1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‌‌সরকার ও শাসক দল দুইয়ের শীর্ষে অমিত শাহ

রাজীব চক্রবর্তী নতুনদিল্লি
১৯ জুন ২০১৯

দলের গঠনতন্ত্র বলছে, ‌এক ব্যক্তি এক পদ৷ ভারতীয় জনতা পার্টিতে এই নিয়ম বদলে দিলেন মোদী-‌শাহ জুটি!‌ আরও কয়েক মাস দলের সভাপতি পদে থাকবেন সেই গুজরাট থেকে মোদীর ছায়াসঙ্গী বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷

Indien Vereidigung neues Kabinett von Premierminister Narendra Modi
ছবি: PIB Govt. of India

এবার সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির বিপুল জয়ের সঙ্গেই ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ জুটির ক্ষমতাবৃদ্ধির তত্ত্ব৷ বিস্তর আলোচনা এই নিয়ে একদিকে, রাজনাথ সিংকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেসরকারি কাঠামোয় প্রধানমন্ত্রীর পর দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছেন মোদীর বিশেষ আস্থাভাজন বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ৷ অন্যদিকে, মেয়াদ সমাপ্ত হলেও শাসক দল বিজেপি‌র শীর্ষ পদে এখনই নতুন কাউকে আনতে নারাজ না মোদী-‌শাহ জুটি৷ অবস্থাটা এমনই যে, দলে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার লোক নেই৷

সমালোচকেরা বলছেন, অতীতে যে নিয়মে নীতিন গাডকারি, রাজনাথ সিং-‌রা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে থাকতে পারেননি, এখন সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের পদের মেয়াদ আরও বাড়িয়ে নিলেন শাহ৷

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই মোদী অমিত শাহর ওপর নির্ভরশীল:সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়

This browser does not support the audio element.

এই বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডয়চে ভেলেকে জানালেন, ‘‌‘‌প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহর ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল৷ সেটা সেই গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকে শুরু হয়েছিল৷ এবার মোদী-‌শাহ জুটি আরও ক্ষমতাবান৷ আশচর্যজনক হলেও এই জুটির ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ অনুমোদন দিয়েছে৷ দ্বিতীয়বার সরকারে এসে দলের ‘‌এক ব্যক্তি এক পদ'‌ নিয়মের তোয়াক্কা করেননি তাঁরা৷ বিজেপির বর্তমান অবস্থা এমনই যে নীতি, নিয়মের কথা স্মরণ করানোর মতো কেউ নেই'‌'‌৷

বিজেপির সূত্র জানাচ্ছে, আগামি কয়েক মাস বিভিন্ন রাজ্যে সাংগঠনিক রদবদল হবে৷ কিন্তু, দলের সর্বভাতীয় সভাপতি পদের নির্বাচন আপাতত স্থগিত রাখছেন অমিত শাহ৷ তাঁর নেতৃত্বেই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ মেয়াদ সমাপ্ত হলেও আরও মাস ছ'‌য়েক ডিসেম্বর পর্যন্ত দলের শীর্ষে থাকবেন তিনি৷ দলের কার্যকরী সভাপতি পদে বসানো হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে৷ দলের নেতারা অনেকেই বলছেন মাস ছয়েক পর নাড্ডার হাতেই দলের ব্যাটন তুলে দিতে চান মোদী-‌শাহ জুটি৷

কিন্তু, দল ও সরকারের শীর্ষ পদে কেন থাকবেন?‌ সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে কেন্দ্র ও দেশের প্রতিটি রাজ্যের ওপর ‘‌নজরদারি'‌ চালাতে হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিকল্প কিছু নেই৷ প্রধানমন্ত্রীর অবর্তমানে তিনিই সর্বেসর্বা৷এছাড়াও অতি গুরুত্বপূর্ণ সিবিআই, ইডি, ‘‌র'‌, আইবি ইত্যাদি গোয়েন্দা এজেন্সির নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ বস্তুত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর ছায়া হয়ে উঠেছেন মোদীর ছায়াসঙ্গী অমিত শাহ৷ দলের শীর্ষ পদে আগামী কয়েক মাস নিজের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানোর প্রধান উদ্দেশ্য হল, দলকে আশানুরূপ মজবুত করে তোলা৷ বিশেষত যে রাজ্যে সংগঠন দুর্বল, সেই রাজ্যগুলিতে৷

এই লক্ষ্যে দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানের কর্মসূচি নির্ধারণ করেছেন শাহ৷ তাঁর লক্ষ্য, কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সদস্য সংখ্যা অন্তত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা৷ এমনিতে বিজেপি‌র সাংগঠনিক নির্বাচন হবে আগামি কয়েক মাস ধরে৷ এরমধ্যেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে৷ তবে, জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে৷ ‌এই রাজ্যগুলিতে কীভাবে বিপুল জয় ছিনিয়ে আনা যায়, সেই লক্ষ্যে অবিচল সরকার ও দলের প্রধানরা৷

সব দেখেশুনে নিন্দুকরা বলছেন, ‘‌‘‌ভারতীয় জনতা পার্টির নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেশের ভালোমন্দ ঠিক করার গুরু দায়িত্ব নিজেরাই নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন মোদী-‌শাহ জুটি৷''‌‌

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ