1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির আন্দোলনের প্রস্তুতি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩১ জুলাই ২০১৪

ঈদ শেষে এবার সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি৷ আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব৷ আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন করার অধিকার বিএনপি-র আছে৷

Bangladesh BNP Begum Khaleda Zia
ছবি: picture-alliance/dpa

তবে আন্দোলনের নামে কোনো অশান্তি সৃষ্টি করা হলে ‘হিম্মত' দেখানোর কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী৷

বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ‘‘দু'একদিনের মধ্যেই বিএনপি-র সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বসবেন৷ ঐ বৈঠকেই আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত হবে৷'' এরমধ্যে জোটের নেতাদের সঙ্গেও কথা হবে বলে জানান তিনি৷

মির্জা ফখরুল জানান, ‘‘সরকারকে পদতাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে৷ এর কোনো বিকল্প নেই৷ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের দেশ পরিচালনার কোনো অধিকার নেই৷''

তিনি বলেন, ‘‘আগের আন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার রাজধানী ঢাকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে৷ ঢাকাই হবে আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র৷ সেকারণেই দলের ঢাকা মহানগর কমিটিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে৷'' বিএনপির এই নেতা আশা করেন, এবার রাজধানীর মানুষ মাঠে নেমে আসবেন, আন্দোলনে শরিক হবেন৷

তিনি বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন কর্মসূচি দেবে৷ সংলাপের মাধ্যমে যদি সমাধান হয় তাহলে আন্দোলন তীব্র করার প্রয়োজন পড়বে না৷ নয়তো আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করে দাবি আদায় করা হবে৷

মির্জা ফখরুলের মতে, তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চাইলেও সরকার তা চায় বলে মনে হয় না৷ সে কারণেই সরকারের মন্ত্রীরা সংলাপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন৷ তাঁরা বলছেন ‘বিএনপি-র সঙ্গে কোনো সংলাপ নয়৷' এই মনোভাব বহাল থাকলে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাবে৷ সাধারণ মানুষ এর জবাব দেবে বলে মনে করেন তিনি৷

‘দু'একদিনের মধ্যেই বিএনপি-র সিনিয়র নেতারা বৈঠকে বসবেন’ছবি: Getty Images

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মনে করেন, বিএনপি-র আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হবে৷ তিনি বলেন, বিএনপি তার দাবি-দাওয়া নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেবে এটাই সবাই আশা করে৷ বিএনপিও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলেছে৷ শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা তাদের অধিকার, বলে মনে করেন তিনি৷

সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘‘বিএনপি-র আন্দোলনে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা নেই৷ তাই সাধারণ মানুষের ভয়েরও কোনো কারণ নেই৷'' সরকার বিএনপি-র শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি৷

তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘‘দেশের মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চায়৷ আন্দোলনের নামে যদি এর কোনো ব্যাঘাত ঘটানো হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নামেবে৷ তখন দেখা যাবে কার কত হিম্মত৷''

তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি যদি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করে তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই৷ তবে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগের জ্বালাও-পোড়াও, পেট্রোল ঢেলে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যা যা দরকার, তাই করবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ