1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাসপাতালে রোগিদের টাকা ‘হরিলুট'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ জুলাই ২০১৩

বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে রোগিদের কাছ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ আদায় করা কোটি কোটি টাকার ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন এক শ্রেণির কর্মকর্তা এবং কর্মচারী৷ তবে সবাই এই টাকা না পাওয়ায়, এ নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে উত্তেজনা৷

Krankenschwestern arbeitet am Donnerstag (23.06.2011) in einer Krankenstation in Tongi, einem Vorort von Dhakar in Bangladesh, die von der Bundesregierung unterstützt wird. Das ehemalige Ost-Pakistan, das 1971 seine Unabhängigkeit von Pakistan erkämpfte, gehört zu den ärmsten Ländern der Welt. Foto: Tim Brakemeier dpa
ছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালে রোগিদের ১৭ ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে৷ এর জন্য পরীক্ষা ভেদে রোগিদের ৪০ থেকে ৫,০০০ টাকা দিতে হয়৷ একেই বলে ‘ইউজার ফি'৷ এ থেকে যে টাকা আসে তার ৫০ ভাগ হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের বিধান আছে৷ কিন্তু আদালতের নির্দেশে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ‘ইউজার ফি' বণ্টন স্থগিত আছে৷ এদিকে এই সময়ে হাসপাতালগুলোতে ২০০ কোটি টাকা জমেছে৷ আর অভিযোগ উঠেছে যে, এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী সেই টাকা গোপনে ব্যাংক থেকে তুলে নিচ্ছেন৷

এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চলছে উত্তেজনা৷ ব্যাংক থেকে গোপনে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা তুলেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা৷ সেই খবর হাসাপতালের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানতে পারলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন৷ এমনকি তারা টাকার ভাগের দাবিতে পরিচালককে ঘেরাও করেন৷ হাসপতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ শফি মজুমদার ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁকে না জনিয়ে উপ-পরিচালকের সই করা চেকে টাকা তোলা হয়েছে৷ তিনি জানতে পেরে হাসপাতালেই পুলিশ পাহারায় টাকা রাখেন৷ তিনি বলেন, বণ্টনের কোনো নীতিমালা নেই, তাই জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে৷ তার ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বণ্টন করা অবৈধ৷ ড. মজুমদারের দাবি, শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার তিনি সেই টাকা আবার ব্যাংকে ফেরত পাঠিয়েছেন৷

ঢাকার একটি হাসপাতাল....ছবি: picture-alliance/dpa

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খন্দকার মো. সেফায়েত উল্লাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, হাসপাতালের ‘ইউজার ফি'-র ৫০ ভাগ ব্যাংক থেকে তোলার কোনো অনুমতি দেননি তারা৷ তাছাড়া, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় কোনো অনুমতি দিয়েছে বলেও তাঁর জানা নেই৷ তিনি বলেন, এভাবে সরকারি টাকা তুলে তা ভাগ-বাটোয়ারা করা বেআইনি৷ তাই তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন৷

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁরই দায়ের করা রিটের ভিত্তিতে আদালত ‘ইউজার ফি' হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল৷ এখনও রিটের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি৷ এ অবস্থায় টাকা তোলা এবং তা আবার কয়েকজনের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়া অবশ্যই অবৈধ৷

ওদিকে চিকিত্‍সকদের একাংশ রোগিদের কাছ থেকে ‘ইউজার ফি' আদায়ের বিরোধী৷ বাংলাদেশ সিভিল সার্জন সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. এ জে এম মোস্তাক হোসেন তুহিন ডয়চে ভেলেকে জানান, এতে গরিব রোগিদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে৷ আর এই টাকা ভাগৈাভাগি নিয়ে হাসপাতালে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়, নষ্ট হয় চিকিত্‍সার পরিবেশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ