1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সস্তায় ইলেকট্রিক গাড়ি

৫ এপ্রিল ২০১৮

বায়ু দূষণের ফলে আজ বড় বড় শহরের মানুষ বিপর্যস্ত৷ পেট্রোল ও ডিজেলচালিত গাড়ির প্রকৃত বিকল্প আজও দূর অস্ত৷ মেক্সিকো সিটিতে এক মিস্ত্রী পুরানো গাড়িতে ব্যাটারির ইঞ্জিন বসিয়ে সেই সমস্যার সমাধানে অবদান রাখছেন৷

Elektroauto
ছবি: Picture alliance/dpa/J. Woitas/dpa-Zentralbild

নীল আকাশে ধূসর ধোঁয়ার মেঘ৷ মেক্সিকো সিটির উপর স্মগ ছেয়ে রয়েছে৷ প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ গাড়ি এই বিশাল শহরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে৷ দম বন্ধ করা ধোঁয়া সত্ত্বেও কেউ নিজের গাড়ি ত্যাগ করতে প্রস্তুত নয়৷ কেউ বলেন, এত গাড়ি! তারা যদি একটু কম ধোঁয়া ছাড়তো!

এই অবস্থায় ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে কেউ প্রস্তুত নয় কেন? অনেকের আগ্রহ থাকলেও নানা বাধা রয়েছে৷ তাঁদের মতে, যথেষ্ট সংখ্যক মডেল নেই৷ দামও বড় বেশি৷ ব্যাটারি চার্জ করার ব্যবস্থা কম৷

কিন্তু ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়৷ এক্টর রুইস তাঁর ভিডাব্লিইউ বিটলস গাড়িতে ১৪টি ব্যাটারি লাগিয়ে দিব্যি চালিয়ে বেড়াচ্ছেন৷ শহরে ব্যস্ততার মাঝে বেরিয়ে পড়লে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের শব্দ প্রায় শোনাই যায় না৷ এক্টর বলেন, ‘‘হাঁপানি রোগের কারণে আমাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়েছে৷ ১৫ বছর ধরে বিষাক্ত শহরে বসবাস করার ফল৷''

ঘণ্টায় মাত্র ৩০ কিলোমিটার বেগে ধীরে ধীরে গাড়ি এগোতে পারে৷ তাহলে আর নতুন আধুনিক গাড়ি কিনে লাভ কী? এক্টর তাই নিজের পুরানো গাড়িতে রদবদল করে নিজের চাহিদামতো সাজিয়ে নিয়েছে৷

একবার চার্জ দিলে ইলেকট্রিক গাড়ি মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে৷ কিন্তু তাতে কি পোষায়? এক্টর-এর জন্য সেটা কোনো সমস্যা নয়৷ কারণ তিনি দিনে ২৫-৩০ কিলোমিটারের বেশি গাড়ি চালান না৷

ব্যাটারি আরও শক্তিশালী হলে গাড়িটি আরও দূরে যেতে পারে৷ রুইস অবশ্য সেটা চান না৷ ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের জন্য তিনি ৪,৫০০ ইউরো খরচ করেছেন৷ গাড়ির মিস্ত্রী আলবারো দে লা পাস গাড়ির ডিজেল বা ইলেকট্রিক ইঞ্জিন সরিয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসানোর কাজ জানেন৷ বিটলস-এর তুলনায় মিনি মডেলে আরও বেশি ব্যাটারি ভরা যায়৷ গ্রাহককেই সেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়৷

মেক্সিকোতে বায়ুদূষণ রোধে উদ্যোগ

04:20

This browser does not support the video element.

আলবারো মনে করেন, পুরানো গাড়িতে দ্রুত রদবদল করা অনেক সহজ কাজ৷ নতুন গাড়ির তুলনায় দামও অনেক কম পড়ে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সত্যি একটা সুবিধা৷ তৈরি গাড়িতে ইলেকট্রিক ইঞ্জিন বসালে সেটি কোনো নেতিবাচক প্রভাব ছাড়াও কাজে লাগানো সম্ভব৷''

রাষ্ট্র যদি শুধু নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ভরতুকি সীমিত না রেখে পুরানো গাড়ির রূপান্তরের জন্যও আর্থিক সাহায্য দেয়, তাহলে অনেক মানুষ ৩,০০০ ইউরো বা তার বেশি মূল্যের ইলেকট্রিক গাড়ি চড়তে পারবেন৷

আলবারো দে লা পাস এই কাজের জন্য কোনো বড় ল্যাব বা কারখানার প্রয়োজন বোধ করেননি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা ও কাজ থেকে পাওয়া সবকিছু এখানে লিখে রাখি, যাতে ভুলে না যাই৷ কীভাবে ব্যাটারি বসাই, যন্ত্রপাতি কীভাবে কাজ করে, কোনটার পর কী বসানো হয়, এসব৷ দেখতে এলোমেলো মনে হলেও আমাদের সব জ্ঞান এখানে রয়েছে৷''

৫৮ বছর বয়স্ক এই মিস্ত্রী ১০ বছর ধরে পড়াশোনা করেছেন এবং সেই বিদ্যা হাতেনাতে পরীক্ষা করে দেখেছেন৷ নতুন গাড়ি কেনার সামর্থ্য নেই, এমন মানুষও যাতে বিশাল সংখ্যায় ব্যাটারি-চালিত গাড়ি চালাতে পারেন, সেটাই হলো লক্ষ্য৷ তাহলে পরিবেশের খুব উপকার হবে৷ সাফল্য পাওয়া পর্যন্ত তিনি রাত জেগে কাজ করেছেন৷

বিটলস মডেলটি ছিলো আলবারেস-এর সাফল্যের প্রথম দৃষ্টান্তগুলির একটি৷ এক্টর রুইস প্রথমে ছিলেন গ্রাহক৷ আজ তিনি ব্যবসায়িক সহযোগী৷ পরিবেশ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হলে গাড়ি শিল্পের উদ্যোগের অপেক্ষায় বসে থাকলে চলবে না৷ এক্টর বলেন, ‘‘সেই আশির দশকেই ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে চর্চা চলছিল৷ কয়েক দশক ধরে আমরা অপেক্ষা করে বসে আছি৷ গাড়ি শিল্প অত্যন্ত দামি গাড়ি বাজারে এনে চলেছে৷ তাই অপেক্ষা না করে নিজেই বরং এমন গাড়ি তৈরি করি৷''

সেনিয়া ব্যোটশার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ