বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা
২ আগস্ট ২০১২বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ'এর সঙ্গে কথা বলেন অরুণ শঙ্কর চৌধুরী৷ ড. আহমেদকে প্রথম প্রশ্ন ছিল: পরিস্থিতি তাহলে এখন কি দাঁড়াল?
এই নতুন প্রস্তাবের ফলে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি ঘটল বলে ড. আহমেদ মনে করেন না৷ নির্বাচনের সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চিরকালই বিরোধীপক্ষের দাবি ছিল, তা সে বিএনপি হোক, আর আওয়ামী লীগই হোক, বলে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি৷ বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন তারাও শেষ সময়ে এসে এই দাবিতে রাজি হয়েছিল৷ বিরোধীপক্ষের দাবি চিরকালই ছিল যে, শাসকদলের অংশগ্রহণ থাকলে মুক্ত এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়৷
কাজেই শেখ হাসিনার বিবিসি সাক্ষাৎকারে নতুন কিছু দেখেননি অথবা শোনেননি ড. আহমেদ৷ তিনি এটাকে একটা রাজনৈতিক চাল বলেই মনে করেন৷ অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন অন্তত তুলনামূলকভাবে বেশি নিরপেক্ষ হবে কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আহমেদ বলেন, সেটা নির্ভর করবে, কে সেই সরকারের প্রধান হবেন, তার উপর৷
এই প্রসঙ্গে তিনি যে ধারণাটির উত্থাপন করেন, সেটি হল, প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন যে, সরকারের প্রধান হবেন বিরোধীপক্ষের নেতা, ‘‘তাহলে হয়তো এক ধরণের চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে৷'' কিন্তু যদি তিনি বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীই প্রধান হয়ে থাকবেন, ‘‘তাহলে বোঝা যাচ্ছে যে, এটা একটা নন-ইভেন্ট, এ নিয়ে আর বেশিদূর আলোচনা করা যাবে না৷''
সাক্ষাৎকার: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ