1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ম্যানাফোর্টের কারাদণ্ড, অস্বস্তিতে ট্রাম্প

৮ মার্চ ২০১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তদন্তের বেড়াজালে আরও জড়িয়ে পড়ছেন৷ তাঁর প্রচারাভিযানের সভাপতির বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় দিল আদালত৷ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মূল তদন্তও সমাপ্তির মুখে৷

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পল ম্যানাফোর্ট
ছবি: picture-alliance/ZUMAPRESS/M. Reinstein

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প শিবিরের একের পর এক সেনাপতি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ছেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও একাধিক তদন্তের মুখে পড়ছেন৷ সংসদ নির্বাচনে নিম্ন কক্ষে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর তদন্তের তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগের অভিযোগের ভিত্তিতে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মালার-এর তদন্তের রিপোর্ট যে-কোনো সময় প্রকাশিত হতে পারে৷ এমন এক পরিস্থিতিতে আদালত তাঁরনির্বাচনি প্রচারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি পল ম্যানাফোর্ট-এর বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় শোনালো৷

ম্যানাফোর্ট সরাসরি ট্রাম্প টিমের প্রচারাভিযানে কোনো অপরাধের কারণে সাজা পেলেন না৷ কর ফাঁকিসহ আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় ২৪ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিলেন কৌঁসুলি৷ বিচারপতি ৪ বছরেরও কম সময়ের কারাদণ্ডের রায় দেওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও এই রায়ের বাড়তি গুরুত্ব রয়েছে৷ কারণ রবার্ট মালার-এর তদন্তের সময় ম্যানাফোর্ট-এর কুকর্ম ধরা পড়ে৷ ইউক্রেনে তৎকালীন রুশপন্থি সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তিনি অনেক আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷ এ যাত্রা আদালতে লঘু শাস্তি পেলেও আগামী বুধবার আরেকটি মামলায় আরও শাস্তি পেতে পারেন৷ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প তাঁকে ক্ষমা করলেও তাঁর বিরুদ্ধে বাড়তি অভিযোগ আনা হতে পারে৷

চারিদিকে প্রবল চাপ সত্ত্বেও ট্রাম্প নিজে রাশিয়ার সঙ্গে অবৈধ যোগাযোগ বা সে বিষয়ে তদন্তের পথে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ বার বার উড়িয়ে দিচ্ছেন৷ তাঁর পালটা অভিযোগ,রাজনৈতিক স্বার্থে বিরোধীরা নানাভাবে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এর আগে অন্য কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন প্রতিহিংসার শিকার হননি বলে তিনি দাবি করেন

রবার্ট মালার তাঁর জাল গুটিয়ে আনার পরও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প টিকে যেতে পারবেন কিনা, আপাতত সেদিকেই সবার নজর৷ কোনোক্রমে পদ আঁকড়ে ধরে থাকলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে দ্বিতীয় কার্যকালের জন্য ভোটারদের সমর্থন আদায় করতে তাঁকে কতটা বেগ পেতে হবে, সেটিও জল্পনাকল্পনার বিষয়৷

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মে মাসে তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে মালার এই নিয়ে ট্রাম্প-এর ৬ জন প্রাক্তন সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন৷ তাঁদের মধ্যে ৫ জন আদালতে অভিযোগ স্বীকার করেছেন অথবা তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে৷ ট্রাম্প-এর প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করায় তিনি কিছুটা লঘু শাস্তি পেতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ ট্রাম্প-এর ব্যক্তিগত আইনজীবী মাইকেল কোয়েন গত ডিসেম্বর মাসে ৩ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন৷ ট্রাম্প প্রচারাভিযানের ডেপুটি চেয়ারম্যান রিক গেটস-ও তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করে লঘু দণ্ডের আশা করছেন৷ ট্রাম্প-এর প্রাক্তন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা জর্জ পাপান্দ্রোপুলোস মাত্র ২ সপ্তাহের কারাদণ্ডের শাস্তি পেয়েছেন৷ সর্বশেষ ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু রজার স্টোন৷ 

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ