1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সর্বত্র নিষিদ্ধ হয়ে আশ্রয় নিয়েছে ইউটিউবে

২৬ আগস্ট ২০১০

রেডিও, টেলিভিশন কিংবা সংবাদপত্রে জায়গা না পেয়ে এবার ভিন্ন কৌশলে শুরু হয়েছে ধূমপানের বিজ্ঞাপন৷ এমনকি সিগারেট কোম্পানিগুলো কোন অনুষ্ঠানেও অর্থায়ন করতে না পেরে এবার বেছে নিয়েছে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউব৷

Teenage, girls, smoking, cigarettes, নিষিদ্ধ, ইউটিউবে, ধূমপান
ছবি: AP

চিকিৎসা বিষয়ক গবেষকরা উদ্বেগের সাথে জানালেন ইউটিউবে ধূমপানের বিজ্ঞাপনের খবর৷ নিউজিল্যান্ডের ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, খ্যাতিমান তারকা, সংগীত শিল্পী, ক্রীড়াবিদ কিংবা কার্টুনের মাধ্যমে ধূমপানে উৎসাহব্যঞ্জক বিজ্ঞাপন ছাড়া হচ্ছে ইউটিউবে৷ এর ফলে বিশেষ করে তরুণরা আরো বেশি করে ধূমপানে উৎসাহিত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা৷

গবেষকরা ইংরেজি ভাষায় তৈরি সবচেয়ে জনপ্রিয় ১৬৩ টি ভিডিও ক্লিপ নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন৷ এসব ভিডিও ক্লিপে তাঁরা দেখার চেষ্টা করেছেন যে, ধূমপানের কিংবা কোন সিগারেট কোম্পানির ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক প্রভাবক রয়েছে কি না কিংবা থাকলে সেটা কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে৷ তাঁরা লক্ষ্য করেছেন যে, এগুলোতে পাঁচটি সিগারেট কোম্পানির সরব উপস্থিতি রয়েছে৷ এগুলো হলো মার্লবোরো, এলঅ্যান্ডএম, বেনসন অ্যান্ড হেজেস, উইন্সটন এবং মাইল্ড সেভেন৷

এসব ভিডিও ক্লিপের মধ্যে অনেকগুলোই সিগারেটের সেসব পুরনো বিজ্ঞাপন এবং পোস্টার যেগুলো বিভিন্ন দেশে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হতো, কিন্তু এখন নিষিদ্ধ৷ রয়েছে এমন সব বিখ্যাত ছবির জনপ্রিয় তারকাদের অভিনয়ের দৃশ্য যেগুলোতে ধূমপান করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতাকে৷ আবার সিগারেটের ব্র্যান্ডের নামটিও দেখা যাচ্ছে৷ রয়েছে সিগারেট কোম্পানির অর্থায়নে অনুষ্ঠিত কিছু ক্রীড়া ইভেন্টের ভিডিও৷ রয়েছে দ্য ফ্লিন্টস্টোন্স, দ্য বেভার্লি হিলবিলিস, এমনকি দ্য বিটলস'সহ ৫০ এবং ৬০ এর দশকের টেলিভিশন ফুটেজ৷

গবেষকদের হিসাবে, এসব ভিডিও ক্লিপের ৭১ শতাংশই ধূমপানে উৎসাহিত করে৷ মাত্র চার শতাংশ রয়েছে ধূমপান বিরোধী৷ আর ২৫ শতাংশ দৃশ্য ধূমপান নিরপেক্ষ৷ এগুলোর মধ্যে ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে দেখা হয়েছে মার্লবোরো'র ভিডিও ক্লিপ৷ প্রত্যেকটার দর্শক গড়ে প্রায় এক লাখ চার হাজার৷ এমনকি এগুলোর মধ্যে একটি ক্লিপের দর্শক সংখ্যা বিশ লাখ ছুঁয়েছে৷ এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে ‘টোবাকো কন্ট্রোল' নামের ব্রিটিশ সাময়িকীতে৷ তবে এসব ভিডিও'র জন্য সিগারেট কোম্পানিগুলোকে সরাসরি দায়ী করা হয়নি৷ কারণ অন্য যে কোন ব্যক্তি এসব ভিডিও ইউটিউবে সংযোজন করতে পারে৷ তবে এগুলোর মধ্যে ২০টিই বেশ পেশাদারিত্বের সাথেই বানানো বলে মনে করছেন গবেষকরা৷ অথচ এসব ভিডিও'র অপব্যবহারের জন্য সিগারেট কোম্পানিগুলো কেন এদের নির্মাতাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি - এমন প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা৷

গবেষক দলের সদস্য লুসি এলকিনের মন্তব্য, ইউটিউব ধূমপান শিরোনামে একটি শ্রেণী রাখতে পারে এবং জনগণ ধূমপান সংক্রান্ত যেসব ভিডিও নেতিবাচক বলে চিহ্নিত করবে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে পারে৷ অবশ্য, এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশের পর অধিকাংশ সিগারেট কোম্পানিই এগুলোর সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছে৷ এছাড়া এগুলো ইউটিউব থেকে মুছে ফেলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন অনেকে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ