিনি এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১০ মার্চ তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করবেন। নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যে বড়সড় জনসভা করেছেন মমতা।
ছবি: DW
কম মুসলিম প্রার্থী
গতবারের তুলনায় এবার তৃণমূলে মুসলিম প্রার্থীদের সংখ্যা কম। তৃণমূল এবার ৪৭ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে। গতবার দিয়েছিল ৫৭ জন। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, হিন্দুরা ক্ষুব্ধ বুঝে মুসলিম প্রার্থী কমিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
প্রচার মমতাময়
তৃণমূলের প্রচার মমতাময়। মুখ্যমন্ত্রী সবকটি কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন। জনসভা করবেন। পদযাত্রাও। ইতিমধ্যে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে পদযাত্রা করে ফলেছেন। তাই নন্দীগ্রামে তিনি বেশি সময় দিতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে এসেছেন। সেখানে তার ভোটের দায়িত্বে পূর্ণেন্দু বসু।
ছবি: DW/Sirsho Bandopadhyay
আক্রমণাত্মক প্রচার
বিজেপি-র প্রধান দুই নেতা নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ যে অভিযোগ করবেন, তার জবাব দেয়ার কৌশল নিয়েছেন মমতা ও তার ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বিজেপি এবার প্রচারে অভিষেককে টার্গেট করেছে। মমতা তার জবাব দিয়েছেন। পাল্টা টেনে এনেছেন অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
প্রচারের ভাষা
আক্রমণ করতে গিয়ে অনেক সময়ই ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না তৃণমূল নেতাদের। মোদী-শাহকে হোঁদলকুতকুত ও কিম্ভূতকিমাকার বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তিও উঠেছে।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
আমল দিচ্ছে না তৃণমূল
অনেকে প্রার্থী হতে পারেননি। অনেকে বাদ পড়েছেন। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তুঙ্গে। আরাবুল ইসলাম, সোনালি গুহরা প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। তবে এই ক্ষোভ আমল দিতে চাইছেন না মমতা। তিনি এখন নেমে পড়েছেন ভোটের ময়দানে। শুধু একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আবার জিতলে তিনি বিধান পরিষদ বানাবেন। বেশ কিছু নেতাকে বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।
ছবি: Getty Images/D. Sarkar
পিকে-র কৌশল
তৃণমূলের ভোট কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে প্রশান্ত কিশোর বা পিকে-র। তিনি একদিকে সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূলকে খুবই সক্রিয় করেছেন। অন্যদিকে কীভাবে বিজেপি-র প্রচারের জবাব দিতে হবে, তার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রার্থীদের বিষয়ে একের পর এক সমীক্ষা করেছেন। দুর্নীতি ও অন্য অভিযোগ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ছবি: Hindustan Times/Imago Images
কঠিন লড়াই
এবার কঠিন লড়াইয়ের মুখে মমতা। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বিজেপি। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এবারের ভোট খুবই চিত্তাকর্ষক হবে। মমতার সামনেও লড়াই রীতিমতো কঠিন।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
আর এজন্যই নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র পেশ করার আগে ও পরে মমতা হিন্দু তাসও খেলেছেন। চণ্ডী পাঠ করেছেন। প্রচুর স্তোত্র বলেছেন। একগুচ্ছ মন্দির দর্শন করেছেন। মমতার পায়ে যে চোট লেগেছে, তাকে যে পায়ে প্লাস্টার লাগিয়ে, হুইল চেয়ারে বসে প্রচার করতে হচ্ছে, সেই দুর্ঘটনাও ঘটেছিল, নন্দীগ্রামে মন্দির দর্শনপর্বেই। ক্ষুব্ধ হিন্দু ভোটকে নিজের কাছে আনার জন্য চেষ্টার কসুর করছেন না মমতা।
অন্যদিকে শুভেন্দুও বসে নেই। তিনি নিয়ে এসেছিলেন যোগী আদিত্যনাথকে। শুভেন্দু জানেন, এর ফলে মেরুকরণ বাড়তে পারে। আর তাতে তিনিই লাভবান হবেন। অমিত শাহও নন্দীগ্রামে জনসভা করে গেছেন। ফলে দুই পক্ষই এই বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই নিজেদের জয়ের জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছেন।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় যেখানে গুলি চলেছিল, সেই ভাঙাবেড়া সেতুর পাশে দাঁড়িয়ে অধিকারী পাড়ার স্বপন অধিকারী ডিডাব্লিউকে বললেন, ''কে বাইরে তৃণমূল ও ভিতরে বিজেপি এবং কে বাইরে বিজেপি, ভিতরে তৃণমূল তা বোঝা দায়। হিন্দু-মুসলিম মেরুকরণ এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে, ভোটের ফল কী হবে তা বলা মুশকিল।''
পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটের লড়াই
পশ্চিমবঙ্গে ভোটদাতাদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম। একাধিক জেলায় অনেক আসনে ভোটের ফল প্রভাবিত করেন তারা।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
সব চেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদে
পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই কমবেশি মুসলিম ভোটদাতা আছেন। তবে সব চেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদে। সেখানে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোটদাতা মুসলিম। তারপরেই রয়েছে মালদহ। ৫১ শতাংশ। উত্তর দিনাজপুরে ৪৯ শতাংশ। কলকাতায় ২০ শতাংশ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩৫ শতাংশ, উত্তর ২৪ পরগনায় ২৬ শতাংশের মতো মুসলিম ভোটদাতা আছেন।
ছবি: Reuters/R. De Chowdhuri
মুসলিম ভোটের দাবিদার
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মুসলিম ভোটের প্রধান দাবিদার হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামেদের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চা। গত নির্বাচনে মুসলিম ভোটের সিংহভাগ পেয়েছিলেন মমতাই। এবার বাম জোটও মুসলিম ভোট ফিরে পেতে চায়। ছবিতে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন বাম জোটের শরিক দলের নেতা আব্বাস সিদ্দিকি।
ছবি: Naushad Bhai
আব্বাস সিদ্দিকি ভরসা
বামেদের নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত মোর্চায় আছে কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকির নবগঠিত ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ। ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি সম্প্রতি তার দল গঠন করেছেন। বাম ও কংগ্রেসের আশা, সিদ্দিকি মুসলিম ভোটের একটা অংশ জোটের দিকে টানতে পারবেন।
ছবি: Naushad Bhai
ওয়েইসি এখনো প্রার্থী দেননি
এমআইএম(মিম) নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করেছিলেন। তিনি অনেক আসনে আরজেডি-কংগ্রেসের মুসলিম ভোটে ভাগ বসাতে পেরেছিলেন। তাতে অবশ্য নীতীশ কুমার ও বিজেপি-র জয়ের পথ প্রশস্থ হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে অনেকদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েও প্রথম দফার নির্বাচনে প্রার্থী দেননি তিনি।
ছবি: Imago/Hindustan Times/S. Mehta
ওয়েইসির দলে ক্ষোভ
পশ্চিমবঙ্গে মিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জাহিরুল হাসান পদত্যাগ করেছেন। ওয়েইসি প্রার্থী না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের ১৩টি আসনে প্রার্থী দেয়ার কথা ছিল। সেটাও ঘোষণা করা হয়নি। ওয়েইসির সভাও বাতিল হয়েছে। ফলে ওয়েইসি কী করবেন তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ছবি: Ians
তৃণমূলের আশা
তৃণমূল নেতাদের আশা, গতবারের মতো তারা এবারেও মুসলিম ভোটের সিংহভাগ পাবেন। তবে গতবারের তুলনায় মমতা এবার ১০ জন মুসলিম প্রার্থী কম দিয়েছেন। বিজেপি-র মোকাবিলায় তিনি হিন্দুত্বের তাসও খেলছেন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গত দশ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিমদের জন্য অনেক কাজ করেছেন এবং করার চেষ্টা করেছেন।
ছবি: Indranil Aditya/NurPhoto/picture alliance
মুসলিম ভোট কোনদিকে
পশ্চিমবঙ্গে একসময় মুসলিম ভোট ভাগ হতো বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় তৃণমূল করার পর পরিস্থিতির বদলায়। বিজেপি-র দিকে মুসলিম ভোট বিশেষ যায় না। সে কথা মাথায় রাখলে মুসলিম ভোটদাতার কাছে বিকল্প তৃণমূল ও বাম জোট। দুই মুসলিম প্রধান জেলা মুর্শিদাবাদ ও মালদহ হলো কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। তাদের জয় নির্ভর করছে, মুসলিমরা কতটা পাশে থাকবেন তার উপর। বাকি জেলাতে মুসলিম ভোট পাওয়ার ব্যাপারে তৃণমূল আশাবাদী।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
7 ছবি1 | 7
নন্দীগ্রামে ৩০ শতাংশ মুসলিম আছেন। তৃণমূলের বড় ভরসা তারাই। সেই সঙ্গে মমতা অন্তত ২০ শতাংশ হিন্দু ভোট পেতে চাইছেন। সেই কৌশল নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। অন্যদিকে শুভেন্দুর পুরো আশাই টিকে আছে ওই বিভাজনের উপর।
মমতা শুক্রবারও নন্দীগ্রামে বলেছেন, ''আমি তো বাংলার যে কোনও জায়গা থেকে দাঁড়াতে পারতাম। কিন্তু আমি নন্দীগ্রামে এলাম, কারণ এটি আন্দোলনের ভূমি। আমি আন্দোলনকে, লড়াইকে স্যালুট করতে চাই। এটা আমার প্রিয় ও পবিত্র জায়গা।'' একদিন আগেই মমতা নাম না করে বলেছিলেন, শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীই ছিলেন নন্দীগ্রামে গুলিচালনার ঘটনার নেপথ্যে। মমতার এই কথা থেকেই প্রমাণ, শুভেন্দু লড়াইয়ে আছেন। ভালো করেই আছেন। তাই এই রকম আক্রমণ করতে হচ্ছে তাকে।
শুভেন্দুও বলছেন, তিনি নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতাকে হারাবেনই।
দশ বছর আগে এই নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর বামেদের ৩৪ বছরের শাসন শেষ করে মমতাকে ক্ষমতায় আনার পিছনে বড় ভূমিকা পালন করেছিল। দশ বছর পরে এসে এই নন্দীগ্রামই আবার বিধানসভা ভোটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। নন্দীগ্রামের লড়াই যেমন চিত্তাকর্ষক, তেমনই জোরদার।