1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘হাইপারঅ্যাক্টিভ’ সিদ্ধান্ত

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ আগস্ট ২০১৩

‘অধিকার’-এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খানকে দ্রুত গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নেয়াকে সরকারের কোনো কোনো নীতি নির্ধারকের ‘হাইপারঅ্যাক্টিভ’ সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা৷ এ কারণেই সরকারকে শেষ পর্যন্ত বেকায়দায় পড়তে হয়৷

ছবি: Reuters

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আদিলুর রহমানের মুক্তি দাবি করেছেন৷ তিনি বলেছেন, যারা সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্য প্রকাশ করে, তাদেরই কারাগারে পাঠানো হয়৷ বর্তমান সরকারই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সরকার যে তথ্য আদিলুর রহমানের কাছে চায়, তার জন্য তাঁকে গ্রেফতারের প্রয়োজন ছিলনা৷ অধিকার ৬১ জন নিহত হয়েছে বলে নাম প্রকাশ করেছে৷ সরকার তাঁদের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা চেয়ে অধিকারের কাছ থেকে পায়নি৷ সরকার সহজেই আদালতে যেতে পারতো৷ এবং আদালতেই তখন আদিলুর রহমান খান পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা জমা দিতে বাধ্য হতেন৷ আর সরকার আদালতে আবেদন জানিয়ে সেই তথ্য নিতেও পারত৷ অথবা আদালত নিজেও তা তদন্তের নির্দেশ দিতে পারতেন৷ সরকারের দাবি সঠিক না অধিকারের – তা জানা যেত৷ যদি অধিকারের তথ্য অসত্য হতো, তাহলে আদালতই ব্যবস্থা নিতেন৷ কিন্তু তা না করে পুলিশ তাকে দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়৷ হাইকোর্ট রিমান্ড বাতিল করায় প্রমাণ হলো সরকারের পদক্ষেপ সঠিক ছিলনা৷''

অধ্যাপক হাফিজুর রহমান আরও বলেন, সরকারের কিছু হাইপারঅ্যাক্টিভ নীতি নির্ধারকদের কারণে এ রকম হয়৷ যদি আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার না করে আদালতে যাওয়া হত তাহলে হয়তো ৬ই মে কত জন নিহত হয়েছে সেই বিতর্কের অবসান ঘটতো৷ কিন্তু সেই বিতর্ক এখন থেকেই যাবে৷

আইন ও সালিস কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘কোনো মানবাধিকার সংগঠন যদি অসত্য অথবা বিকৃত তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করে, তার বিরুদ্ধে সরকার কেন যে কোনো ব্যক্তির আইনত ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে৷ সরকার যদি মনে করে অধিকার হেফাজতের ঘটনায় অসত্য তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেছে, তাহলে তা সরকারকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে৷ সরকার তা না করে আদিলুর রহমান খানকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন৷''

তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনো দলের হয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংগঠনের কাজ না৷ কিন্তু সরকার যদি দাবি করে কোনো মানবাধিকার সংগঠন দলীয়, তাহলে সরকারকেই তা প্রমাণ করতে হবে৷ গ্রেফতার বা রিমান্ডে নিয়ে তা করা যাবেনা৷ কেউ যেমন আইনের ঊর্ধ্বে নয়, তেমনি সরকারকে আইনের আওতায় সমাধান চাইতে হবে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ