সরকারিভাবেও আমরা সাড়া পেয়েছি: জানা
২০ ডিসেম্বর ২০১১বাংলা ব্লগের পরিধি ক্রমশ বাড়ছে, বাড়ছে নতুন ব্লগারের সংখ্যা, নিবন্ধের সংখ্যা৷ সামহয়্যার ইন ব্লগ ২০০৫ সালে যে কমিউনিটি ব্লগের সূচনা করেছিল, সেটা এখন অনেকটাই পরিপক্ক৷ বর্তমানে বাংলা ব্লগ দিবস পালন করা হচ্ছে ১৯ ডিসেম্বরে৷ এই দিবস সম্পর্কে সোমবার ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সামহয়্যার ইন ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা বলেন, ‘‘গত দু'বছর সামহয়্যার ইন ব্লগ একক উদ্যোগ নিয়ে, সবকটি প্ল্যাটফর্মকে জানিয়ে, মেইল করে এই দিবসটি পালনের চেষ্টা করেছে৷ তাতে অনেকের অংশগ্রহণ ছিল৷ কিন্তু সবাই মিলে আলোচনার মাধ্যমে একসঙ্গে এই দিনটি উদযাপন করার বিষয়টি আগে ছিল না৷ এবার আমরা ১৩টি প্ল্যাটফর্ম একসঙ্গে হয়ে এটা উদযাপন করছি''৷
ভবিষ্যতে এই দিবসটিকে জাতীয়ভাবে, মানে সরকারিভাবে স্বীকৃত একটি দিবস হিসেবে উদযাপনের চেষ্টাও করছে বাংলা ব্লগাররা৷ এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জানা বলেন, ‘‘একটি দিবস আগে তৈরি হয়, এটার সঙ্গে জড়িয়ে যেতে হয় একটি বড় জনগোষ্ঠী৷ তারপর আস্তে আস্তে এটার সরকারি স্বীকৃতির ব্যাপার রয়েছে৷ এব্যাপারে আমাদের অনেক ভালোরকম পদক্ষেপ রয়েছে৷ এবং সরকারিভাবেও আমরা সাড়া পেয়েছি''৷
তৃতীয় ব্লগ দিবস'এর প্রতিপাদ্য বিষয় ‘‘সামাজিক গনজাগরণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সাইবার আইন''৷ বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে সাইবার আইন এবং তাঁর প্রয়োগ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই আলোচনা চলছে৷ বাংলা ব্লগও এই দিনের মাধ্যমে এই আলোচনাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছে৷ জানা বলেন, ‘‘ইন্টারনেটে যে সমস্ত সাইবার অপরাধ হয়, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারিভাবে কী ভাবা হচ্ছে এবং কী পদক্ষেপ আছে এব্যাপারে আমরা আলোচনা করব৷ এবং সব ব্লগ প্ল্যাটফর্মগুলো সোচ্চার হয়ে উঠব''৷
কিছুদিন আগে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, ব্লগে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশালীন ও অসঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া হয়৷ একইসঙ্গে সেগুলো মডারেশন না করায় অসন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি৷ এছাড়া ব্লগ সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যও করেন সরকারের ক্ষমতাসীন এই মন্ত্রী৷ জানা এই বিষয়ে জানান, ব্লগে যে অপরাধ সংঘটিত হয় সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার আছে৷ তবে সেটা ব্লগের সঙ্গে সম্পৃক্তদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে করা যেতে পারে৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই