ভিন্ন মত ও ধর্মের অনুসারী এবং মুক্তমনাদের হত্যার অবসান চায় ইইউ৷ এ লক্ষ্যে সরকারের প্রতি হত্যা, হামলায় জড়িত সন্ত্রাসের চক্রটি ভেঙ্গে দেয়ার আহ্বান জনিয়ে তারা বলেছে, এসব হামলায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হবে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Rajib Dhar
বিজ্ঞাপন
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সাত দেশের রাষ্ট্রদূতেরা রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে এসব কথা বলেন৷ পরে এক বিবৃতিতে এ সাক্ষাতের কথা জানিয়ে তাদের অবস্থানও তুলে ধরে ইইউ৷
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলাকালে ঢাকায় মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায় খুন হওয়ার পর ধারাবাহিক হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও কয়েকজন ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট৷ হত্যা করা হয়েছে প্রকাশক, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মগুরু, সমকামী অধিকারকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ভিন্ন মতের ইসলামি ভাবধারা অনুসারীদের ৷
নিরাপত্তা নিয়ে যা ভাবছে দেশের মানুষ
বাংলাদেশে একের পর এক মুক্তমনা, ধর্মনিরপেক্ষ লেখক, প্রকাশক, ব্লগার ও ভিন্ন ধর্মের মানুষ খুন হচ্ছে৷ পুলিশ এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললেও, দেশের মানুষ খুব উদ্বিগ্ন৷ ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে রিকশা চালক – আজ কতটা নিরাপদ আমরা?
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
আব্দুল্লাহ রিফাত, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ রিফাত৷ তার মতে, বাড়ি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় – কোথাও তেমন নিরাপদ না কেউই৷ তবে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে তিনি ভাবছেন না এই মুহূর্তে৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
নাফিউল হাসান, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিউল হাসান মনে করেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউই নিরাপদ নয়৷ আমরা একরকম ভয়ের মধ্যেই বসবাস করছি৷ যতক্ষণ বাইরে থাকি, বাসায় অভিভাবকরা চিন্তায় থাকেন৷ অনেক সময় তো স্বাভাবিক ঘোরাফেরাও বন্ধ করতে হচ্ছে৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
প্যারিস তালুকদার, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের ছাত্র
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্যারিস তালুকদার মনে করেন, গত দুই বছরের আগ পর্যন্ত নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কখনো ভাবিনি, গভীর রাত পর্যন্তও ঘুরে বেড়াতাম বিভিন্ন জায়গায়৷ তবে গত দিনগুলোর নানান ঘটনায় আমার নিজেরই খুব ভয় হয়৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
ফারিয়া রিফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী
বেশ নির্ভিক টাইপের মানুষ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ফারিয়া রিফাত৷ কিন্তু দেশের বর্তামান পরিস্থিতিটা তার কাছে খুবই ঘোলাটে মনে হচ্ছে৷ প্রত্যেক দিনই বড় কোনো অঘটন ঘটছে৷ পত্রিকা খুললেই খুন-খারাবির খবর, মনে হচ্ছে ‘মার্ডার’ করাটা এখন সহজ ক্রাইম৷ আমরা প্রত্যেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি৷ ঘর থেকে বেড়িয়ে আবার যে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারব, এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছে না৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
আরিফ জেবতিক, ব্লগার
ব্লগার আরিফ জেবতিক বললেন, ‘‘নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই আছি৷ ব্যক্তিগতভাবে যে যেভাবে পারছি সাবধানে থাকার চেষ্টা করছি৷ জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন আনতে হয়েছে৷ এই যেমন, ‘পাবলিক প্লেসে’ যাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি৷ সিনেমা দেখতাম, নাটক দেখতাম, জগিং করতাম৷ এখন এগুলো আর করতে পারি না৷ যেহেতু পরিস্থিতির কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই, তাই এভাবেই সাবধানে থাকতে হচ্ছে৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
হযরত আলী, ব্যবসায়ী
পুরনো ঢাকার ব্যবসায়ী হযরত আলী৷ তাঁর মতে, দেশের কোনো শ্রেণির মানুষেরই নিরাপত্তা নেই৷ দিনে-দুপুরে খুন-খারাবি চলছে৷ তাই দিন কিংবা রাত – কখনোই নিরাপদ নই আমরা৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
হারিছ মিয়া, ফল ব্যবসায়ী
মাদারীপুরের হারিছ মিয়া গত প্রায় ১৭ বছর ধরে ঢাকায় ফলের ব্যবসা করেন৷ গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে খুন-খারাবি বেড়ে যাওয়ায় খুবই চিন্তিত তিনি৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
আক্কাস আলী, দিনমজুর
পুরনো ঢাকায় ঠেলাগাড়ি চালান আক্কাস মিয়া৷ জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর৷ আপাতত সন্তানদের মুখে তিনবেলা খাবার তুলে দিতে পালেই সন্তুষ্ট তিনি৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
আব্দুর রহমান, রিকশা চালক
লালমনির হাটের আব্দুর রহমান ঢাকায় রিকশা চালান গত প্রায় ছ’বছর ধরে৷ জীবনের নিরাপত্তার চেয়েও তাঁর কাছে বেশি চিন্তার বিষয় ছিনতাই৷ রাস্তায় থাকা হয় বলে প্রতিনিয়ত অনেক ছিনতাইয়ের সাক্ষী তিনি্৷ কিন্তু জীবনের ভয়ে সেগুলোর প্রতিবাদ না করে নিরব দর্শকের ভূমিকাই পালন করতে হয় তাঁকে৷ কিন্তু এতে খুবই মনোকষ্টে ভোগেন বিদ্যালয়ের প্রাথমিকের গণ্ডি পার হতে না পারা এই রিকশা চালক৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
আবুল কালাম, অটোরিকশা চালক
শেরপুরের আবুল কালাম অটোরিকশা চালান ঢাকা শহরে৷ তাঁর কথায়, দেশে কোনো নিরাপত্তা নেই৷ যে যেভাবে পারছে খুন-খারাবি করে যাচ্ছে৷ অপরাধীরা থাকছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে৷ অনেকে ধরা পড়ার খবর শুনলেও তাদের বিচারের আর কোনো খবর পান না বলে জানালেন এই অটোরিকশা চালক৷
ছবি: DW/Muhammad Mostafigr Rahman
10 ছবি1 | 10
সর্বশেষ গত শুক্রবার কুষ্টিয়ায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে হোমিও চিকিত্সক মীর সানাউর রহমানকে৷ পরোপকারী এ চিকিৎসক সাধারণ মানুষকে ‘ফি' না নিয়ে চিকিত্সা সেবা দিতেন৷ এরই মধ্যে তথাকথিত সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস চিকিৎসক হত্যারও দায় স্বীকার করেছে৷
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে একই কায়দায় সানাউর রহমানসহ ১৪ জনকে হত্যা করা হলো৷
এ সব হামলার অনেকগুলোতে ‘দায়' স্বীকার করে তথাকথিত আইএস ও আল-কায়েদার নামে বার্তা পাঠানো হলেও সরকার মনে করে, দেশের ভেতরের জঙ্গিরাই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে৷
রবিবারের বিবৃতিতে ইইউ বলেছে, ‘‘এ সব হামলা মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও বিশ্বাসের প্রতি 'নজিরবিহীন হুমকি তৈরি করেছে৷ মুক্ত, সহনশীল, স্থিতিশীল ও সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি রয়েছে, এসব ঘটনায় তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে৷''
এ সব ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে এবং 'ঝুঁকিতে' থাকা সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ‘সহিংসতার এই চক্র' ভেঙে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে ইইউ৷
শেখ হাফিজুর রহমান
This browser does not support the audio element.
ইইউ বলেছে, ‘‘জঙ্গিবাদ মোকাবেলার জন্য কার্যকর ও ব্যাপক প্রস্তুতি দরকার এবং এ জন্য গণতান্ত্রিক দায়িত্বশীলতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শক্তিশালী মিডিয়া, সহনশীল সুশীল সমাজের প্রয়োজন৷''
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকা দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা জোরালো করতে চায়৷''
সহিংস চরমপন্থা দমনে বৃহত্তর কর্মসূচির পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের প্রয়োজনীয়তার কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি:
এদিকে রবিবারের বৈঠকের ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও তার অগ্রগতি সম্পর্কে ইউরোপীয় মিশনগুলোর প্রধানদের অবহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী৷''
তিনি দাবি করেছেন, ‘‘এ সব হত্যাকাণ্ডে জামায়াতে ইসলামী ও এর সংশিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী জড়িত৷''
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, ‘‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং সরকারকে সমস্যায় ফেলতে এ সব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে৷ প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, জামায়াতে ইসলামী এবং এর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠী যেমন জামাআ'তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি), আনসার আল-ইসলাম, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হরকাতুল-জিহাদ-আল-ইসলাম (হুজি-বি), হিজবুত তাহরির বাংলাদেশ এবং নতুন আবির্ভূত আল-মুজাহিদ নামের কিছু সন্ত্রাসী সংগঠন এ সব হত্যাকাণ্ডে জড়িত৷''
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বিএনপি দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের (সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের) সহযোগিতা করছে৷ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাবে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার যে আহ্বান জানানো হয় তাতেও দলটি কান দেয়নি৷''
যে দেশের গণমাধ্যমের কোনো স্বাধীনতা নেই
না দেশটা বাংলাদেশ নয়৷ তবে বাংলাদেশের অবস্থা যে খুব একটা সুবিধাজনক তাও নয়৷ চলুন দেখে নেই, প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী কোন দেশের গণমাধ্যম কতটা স্বাধীন৷
ছবি: DW/D. Olmos
ইরিত্রিয়া
রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রকাশিত ২০১৬ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুযায়ী, যে দেশটিতে গণমাধ্যমের কোনোই স্বাধীনতা নেই, সেটি হচ্ছে ইরিত্রিয়া৷ গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে স্বৈরশাসকের কবলে থাকে দেশটির কমপক্ষে ১৫ সাংবাদিক এই মুহূর্তে জেলে আছেন৷ প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে সবার নীচে আছে ইরিত্রিয়া৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Lopez
উত্তর কোরিয়া
ইরিত্রিয়ার পরই নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উত্তর কোরিয়া৷ কিম জুন-উনের নেতৃত্বাধীন দেশটি গত ১৫ বছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের একেবারে নীচের দিকে অবস্থান করছে৷ দেশটিতে বিদেশি সাংবাদিকদের ভিসা তেমন দেয়া হয় না, যদিও বা কেউ ভিসা পান, তাঁকে রাখা হয় কড়া নজরদারিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap/Kcna
তুর্কমেনিস্তান
এই দেশটিকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম তথ্য কৃষ্ণ গহ্বর৷ স্বাধীনভাবে কোনো সাংবাদিক কাজ করতে চাইলে তাঁর জন্য মোটামুটি কারাভোগ এবং নির্যাতন নিশ্চিত দেশটিতে৷ ইনডেক্সে তাদের অবস্থান নীচের দিক থেকে তৃতীয়৷
ছবি: Stringer/AFP/Getty Images
ফিনল্যান্ড
এবার যাওয়া যাক, তালিকার উপরের দিকের অবস্থা৷ গত পাঁচবছর ধরেই প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সের শীর্ষে অবস্থান করছে ফিনল্যান্ড৷ দেশটির গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা উপভোগ করে৷ তবে সেদেশের অধিকাংশ পত্রিকা দু’টি মিডিয়া গ্রুপের মালিকানায় রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/van Weel
নেদারল্যান্ডস
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে গত একবছরে দু’ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে নেদারল্যান্ডস৷ দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আইনিভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে৷
ছবি: Imago/SylviaxLederer
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে গতবছর চারজন ব্লগার এবং প্রকাশক খুন হওয়ার পরও প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে কিঞ্চিৎ উন্নতি ঘটেছে৷ আগের বছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়ে দেশটির অবস্থান এখন ১৪৪তম, তবে গ্লোবাল স্কোর কমেছে মাইনাস ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ৷
ছবি: DW/A. Islam
6 ছবি1 | 6
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার যা-ই বলুক না কেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা তদন্তকারীরা এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের এখনো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে পারেনি৷ একটি ঘটনা ছাড়া অন্য কোনো ঘটনা তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই৷ এটা হতাশাজন৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অভ্যনন্তরীণ ব্যাপারে বিদেশিদের চাপ যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি বাংলাদেশে বিরুদ্ধ মতকে দমনের যে প্রবণতা তা-ও গ্রহণযোগ্য নয়৷ সরকারকে মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ নাগরিকদের জীবনের নিরপত্তা দিতে হবে৷ একটি গণতান্ত্রিক সরকারের এটাই প্রধান বৈশিষ্ট্য৷''
আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷