‘সময় এসেছে ধর্ম এবং পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে কথা বলার'
২৩ অক্টোবর ২০১৯
ধর্মীয় উগ্রতা আর পুরুষতান্ত্রিকতা এশিয়ার উন্নয়নের পথে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করেন বাংলাদেশের নারী অধিকার কর্মী খুশি কবির৷ তাঁর মতে, এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য মানুষকে অন্ধভাবে সব মেনে নেয়ার বদলে প্রশ্ন করতে হবে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে নারীপক্ষ৷ ঢাকায় সংগঠনটির কার্যালয়ে নেই কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা৷ তার বদলে তাদের সবগুলো জানালাই খোলা৷ বাহিরের গাড়ির শব্দ কিংবা ভিতরে ফ্যানের আওয়াজ নারীপক্ষের কর্মীদের কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে পারে না৷ ডয়চে ভেলেকে খুশি কবির বলেন, পরিবেশবান্ধব হওয়ার ইচ্ছা থেকেই তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার করেন না৷
খুশি কবির এবং তাঁর সংগঠনের কর্মীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের নারীদের অধিকার আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের মতামতকে তারা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন৷ খুশি কবির বর্তমানে কাজ করছেন ভূমি অধিকার ইস্যু নিয়ে৷
তাঁর মতে, পরস্পর সম্পর্কিত দুটি বিষয় বাংলাদেশ ও এশিয়ার দেশগুলোর নারীদের উন্নয়নের পথে বড় বাধা হিসেবে কাজ করে৷ প্রথমটি পুরুষতান্ত্রিকতা আর দ্বিতীয়টি মূলত পুরুষতন্ত্র দ্বারাই গঠিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা৷
পুরুষতান্ত্রিকতার প্রভাব
খুশি কবিরের মতে, পুরুষতান্ত্রিকতা হলো এমন একটি মতবাদ, যার মাধ্যমে পুরুষরা প্রতিটি পর্যায়ে সুবিধাভোগ করে৷ কিন্তু সমাজে এর ব্যাপক প্রভাব সেভাবে উপলব্ধি করা যায় না৷ কেননা জীবন যাপনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষের ধারণা নেই৷ পরুষতান্ত্রিকতা তাদের কাছে প্রকৃতিগত একটি ব্যাপার, যা আসলে সত্য নয়৷
ঈশ্বর যখন রোজগারের উপায়
ধর্ম ব্যবসা ক্রমেই জমে উঠছে ঘানায়৷ এর সঙ্গে উত্থান ঘটছে একদল ধর্মগুরুর৷ ঘানার গির্জাপ্রধানরা খুবই শক্তিশালী৷ অন্যকে সম্পত্তি আর ভালো স্বাস্থ্যের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের অর্থভাণ্ডার ফুলেফেঁপে উঠছে৷
ছবি: Tomaso Clavarino
স্বঘোষিত পয়গম্বর
ড্যানিয়েল ওবিনিম ইন্টারন্যাশানাল গড’স ওয়ে চার্চ তৈরি করে বছর চল্লিশেই নিজের তৈরি সাম্রাজ্যের স্বঘোষিত সম্রাট! ঘানার তিনটি বড় গির্জাও তিনি তৈরি করেছেন৷ এহেন ধর্মগুরু তাঁর জনসভায় সাংবাদিককে আঘাত ও একজোড়া বালক-বালিকাকে চাবকানোর জন্য আপাতত জেলের ঘানি পিষছেন৷
ছবি: Tomaso Clavarino
বিশ্বাসীদের সংখ্যা বাড়ছে
আফ্রিকা মহাদেশে গির্জা ক্রমেই ভক্তদের আকর্ষণ করছে৷ সমীক্ষা বলছে, ধর্মপ্রচারকদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে৷ ২০০০ সালে যে সংখ্যাটা ৩০ লক্ষ ছিল, সেটা ২০১৫-তে বেড়ে প্রায় ৫৫ লক্ষে দাঁড়িয়েছে৷
ছবি: Tomaso Clavarino
রাস্তার ধারেও
ঘানার রাস্তার ধারে ইতিউতি চোখে পড়বে গির্জার বিজ্ঞাপন৷ এখানকার অধিকাংশ গির্জা মাত্র একজন দিয়েই চলে৷
ছবি: Tomaso Clavarino
টিভি চ্যানেলেও রমরমিয়ে
গির্জাপ্রধানরা এখন আর শুধু রবিবারের সকাল বা সপ্তাহের অন্যান্য দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন না৷ টিভি চ্যানেল, ওয়েব টিভি চ্যানেলের দৌলতে তাঁদের ভক্তসংখ্যা এখন অনেক৷ এই ছবিটি একটি লাইভ শো-এর আগে পর্দার পেছনে৷
ছবি: Tomaso Clavarino
প্রার্থনা যখন শব্দদোষে
প্রতিটা গির্জায় সাউন্ড সিস্টেম থাকবেই৷ উচ্চগ্রামের শব্দ সেখানে বাজবেই৷ সেটা রবিবার বা যে কোনও দিনই হতে পারে৷ ফলে যারা কাছাকাছি থাকেন বা কাজকর্ম করেন, তাঁদের পক্ষে সেটা সহ্য করা একরকম মানসিক কষ্টই বলা যেতে পারে৷ তবে সরকার ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে সৃষ্ট দূষণ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা করছে৷
ছবি: Tomaso Clavarino
গির্জাপ্রাঙ্গণে কচিমুখ
তরুণরাই এখন গির্জা চত্বরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ অলৌকিকে বিশ্বাস রাখা, ক্ষত বা রোগ নিরাময়ে দৈবের শরণ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই এখন গির্জা তরুণদের ভরসা কাজে লাগাচ্ছে৷
ছবি: Tomaso Clavarino
ভোর হলো, শুরু হলো
ধর্ম প্রচারে রেডিও খুব সহায়ক৷ সারাদিন ধরে নানা রেডিও চ্যানেলে ধর্মপ্রচারের নানা অনুষ্ঠান শুনতে পাবেন৷ ছবিতে ভোরে ধর্মপ্রচারের এমন দৃ্শ্যই দেখানো হচ্ছে৷
ছবি: Tomaso Clavarino
7 ছবি1 | 7
তাঁর মতে, ব্যক্তি জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে পুরুষতান্ত্রিকতা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে৷ ‘‘পুরুষের মতো নারীরাও এটি (পুরুষতান্ত্রিকতা) আঁকড়ে থাকে৷ সে মনে করে এভাবেই সমাজ গঠন হয়েছে, চলে আসছে এবং এর কোনো বিকল্প নেই৷''
পুরুষতান্ত্রিকতা সমাজের এতটা গভীরে শেকড় গাড়ার জন্য তিনি ধর্মকেও দায়ি করেন৷ ‘‘সব ধর্মই আচরণগত দিক থেকে পুরুষতান্ত্রিক- গঠনের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে চর্চা যেদিক থেকেই বলা হোক না কেন৷'' তাঁর মতে, ধর্মগ্রন্থকে যেভাবে আক্ষরিকভাবে ব্যবহার করা হয় তাতে সমন্বয় করার জায়গা থাকে না৷ এ কারণে নারীর প্রতি বৈষম্যের ধারণাটিও শত শত বছর ধরে টিকে আছে৷ যেভাবে ধর্মগ্রন্থে লেখা হয়েছে এবং যে আচরণ হয়ে আসছে সেটিকে প্রশ্ন করার সুযোগ নেই৷
খুশি কবির মনে করেন, তাঁর এই ধারণার সবচেয়ে বেশি মিল ইসলামের ওয়াহাবিজম ধারা বা মতবাদের সঙ্গে৷ তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যে সুন্নি ইসলামের চর্চা করত সেখানে সুফিবাদের ব্যাপক প্রভাব ছিল৷ ঐতিহাসিকভাবে সুফিবাদের সঙ্গে ওয়াহাবিজমের মতদ্বন্দ রয়েছে৷ ওয়াহাবিজম পৃথিবীর এই অংশের মানুষের কাছে ছিল সম্পূর্ণ নতুন এক বিষয়৷
কিন্তু সৌদি আরবের পেট্রোডলারের প্রভাবে ওয়াহাবিজম দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠে৷ ‘‘যেসব শ্রমিক সৌদি আরবে যান তারা শুধু টাকাই পাঠান না, সাথে হিজাব আর বোরকাও পাঠান৷ এতে একটি মানসিক পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে৷'' খুশি কবির বলেন, ১৫ বছর আগে যেখানে হাতে গোনা কয়েকজনকে বোরকা পরতে দেখা যেতো এখন সেখানে বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে এটি খুব স্বাভাবিক একটি দৃশ্যে পরিণত হয়েছে৷''
বিশ্বজুড়ে নারীদের মিছিল
২০১৭ সালে ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী আন্দোলনে সমবেত হয়েছিল লাখো নারী৷ পরে সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে৷ এবারও নারীদের সম্মান ও অধিকারের দাবিতে বিশ্বজুড়ে হয়েছে উইম্যান মার্চ৷ তারই কিছু ছবি৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/R. Chiu
শুরুর গল্প
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের নারীরা ট্রাম্পবিরোধী মিছিলে অংশ নেন৷ সেই মিছিলই হয়ে ওঠে নারী অধিকারের প্রতীক৷ ট্রাম্প শাসনামলে নারী অধিকার ব্যহত হবে এবং নিপীড়নের শিকার হবেন নারীরা, এমন আশঙ্কা ছিল৷ সেই সময় গঠিত হয় উইম্যান মার্চ নেটওয়ার্ক৷ ২০১৮-র ১৯ জানুয়ারি থেকে সেই নেটওয়ার্ক নারী অধিকারের দাবিতে বিশ্বজুড়ে পথে নামছে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/R. Chiu
দাবি অধিকারের ও সম্মানের
সম্মানের দাবিতে বিশ্বের সব নারী রাজপথে নেমে এসেছিল৷ অ্যামেরিকার ১৫টি শহর ছাড়াও ক্যানাডা, ইতালি, লন্ডন, জার্মানি, স্পেনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বড় বড় শহরের নারীরা নিজেদের অধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নেন৷
ছবি: Imago/Zuma
আবারও ট্রাম্প
১৯ জানুরয়ারিতে সামগ্রিকভাবে নারী অধিকার ও সম্মান নিশ্চিতের দাবিতে রাজপথে নামলেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগানও ছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের ১৫টি শহরে হওয়া এই মিছিল আগাগোড়াই ছিল ট্রাম্পবিরোধী। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে চায় নারীরা– এমন স্লোগানও দেওয়া হয় মিছিলে৷
ছবি: picture-alliance/newscom/K. Cedeno
লন্ডনে ট্রাম্পবিরোধী মিছিল!
লন্ডন শহরের উইম্যান মার্চ নেটওয়ার্কের নারীরা ট্রাম্পের প্রতিকৃ্তি বহন করেন এবং ট্রাম্পবিরোধী নানা স্লোগান দেন৷ মিছিল শেষে রাজপথে ট্রাম্পের ব্যাঙ্গপুতুল পড়ে থাকতে দেখা যায়৷
ছবি: Reuters/Y. Herman
মাইনাস ২২ ডিগ্রিতে মিছিল
ক্যানাডার টরেন্টোর নারীরা যখন রাজপথে নেমে আসেন, তখন শহরটির তাপমাত্র মাইনাস ২২ ড্রিগ্রি৷ প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও কয়েক হাজার নারী নেমে আসেন টরেন্টোর রাজপথে৷ সার্বিকভাবে নারী অধিকারের দাবিই জানান ক্যানাডার নারীরা৷ একই সঙ্গে বিশ্বের বাকি নারীদের প্রতি সংহতিও প্রকাশ করেন তাঁরা৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/J. De Franco
স্লোগানে মুখর মিছিল
মুখে বলা স্লোগান আর হাতে লিখে নিয়ে আসা নানা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার ছিল অধিকারের দাবিতে সরব৷ বার্লিনের মিছিলে এক নারীর পোস্টারে লেখা ছিল, ‘‘ফেমিনিস্ট কোনো নোংরা শব্দ নয়৷’’ এমনকি লন্ডনে টেরেসা মেবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়৷
ছবি: Imago/snapshot
চাই সাম্য
সারা বিশ্বের নারীরা সাম্যের দাবিতেই দাঁড়িয়েছিলেন৷ ঘর থেকে কর্মস্থল, সব স্থানেই সমতার দাবি জানান নারীরা৷ সামনের বছর আবার একই সময় এই সমতার দাবিতে দাঁড়াবেন এ প্রতিশ্রুতি দিয়েই মিছিল শেষ করেন যুক্তরাষ্ট্রের উইম্যন মার্চ নেটওয়ার্ক৷
ছবি: Getty Images/AFP/E. Hambach
7 ছবি1 | 7
নিরাপত্তাবোধ থেকে অনেক নারী হিজাব পরলেও এই পোশাকও তাদের নিপীড়ন, এমনকি ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে পারছে না৷ বিষয়টি উল্লেখ করে খুশি কবির বলেন, নারী তার শরীরের কারণে যৌন নিপীড়নের শিকার হয় এটি ভুল ধারণা৷ সমস্যা মূলত সেই মানসিকতায়, যেখানে নারীকে যৌন বস্তু হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেখানে সে কী পোশাক পরল কিংবা তার বয়স কত সেসব কোনো বিষয় না৷
তিনি পুরুষদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘যদি আমি আপনাদের মতো হতাম আমি নিজেই লজ্জা বোধ করতাম, কেননা, হিজাব আসলে সেই সাক্ষ্যটাই দেয় যে পুরুষ মানুষ না, তারা তাদের লালসা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না৷ কাজেই এটা আমার কাছে অপমানের মনে হতো৷''
নারীদের অধিকার নিয়ে নারীপক্ষের বিভিন্ন দাবি যখন সরকার অতি আধুনিক অ্যাখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করে খুশি কবির তাতে খুবই মর্মাহত হন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন সমতা ও উত্তরাধিকার নিয়ে কথা বলতে শুরু করি তখন একে কট্টর চিন্তা হিসেবে অ্যাখ্যা দেয়া হয়৷ আবার যখন আমরা বলি যে, ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম করা যাবে না, কারণ, এটা সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক, তখনও আমাদের ভীষণ কট্টর বলা হয়৷'' অন্যদিকে যখন ইসলামের প্রচারকরা নারীদের নিয়ে বৈষম্যমূলক কথা বলে তখন সরকার তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না৷
এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সবাইকে কণ্ঠস্বর জাগ্রত করতে হবে বলে মনে করেন খুশি কবির৷ তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ ধর্ম নিয়ে কথা বলতে ভয় পায়, কেননা, এজন্য যে কেউ নির্যাতন বা হত্যার শিকারও হতে পারেন৷ কিন্তু অগ্রগতি আর উন্নয়নের পথে বাধাগুলো দূর করতে হলে ধর্ম আর পুরুষতান্ত্রিকতা নিয়ে কথা বলার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি৷ ‘‘আমরা যারা পরিবর্তনের কাজ করতে চাই তাদেরকে অবশ্যই নিজেদের ভেতরে পুষে রাখা এই বাধা ডিঙ্গাতে হবে এবং মুক্ত হওয়া শিখতে হবে৷''
মুক্তির লড়াইয়ে কুর্দি নারী
নিজেদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন কুর্দিরা৷ এখনো আসেনি কাঙ্খিত স্বাধীনতা৷ তাই মুক্তিকামী কুর্দিস্তান ফ্রিডম পার্টির পেশমারগা বাহিনীতে যুক্ত হলেন কুর্দি নারীরা৷
ছবি: Reuters/A. Rasheed
মুক্তির তীরন্দাজ
লড়াই সংগ্রামটা দীর্ঘদিনের৷ আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি কুর্দিদের অধিকার৷ তবুও হার মানা যাবে না৷ তাই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সামিল হলেন নারীরাও৷ পেশমারগা যোদ্ধাদের পায়ে পা মিলিয়ে লড়াই চান কুর্দি নারীরা৷ শুরু হলো প্রশিক্ষণ৷
ছবি: Reuters/A. Rasheed
বাধার দেয়াল পেরিয়ে
অস্ত্র হাতে যুদ্ধ নামলেই শুধু হয় না৷ আয়ত্ত্ব করতে হয় আরো সব সামরিক কৌশল৷ প্রতিপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে, দুর্গম পথ পাড়ি দেবার কৌশলটাও তো চাই৷ তাই শারীরিক কসরতের প্রশিক্ষণটাও নিচ্ছেন কুর্দি নারীরা৷
ছবি: Reuters/A. Rasheed
পায়ে পায়ে হেঁটে যাবো
মুক্তিকামীদের ঠেকানো খুব মুশকিল৷ ইরাকের ইরবিলে সেনাবাহিনীর পোশাকে মার্চ পাস্ট করে এগিয়ে যাচ্ছেন কুর্দি নারীরা৷ তারা এখন যোদ্ধা৷ তৈরি করছেন নিজেদের৷ লড়াই শুধু নিজের নয়, কুর্দিদের অধিকার আদায়ের৷
ছবি: Reuters/A. Rasheed
পাড়ি দিতে বন্ধুর পথ
অস্ত্র চালানো আর শারীরিক কৌশল তো গেল৷ কিন্তু যুদ্ধ মানেই তো পাড়ি দিতে হবে চড়াই-উৎরাই আর বন্ধুর পথ৷ তাই সম্মুখ যুদ্ধে যাওয়ার আগে নারী সেনারাও ঝালিয়ে নিচ্ছেন নিজেদের৷ পথ যতো কঠিন হোক,পাড়ি দিতে হবে দিগন্ত৷
ছবি: Reuters/A. Rasheed
কৌশলী পদচারণ
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে যুদ্ধ কৌশলের কোনো শেষ নেই৷ ছবিটিই তার প্রমাণ৷ হাত উঁচিয়ে অস্ত্রের স্পর্শ এড়িয়ে পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ৷ কুর্দি নারীরাও বেশ মনোযোগ দিয়েই রপ্ত করে নিচ্ছেন এই সেনা কৌশল৷
ছবি: Reuters/A. Rasheed
উপসংহার: মার্শাল আর্ট
হাতে অস্ত্র না থাকলেও তো লড়ে যায় বীর৷ তার জন্যেও আছে প্রস্তুতি৷ তাই মার্শাল আর্টে পিছিয়ে থাকবেন না কুর্দি নারীরা৷ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন বলে কথা, সব প্রস্তুতি নিয়ে হানা দিতে চান প্রতিপক্ষ শিবিরে৷