1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনমনে সুদিনের আশা জাগাতে হবে

গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/এসিবি৩১ জানুয়ারি ২০১৫

আফগানিস্তানের নতুন সরকারের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করা৷ তবে আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নিকোলাস হেসম মনে করেন, জনগণকে আস্থায় নিতে পারলে সরকার সব চ্যালেঞ্জেই জয়ী হতে পারবে৷

Ashraf Ghani Archivbild November 2014
ছবি: AFP/Getty Images/S. Marai

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় এসেছে নতুন সরকার৷ আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে দেশের প্রধান নির্বাহী এবং আশরাফ গনিকে প্রেসিডেন্ট করে ‘জাতীয় সরকার' কাজ শুরুর পর থেকেই সামনে আসছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ৷ সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছিল মন্ত্রী পরিষদ গঠন করার ব্যাপারটি৷ অবশেষে ২৫ সদস্যের মন্ত্রী পরিষদ গঠন করা হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট গনির আশা, কোনো কোনো মন্ত্রিকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সংসদনের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রিসভা শিঘ্রই কাজ শুরু করবে৷

জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নিকোলাস হেসমছবি: UNAMA

আফগানিস্তানের জন্য সেটা খুব দরকার৷ বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং তালেবানের হুমকি মোকাবেলা করতেও অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠাটা খুব জরুরি৷ গাব্রিয়েল ডমিনগেজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নিকোলাস হেসমও এ কথা বলেছেন৷

ডিডাব্লিউ: আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার কী মূল্যায়ন?

নিকোলাস হেসম: আফগানিস্তান এখন একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট গনি এবং প্রধান নির্বাহি আব্দুল্লাহ বেশ কিছু সমস্যা, সেসব সমাধানের উপায় এবং সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছেন৷ দেশে নিরাপত্তা বিধানের বিষয়েও পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে সরকার৷ আফগানিস্তানের সৈন্যরা এখন সাহসের সঙ্গেই জঙ্গিদের আক্রমণ মোকাবেলা করছে৷ সাম্প্রতিক কিছু সন্ত্রাসী ঘটনার কারণে কিছু তালেবান অবশ্য এখনো মনে করে যে যু্দ্ধে তারাই জয়ী হবে৷ তাদের ধারণাটা ভুল৷

আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়েছে৷ এর ফলে কি গত এক দশকে শিক্ষা, নারী অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যেটুকু অর্জন সম্ভব হয়েছিল সবই নষ্ট হয়ে যাবে?

আমান তা মনে হয় না৷ এ সব অর্জন ধরে রাখার ব্যাপারে বর্তমান প্রশাসন কিন্তু বদ্ধপরিকর৷ তাছাড়া গত তিন বছরে আমি আফগানিস্তানে বিভিন্ন পেশায় অনেক সাহসি মানুষের দেখা পেয়েছি, যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন৷ সংসদ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যোগ্য এবং সাহসি লোক বাড়ছে৷ জাতিসংঘ এসব অর্জনকে ধরে রাখতে সরকার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত নারী এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে কাজ করে যাবে৷

আপনার দৃষ্টিতে কী কী বিষয় আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে সাফল্য এনে দিতে পারে?

সরকারকে জনগণকে আস্থায় নিতে হবে, যাতে সবার মনে হয় যে আফগানিস্তানের সব মানুষের স্বার্থেই কাজ করছে সরকার৷ জনমনে সুদিনের আশাও জাগিয়ে তুলতে হবে সরকারকে৷

নিকোলাস হেসম, আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ