1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকার আংশিক সাফল্য

সারা স্টেফেন/আরবি২৭ জুন ২০১৩

২০১৫ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সবকটিতে পৌঁছাতে পারবে না আফ্রিকা৷ তবে মহাদেশটি অগ্রগতি কম করেনি৷ যেমন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষায় ও অসুখ-বিসুখ রোধে৷ কিন্তু দারিদ্র্য দূরীকরণে এখনও পিছিয়ে তারা৷

ARCHIV - Die zweijährige Tsclaha, die nur sechs Kilogramm wiegt, isst am 24.07.2005 in einem Ernährungszentrum im nigerianischen Maradi im Rahmen einer Therapie einen Mehlbrei. Nach der verheerenden Dürrekatastrophe in Somalia und Kenia im vergangenen Jahr bahnt sich in Afrika ein neues Hungerdrama an. Betroffen ist der Westen der Sahelzone. Allein in Niger und Mauretanien litten bereits sechs Millionen Menschen Hunger, und auch in Mali und im Tschad sei die Lage bedrohlich, sagte Ralf Südhoff, Leiter des Berliner Büros des Welternährungsprogramms (WFP), der Nachrichtenagentur dpa. EPA/STR (zu dpa 0260 am 27.01.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

আফ্রিকার অগ্রযাত্রা

জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা ‘মিলেনিয়াম গোল' বাস্তবায়নে ২০টি দেশ এগিয়ে আছে৷ এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি আফ্রিকার দেশ৷ আফ্রিকান ইউনিয়ন, জাতিসংঘ ও আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশেষ করে বুর্কিনা ফাসো, মোসাম্বিক ও নামিবিয়া অনেক উন্নতি করেছে৷ ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দের আটটির মধ্যে চারটি লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে আফ্রিকা৷ বিশেষ করে সব শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার নিশ্চয়তা, মেয়েদের শক্তিশালী করা এবং এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগ-ব্যাধি দূর করার ক্ষেত্রে উন্নতি দেখাতে পারবে দেশগুলি৷

হামবুর্গের ইন্সটিটিউট ফর আফ্রিকা-স্টাডিজ-এর এলেনা গিসবার্ট এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আফ্রিকা সহস্রাব্দের অনেক লক্ষ্য পূরণে সফল হলেও সব ক্ষেত্রে পারবে না৷ মহাদেশটি অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত খারাপ অবস্থা থেকে শুরু করেছে৷ তাই এই উন্নতিটা ‘ইতিবাচক বিস্ময়ের' সৃষ্টি করেছে৷''

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি – ইউএনডিপি-র পরামর্শদাতা আইয়োডেলে ওডুসোলা জানান, রুয়ান্ডাও অনেক উন্নতি করেছে৷ বিশেষ করে মেয়েদের সমানাধিকারের ব্যাপারে সাফল্য দেখিয়েছে দেশটি৷ রুয়ান্ডার জাতীয় সংসদে ৫৬ শতাংশ নারী৷ এদিক দিয়ে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে দেশটি৷

পানির স্বল্পতা এখনও স্পষ্ট আফ্রিকা মহাদেশে...ছবি: ABDELHAK SENNA/AFP/GettyImages

উন্নয়ন লক্ষ্যগুলি পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক

সহস্রাব্দের কয়েকটি লক্ষ্য পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক হতে পারে৷ যেমন মেয়েরা স্কুলে গেলে সমাজে মেয়েদের অবস্থার উন্নতি হয়৷ বিশেষ করে, এ ক্ষেত্রে আফ্রিকার দেশগুলি সাফল্য দেখাতে পারে৷ বেশির ভাগ দেশেই ৯০ শতাংশেরও বেশি বাচ্চা স্কুলে যায়৷ নাইজারে ১৯৯০ সালের তুলনায় এখন স্কুলে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে৷

এক্ষেত্রে অবশ্য বাচ্চাদের ঠিক বয়সে স্কুলে যাওয়া এবং নিয়মিত ক্লাস করাটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ৷ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির গবেষণা কেন্দ্র ‘কলোম্বিয়া গ্লোবাল সেন্টারে' স্থানীয় শিক্ষা পরামর্শক হিসাবে কাজ করেন সুসান কাটুরি৷ তিনি জানান, ‘‘আমরা শিক্ষাকর্মীদের দোরে দোরে পাঠাই৷ সভা সমিতিতেও যান তাঁরা৷ এতে করে পরিবারগুলির সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন কর্মীরা, বুঝতে পারেন তাদের বিশেষ চাহিদা৷'' এছাড়া স্কুলে গরম খাবারের ব্যবস্থা থাকায় মা বাবারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে আগ্রহী হন৷ ‘‘বিশেষ করে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট৷ বিভিন্ন কারণে তারা অনেক সময় স্কুলে যেতে পারে না৷ যেমন অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গেলে বা মাসিক হলে৷ এমন অবস্থায় আমরা তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করি৷ যাতে তাদের স্কুলে যেতে অসুবিধা না হয়৷ ক্লাসের গুণগত মানের উন্নয়ন করা আমাদের দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনা৷ আমরা ছাত্র সংখ্যা বাড়াতে পেরেছি৷ এখন লক্ষ্য হলো অঙ্ক ও পড়া শেখায় তাদের দক্ষতা বাড়ানো৷'', বলেন কাটুরি৷

শিক্ষা বিস্তারে উন্নতি করেছে আফ্রিকা...ছবি: picture alliance/dpa

রোগ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য

মহাদেশটির আরেকটি বিশেষ সাফল্য হলো এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ বিসুখকে দমন করা৷ মশা প্রতিরোধী মশারি ম্যালেরিয়া কমাতে সাহায্য করছে৷ এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে এখন সহজে৷ বিশেষ করে গর্ভে থাকা শিশুকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য অনেক কিছু করা হচ্ছে৷ নাইরোবির স্থানীয় এইডস পরামর্শক মাউরিন আডুডানস জানান, ‘‘আমাদের অবশ্য এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, আফ্রিকায় এই রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা এখনও অনেক বেশি৷''

মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হন বেশি৷ কেননা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষরাই কনডোম বা ভাইরাস প্রতিরোধী ব্যাবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন৷

সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যে ২০১৫ সালের মধ্যে আফ্রিকার দেশগুলিতে দারিদ্র্য ও ক্ষুধাকে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে বলে স্থির করা হয়েছিল৷ কিন্তু তা বাস্তবায়িত হবে বলে মনে হচ্ছে না৷ ২০১০ সালে সাহারার দক্ষিণের দেশগুলিতে ৪৮.৫ শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র্যে বসবাস করত৷ অর্থাৎ দিনপ্রতি ১.২৫ ডলার দিয়ে চালাতো হতো তাদের৷ ১৯৯০ সালে সেসব দেশে হত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৫৬.৫ শতাংশ৷ এক্ষেত্রে অবশ্য বিভিন্ন দেশের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে৷ ঘানা, উগান্ডা, ইথিওপিয়া কিংবা রুয়ান্ডায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে৷ নাইজার, চাড, মালি কিংবা বুর্কিনা ফাসোতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসের হার খুব কমই হয়েছে৷

এইডস ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই নারী...ছবি: AP

আংশিক সাফল্য

আফ্রিকা সহস্রাব্দের কয়েকটি উন্নয়ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে না পারলেও আংশিক সাফল্য দেখাতে পারবে৷ আন্তর্জাতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মহাদেশটিতে মাতৃমৃত্যুর হার ৪২ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ ইউএনডিপি-র কর্মী ওডুসোলা কিছু কর্মসূচির কথা জানান, যেগুলির মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি করা হবে৷ নাইজেরিয়ার ওনডো প্রদেশে একটি প্রকল্পে গর্ভবতী মায়েদের মোবাইল টেলিফোন দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে, যাতে তারা নার্স ও ডাক্তারদের দিনের যে কোনো সময় ডাকতে পারেন৷

মোজাম্বিকে গর্ভবতী মায়েদের প্রসবের অল্প আগে হাসপাতালের কাছাকাছি বসবাস করার ব্যবস্থা করা হয়৷ এতে করে ওষুধ ও চিকিত্সা সহজেই পেতে পারেন তারা৷ সব মিলিয়ে বলা যায় আফ্রিকা উন্নয়নের পথেই এগুচ্ছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ