1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাসপাতালের ওষুধ চুরি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩

বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন আর ওষুধের আকাল নেই৷ সব ওষুধ রোগীরা বিনামূল্যে না পেলেও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের দাবি, চাহিদার শতকরা ৯৬ ভাগ ওষুধ এখন হাসপাতালগুলোই সরবরাহ করে৷

ARCHIV - ILLUSTRATION - Verschiedene Pillen und Tabletten liegen auf einem Teller, aufgenommen am 20.02.2012. Foto: Matthias Hiekel/dpa (zu dpa «Koalition will Pharma-Einfluss auf Ärzte transparent machen» vom 22.04.2013) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় সরকারি পঙ্গু হাসপাতালের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই গড়ে উঠেছে ১০/১২টি বেসরকারি ক্লিনিক৷ তারাও হাত-পা ভাঙার চিকিত্‍সা দেয়৷ ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানকারই মরিয়ম ক্লিনিকে অভিযান চালায়৷ আর ক্লিনিকের স্টোর রুমে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধ৷ যার গায়ে লেখা আছে ‘বিক্রির জন্য নয়, বিনামূল্যে বিতরণের জন্য'৷ এই ওষুধের মধ্যে আছে ট্যাবলেট, সিরাপ, ইনজেকশন থেকে শুরু করে তুলা ও ব্যান্ডেজ সবকিছু৷

ক্লিনিকের ম্যানেজার আকরাম হোসেন জানান, পঙ্গু হাসপাতালের কিছু কর্মচারী তাদের নিয়মিত টাকার বিনিময়ে ওষুধ দিয়ে যায়৷ তিনি তার খাতা খুলে তাদের নাম, ফোন নাম্বার এবং কোন মাসে কত টাকার ওষুধ তাদের কাছ থেকে কিনেছেন, তাও দেখান৷ ম্যানেজারের দেয়া নাম এবং ফোন নাম্বার ধরে পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে পাওয়া যায় রফিকুল ইসলাম নামে একজনকে৷ তিনি হাসপাতালের অপারেশন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড বয়৷ হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রির অভিযোগ তিনি অস্বীকার করলেও মরিয়ম ক্লিনিকে নিয়মিত আসা যাওয়ার কথা স্বীকার করেন৷ স্বীকার করেন ম্যানেজার আকারামের সঙ্গে পরিচয় থাকার কথা৷ তাহলে ওষুধ বিক্রেতাদের তালিকায় তার নাম কীভাবে এলো জানতে চাইলে বলেন, কেউ শত্রুতা করে তালিকায় তার নাম দিয়ে থাকতে পারেন৷

হাসপাতালের কিছু কর্মচারী নিয়মিত ওষুধ বিক্রি করেছবি: picture-alliance/dpa

বিষয়টি নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার আব্দুল আউয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, হাসপাতালের ওষুধ চুরির অভিযোগ মাঝেমধ্যেই পান৷ কিন্তু তথ্য প্রমাণের অভাবে ব্যবস্থা নেয়া যায়না৷ তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি৷ তবে তিনি বলেন, বড় আকারের নয় ছোট খাট চুরির ঘটনা ঘটে৷

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সেফায়েত উল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, শুধু পঙ্গু হাসপাতাল নয় – দেশের আরো অনেক বড় বড় সরকারি হাসপাতালের ওষুধ চুরির অভিযোগ আছে তার কাছে৷ কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে৷ তবে তিনি মনে করেন হাসপাতালের কর্মচারীরা সত্‍ না হলে এই ওষুধ চুরি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ তিনি বলেন, বড় বড় সরকারি হাসপাতালের চারপাশে বেসরকারি ক্লিনিকগুলো গড়েই ওঠে সরকারি হাসপাতালের রোগী আর ওষুধের ওপর নির্ভর করে৷ আর এ জন্য সরকারি হাসপাতালের ভেতরে এবং বাইরে অসত্‍ চক্র কাজ করে৷

আর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা জানান তারা গত এক বছরে এরকম অন্তত ১০টি সরকারি ওষুধের চালান বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে আটক করেছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ