1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকার বিএনপিকে সংগঠিত হতে দিতে চায় না

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ নভেম্বর ২০১৪

শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি৷ এর প্রতিবাদে বিএনপি রবিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে৷ ঢাকা মহানগর পুলিশ অনুমতি না দেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেয়নি৷

Aktivisten sammeln sich vor dem Sitz der Nationalistischen Partei BNP in Dhaka
ছবি: DW

এর আগেও ঢাকায় সমাবেশ করতে গিয়ে বিএনপি বাধার মুখে পড়েছে৷ গত ১৬ মে ডেমরা, যাত্রাবাড়ি, মাতুয়াইল এবং নারায়ণগঞ্জে সমাবেশের অনুমতি পায়নি দলটি৷ তখন তারা নারায়ণগঞ্জে সাতখুন এবং গুম-অপহরণের বিরুদ্ধে একযোগে এই সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল৷ ২০১৩ সালের ১৪ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও একইভাবে সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি বিএনপিকে৷ এর আগে ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে তাণ্ডবের কারণে অনুমতি দেয়া হয়নি বলে তখন পুলিশ জানিয়েছিল৷

তবে এরমধ্যে পুলিশ যেসব সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল তাতে ছিল নানারকম শর্ত৷ যেমন মাইক ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার প্রতিশ্রতি ইত্যাদি৷ এছাড়া অনুমতি মিলেছিল একেবারে শেষ মুহূর্তে, নানা দৌড়ঝাপের পর৷

‘বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া পুলিশের ব্যাপার’ছবি: Reuters

বিএনপির বক্তব্য

শনিবার সমাবেশ করতে না পেরে বিএনপি রবিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে৷ দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, সারাদেশে মহানগরের থানায় এবং জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে৷

তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই৷ গণতন্ত্র এখন পুলিশের বুটের নিচে৷ পুলিশ কর্মকর্তারা রাজনৈতিক নেতাদের ভাষায় কথা বলছেন৷ পুলিশ কর্মকর্তারা এতই ক্ষমতাশালী হয়েছেন যে তাঁরা সমাবেশের অনুমতি দেন না৷ পুলিশ দ্বৈতনীতি নিয়েছে৷ তারা আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়, কিন্তু বিএনপিকে অনুমতি দেয় না৷''

বিএনপি জানায়, সমাবেশের ঘোষণা দেয়ার পর প্রথমে ৭ নভেম্বরের কথা বলা হলেও পরে তা এক দিন পিছিয়ে ৮ নভেম্বরের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছিল বিএনপি৷ কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুমতি না পাওয়ায় দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ ভুলু ও অর্থ সম্পাদক আবদুস সালাম ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান৷ প্রায় এক ঘণ্টা তারা সেখানে অবস্থান করলেও অনুমতির বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি৷ পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমতি না দেয়ার ব্যাখ্যা দেয়নি৷

‘পুলিশের ব্যাপার’

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়া পুলিশের ব্যাপার৷ তারা কী কারণে অনুমতি দেননি তারাই ভালো বলতে পারবেন৷

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সরকার কোনোভাবেই এই মুহূর্তে বিএনপিকে সংগঠিত হতে দিতে চায় না৷ তাঁদের আশঙ্কা, সমাবেশে জামায়াত শিবির ঢুকে গিয়ে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে৷ তাঁরা মনে করেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এই সরকারের এক বছর পূর্তি হতে আর মাত্র দুই মাস বাকি৷ বিএনপি হয়তো চাইবে এই একবছরকে সামনে রেখে নতুন করে দলকে চাঙ্গা করে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে৷ তাই সরকার আগামী মার্চ এপ্রিল পর্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থাকবে৷ বিশেষ করে বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো যাতে কোনোভাবেই নতুন করে সংগঠিত হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে৷

শনিবারের সমাবেশ ছিল বিএনপির ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস'এর৷ যাকে আওয়ামী লীগ গ্রহণ করে না এবং এটাকে তারা দেখে সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে৷ তবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের কাছে এ নিয়ে ডয়চে ভেলে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷

জামায়াতেরও বিক্ষোভ রবিবার

কামারুজ্জামানসহ যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত ও বিচারাধীন দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী৷ যুদ্ধাপরাধ মামলায় দলের তিন নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের প্রতিবাদে গত সপ্তাহজুড়ে হরতাল করার পর এ কর্মসূচি ঘোষণা করল দলটি৷ শনিবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ