কার্ডিনাল রাইনহার্ড মার্ক্স বলেছেন যে, যাবতীয় সরকারি ভবনে ক্রস ঝোলানোর নির্দেশ বস্তুত ‘রাষ্ট্রের নামে ক্রসকে বাজেয়াপ্ত করার’ সমতুল৷ বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী ঐ নির্দেশ দেওয়ার জন্য বিপুল সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন৷
বিজ্ঞাপন
দক্ষিণ জার্মানির বাভেরিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার যে তাঁর রাজ্যে যাবতীয় সরকারি ভবনে ক্রস ঝোলানোর নির্দেশ দিয়েছেন, জার্মানির ক্যাথলিক গির্জার সর্বোচ্চ পরিষদ জার্মান বিশপ সম্মেলনের সভাপতি কার্ডিনাল রাইনহার্ড মার্ক্স তার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷
সোমবার কার্ডিনাল মার্ক্স জার্মান দৈনিক স্যুডডয়েচে সাইটুং-কে বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী স্যোডারের নির্দেশ জনমানসে প্রকাশ্য ‘‘বিভাজন, অশান্তি ও বৈরিতা’’ সৃষ্টি করেছে৷
স্যোডার গত বুধবার সংশ্লিষ্ট নির্দেশটি জারি করেন, যা পয়লা জুন তারিখ থেকে কার্যকর হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লেখেন যে, ক্রস ‘‘আমাদের বাভেরীয় সত্তা ও খ্রিষ্টীয় মূল্যবোধের প্রতি স্পষ্ট স্বীকৃতি৷’’
বাভারিয়াকে ভালোবাসার দশটি কারণ
বাভারিয়া হচ্ছে জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট৷ প্রতি বছর সাড়ে সাত মিলিয়ন বিদেশি অতিথি বাভারিয়া ভ্রমণ করেন৷ টুরিস্টদের কাছে জার্মানির এই রাজ্যটির জনপ্রিয়তার দশটি কারণ পাবেন এখানে:
ছবি: picture-alliance/dpa
নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গ
বাভারিয়ার এই রোমান স্থাপত্যশিল্পটি পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ৷ প্রতিবছর ১৪ লাখের মতো মানুষ দুর্গটি দেখতে যান৷ ১৮৬৯ সালে এটি তৈরি করেন রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ৷
ছবি: picture-alliance/Bildagentur Huber
অক্টোবরফেস্ট
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিয়ার উৎসব অক্টোবরফেস্ট৷ প্রায় ষাট লাখের মতো মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন৷ এখন অবশ্য শুধু বাভারিয়া নয়, গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে গেছে অক্টোবরফেস্ট৷ ১৮১০ সালে মিউনিখে এই উৎসবের শুরু হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Felix Hörhager
এশীয়দের প্রিয়
ফ্রাঙ্কোনিয়া অঞ্চলের ছোট শহর রোটেনবুর্গ এশিয়ানদের কাছে বেশ প্রিয়৷ শহরটিতে এখনো কাঠের ঘরবাড়ি রয়েছে৷ একসময় যুদ্ধের কারণে দীর্ঘ সময় এই অঞ্চলের তেমন কোন উন্নতি হয়নি৷ আর এখন সেই পুরনো বাড়িঘরই সম্পদে পরিণত হয়েছে৷ কেননা পর্যটকরা এলাকাটিতে বেশ রোমান্টিক মনে করেন৷
ছবি: Fotolia/World travel images
মিউনিখ – বাভারিয়ার রাজধানী
বাভারিয়া রাজ্যের রাজধানী মিউনিখ জার্মানির অন্যতম সুন্দর মহানগরী৷ এখানে থাকা বিভিন্ন প্রাসাদ, পার্ক এবং মিউজিয়াম পর্যটকদের আকৃষ্ট করে৷
ছবি: Fotolia/sborisov
বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাব
জার্মানির জাতীয় ফুটবল দলের পর সবচেয়ে জনপ্রিয় সম্ভবত বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাব৷ এমনকি বাংলাদেশ, ভারতেও এই ক্লাবের অনেক ভক্ত রয়েছেন৷ মিউনিখে বায়ার্নের খেলাগুলো হয় ‘আলিয়ানৎস আরেনা’ স্টেডিয়ামে৷
ছবি: imago/Imagebroker
‘সুগস্পিৎসে’
জার্মানির সবচেয়ে উঁচু চূড়া বাভারিয়ার অবস্থিত৷ বাভারিয়ান আল্পসের এই চূড়ার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৯৬৩ মিটার উপরে৷ তবে সেখানে যেতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়না৷ দুটো কেবেল কার এবং ‘ট্র্যাক রেল’ রয়েছে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে৷
ছবি: DW
কিং-স লেক
বাভারিয়ার দু’শো লেকের রাজা হচ্ছে এই লেক৷ লেকের পানি একেবারেই স্বচ্ছ৷ সেখানে গেলে মনে হতে পারে বুঝি রূপকথার কোন এলাকায় গিয়ে পৌঁছেছেন৷ পরিবেশবান্ধব ইলেক্ট্রনিক বোটে করে লেক পেরিয়ে বিখ্যাত এক গির্জায়ও যাওয়া যায়৷
ছবি: Fotolia/AndreasEdelmann
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য
বাভারিয়ার সাতটি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হচ্ছে বায়রয়েট-এর মার্গ্রেভাইন অপেরা হাউস৷ ১৭৪০ সালের দিকে তৈরি এই অপেরা হাউসটি ইউরোপে সবচেয়ে সুন্দরভাবে সংরক্ষিত বারক থিয়েটার৷
ছবি: dapd
ন্যুরেমবার্গের ক্রিস্টকিন্ডেলসমার্কট
বাভারিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ন্যুরেমবার্গ৷ অন্তত বিশ লাখ মানুষ ডিসেম্বরে শহরটির ক্রিসমাস মার্কেট দেখতে যান৷ বিশ্বের অন্যতম পুরাতন মার্কেট এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Daniel Karmann
বাভারিয়ার আতিথেয়তা
বাভারিয়ার রয়েছে ৮০০ বিয়ার গার্ডেন, ৬০০ বিয়ার উৎপাদক এবং চার হাজার পানশালা৷ বিয়ারের রাজ্য বলা যায় বাভারিয়াকে৷ তবে সেখানকার ‘ব্রোটসাইট’ বা ‘ব্রেড টাইম’ খাবারও বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: Fotolia
10 ছবি1 | 10
‘ক্রুশ দখল করা'
স্যোডার বলেন যে, নির্দেশটি ধর্মনিরপেক্ষতা সম্পর্কে সাংবিধানিক নিয়মাবলী ভঙ্গ করে না, কেননা ক্রস বাভেরিয়া রাজ্যের ‘‘সত্তার’’ প্রতীক, শুধু খ্রিষ্টধর্মের নয়৷ বাভেরিয়া জার্মানির সর্বাধিক ক্যাথলিক অধ্যুষিত রাজ্যগুলির মধ্যে পড়ে৷ ২০১৬ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাভেরিয়ার ৫০ শতাংশ অধিবাসী নিজেদের রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী বলে পরিচয় দিয়েছেন৷
কার্ডিনাল মার্ক্সের কর্মস্থল বাভেরিয়ার রাজধানী মিউনিখে৷ স্যোডার ক্রসের বাস্তবিক অর্থ উপলব্ধি করতে পারেননি, বলে কার্ডিনালের ধারণা৷ ‘‘ক্রসকে শুধু সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে দেখলে তার অর্থ বোঝা যায় না,’’ মার্ক্স বলেন৷ তিনি যোগ করেন যে, স্যোডারের নির্দেশ ‘‘রাষ্ট্রের নামে ক্রসের দখল নেওয়ার’’ সমতুল৷
মার্ক্স একা নন
মার্ক্সের আগে জার্মানির বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিক স্যোডারের নির্দেশের সমালোচনা করেছেন৷
উদারপন্থি মুক্ত গণতন্ত্রী দল এফডিপি-র প্রধান ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার টুইটারে লেখেন: ‘‘মার্কুস স্যোডার ও তাঁর সিএসইউ দল যেভাবে একটানা দলীয় রাজনীতির স্বার্থে ধর্মের অপব্যবহার করে চলেছেন, তা (তুর্কি প্রেসিডেন্ট) এর্দোয়ানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷ সংবিধানের কোনো ধর্ম নেই!’’
ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে পৃথককরণ
তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসনের আমল থেকে ‘‘ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিচ্ছেদ’’ কথাটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চালু৷ বিভিন্ন দেশের সংবিধানে এই সমস্যার মূল্যায়ন ও সমাধান আজও আলাদা৷ তার কিছু নমুনা৷
ছবি: Jewel Samada/AFP/Getty Images
অস্ট্রেলিয়া
কমনওয়েলথ দেশটির সংবিধানে কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠা বা সরকারি পদ গ্রহণের জন্য কোনো ধর্ম পরীক্ষা নিষেধ করা আছে৷ অপরদিকে যে কোনো ধর্ম মুক্তভাবে পালন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ (ছবিতে সিডনির সংসদ ভবনের উপর অস্ট্রেলিয়ার লোগো)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Coch
ব্রাজিল
ব্রাজিলের বর্তমান সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে; কোনো রাষ্ট্রীয় গির্জা প্রতিষ্ঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সরকারি কর্মকর্তাদের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ‘‘জোট গঠন বা নির্ভরতা’’ নিষিদ্ধ৷ (ছবিতে ব্রাজিলের কনগ্রেসো নাসিওনাল বা জাতীয় কংগ্রেস, যার দুই কক্ষ হলো সেনেট এবং চেম্বার অফ ডেপুটিজ)৷
ছবি: Voishmel/AFP/Getty Images
চীন
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘‘কোনো সরকারি বিভাগ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নাগরিকদের কোনো ধর্মে বিশ্বাস করতে বা না করতে বাধ্য করতে পারবে না; এছাড়া যে সব নাগরিক কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন অথবা করেন না, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করা চলবে না৷’’ (ছবিতে বেইজিং-এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপল, যেখানে প্রতিবছর ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/How Hwee Young
ফ্রান্স
ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদকে ফরাসিতে বলা হয় ‘লাইসিতে’৷ ফ্রান্সে ধর্ম ও রাজনৈতিক ক্ষমতাকে পরস্পরের থেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ একদিকে যেমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, অপরদিকে সরকারি ক্ষমতাকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির প্রভাবমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ (ছবিতে প্যারিসের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় সম্মেলন)৷
ছবি: picture-alliance/ZB/M. Tödt
জার্মানি
জার্মান সংবিধানে ধর্মের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে, যদিও জার্মানিতে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে পুরোপুরি বিচ্ছেদ নেই৷ সরকারিভাবে স্বীকৃত গির্জাগুলিকে পাবলিক কর্পোরেশনের মর্যাদা দেওয়া হয়, তাদের প্রাপ্য কিছু কিছু কর সরকার আদায় করে দেন – তবে বিনামূল্যে নয়৷ ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক পাঠ্য বিষয় নয়৷ (ছবিতে বার্লিনের বুন্ডেসটাগ বা জার্মান সংসদ)৷
ছবি: imago/Schöning
জাপান
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন দখলদারির সময় ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মার্কিন ধ্যানধারণা জাপানে আরোপিত হয়৷ জাপানের সংবিধানে ধর্মপালনের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করা হয়েছে, অপরদিকে সরকার ধর্মপালনের জন্য কোনোরকম চাপ দিতে পারবেন না, অথবা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে সরকারি অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না৷ (ছবিতে টোকিও-র সংসদভবন)৷
ছবি: Reuters
সুইজারল্যান্ড
সুইশ কনফেডারেশনের ফেডারাল সংবিধানে ‘‘ধর্ম ও বিবেকের স্বাধীনতা’’-র গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে, ‘‘কোনো ব্যক্তিকে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ে যোগ দিতে বা অঙ্গ হতে, কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বা ধর্মীয় নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করা চলবে না’’৷ (ছবিতে বার্ন শহরের বুন্ডেসহাউস বা ফেডারাল প্যালেস, যেখানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন বসে)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Klaunzer
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান হলেন ব্রিটিশ নৃপতি স্বয়ং, তিনিই গির্জার উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নিয়োগ করেন৷ হাউস অফ লর্ডস-এও ২৬ জন বিশপের আসন আছে৷ সব সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ সীমিত, যুক্তরাজ্যে সরকারি শাসনও অপেক্ষাকৃতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ৷ ব্রিটেনের অলিখিত সংবিধান অনুযায়ী অপরাপর ধর্মীয় গোষ্ঠীও ব্যাপক স্বাধীনতা উপভোগ করে৷ (ছবিতে প্যালেস অফ ওয়েস্টমিনস্টার)৷
ছবি: Mohammad Karimi
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গির্জা ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ সম্পর্কে জেফারসনের প্রখ্যাত উক্তি মার্কিন সংবিধানে উল্লিখিত নেই৷ ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টে বলা হয়েছে যে, ‘‘(মার্কিন) কংগ্রেস কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে, বা মুক্তভাবে ধর্মপালন নিষিদ্ধ করে কোনো আইন প্রণয়ন করবে না’’৷ (ছবিতে ক্যাপিটল হিল-এ মার্কিন কংগ্রেসের আসন)৷
ছবি: Jewel Samada/AFP/Getty Images
9 ছবি1 | 9
স্যোডার গত মার্চ মাসে বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন৷ তাঁর খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন বা সিএসইউ দল চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের রক্ষণশীল সিডিইউ দলের বাভেরীয় সহযোগী৷
সবুজ দলের বিধায়ক ও জার্মান সংসদের উপ-সভাপতি ক্লাউডিয়া রোট স্যোডারের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মুসলিম, নাস্তিক ও ইহুদিকে একঘরে করার অভিযোগ করেছেন৷ স্যোডার ‘‘ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশান,’’ বলে রোটের ধারণা৷
ভোটের আগে?
বাভেরিয়ায় রাজ্য নির্বাচন আগামী ১৪ই অক্টোবর৷ তার পরিপ্রেক্ষিতে স্যোডার রাজ্যের রক্ষণশীল খ্রিষ্টান ভোটারদের দলে টানার চেষ্টা করছেন, বলে সমালোচনা উঠেছে৷ বিশেষ করে উগ্র দক্ষিণপন্থি এএফডি দল এবার বাভেরিয়ায় সিএসইউ দলের বেশ কিছু ভোট কেড়ে নিতে পারে, বলে খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়নের আশঙ্কা – এমনকি তারা রাজ্য বিধানসভায় তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে, এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে৷ কিন্তু তিনি ভোটের আগে খ্রিষ্টান ভোটারদের খুশি করার আশায় এই নির্দেশ দিয়েছেন কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে স্যোডার এককথায় বলেন, ‘‘না৷’’