1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইপ্রাসের জন্য কঠিন সময়

ব্যার্ন্ড রিগার্ট/এসবি২৫ মার্চ ২০১৩

দেউলিয়া হওয়া থেকে আপাতত বেঁচে গেল সাইপ্রাস৷ তবে রেহাই পাচ্ছে না ব্যাংক ও লগ্নিকারীরা৷ এত দেরি না করে আগেই এই সমাধানসূত্র কার্যকর করা যেত৷

Caption ILLUSTRATION - Eine verbogene zypriotischen Euro-Münze ist am 22.03.2013 in Frankfurt (Oder) (Brandenburg) in einer Zange eingespannt. Foto: Patrick Pleul/dpa pixel Schlagworte .Währung , .Euro , .Münze , Münze , Währung , .Zypern , Finanzen , .EU , zyprischer , .lbn , .Finanzen
ছবি: picture-alliance/dpa

অশনি সংকেত

রাষ্ট্র হিসেবে সাইপ্রাস দেউলিয়া হলো না বটে, কিন্তু এতকাল সে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের যে ব্যতিক্রমী মডেল চালু ছিল, তা আর অক্ষত থাকবে না৷ চরম মন্দায় তলিয়ে যাবে দেশটি৷ বিশেষ করে অস্বাভাবিক মাত্রায় ফুলে-ফেঁপে ওঠা আর্থিক ক্ষেত্রে হাজার হাজার কর্মী তাঁদের চাকরি হারাবেন৷ এতকাল এই আর্থিক জগত গোটা দেশের অর্থনীতির অর্ধেকেরও বেশি দখল করে রেখেছিল৷ এবার সেই চিত্র বদলে যাচ্ছে৷ সাইপ্রাসের সরকার সব ব্যাংকগুলিকে বাঁচানোর বৃথা চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হলো৷

ব্যার্ন্ড রিগার্টছবি: DW

সাইপ্রাসের জন্য কঠিন সময় আসছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ বিষয়ক কমিশনর অলি রেন-এর এই মন্তব্য মোটেই ভুল নয়৷ অদূর ভবিষ্যতে কর বাবদ আয় কমে যাবে, সামাজিক খাতে ব্যয় বেড়ে যাবে৷ সাইপ্রাসের জন্য ১,০০০ কোটি ইউরোর যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তাও যথেষ্ট হবে না৷ আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দ-এর মতে, ২০২০ সালেও সাইপ্রাসের ঋণভার লাঘব হবে না৷ মাত্র ৮ লাখ জনসংখ্যার সেই দেশ এমন দায় সামলাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে৷ তার উপর সবার আশঙ্কা, ধনী রুশ ও গ্রিক লগ্নিকারীরা বেগতিক দেখে তাদের অর্থ নিয়ে সাইপ্রাস ছেড়ে চম্পট দেবে৷ এই অবস্থায় সাইপ্রাস ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য স্থায়ী সমস্যা হিসেবে থেকে যেতে পারে৷

মানসিকতার পরিবর্তন

রবিবার গভীর রাতে সাইপ্রাসকে বাঁচানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, ইউরো এলাকার সংকটের ক্ষেত্রে তা এক বিশাল ব্যতিক্রম৷ এই প্রথম ব্যাংকের গ্রাহকদের সম্পদ কার্যত কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, যাতে ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলি ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া যায়৷

যেমন সাইপ্রাসের লাইকি ব্যাংকে কেউ ১ লক্ষ ইউরোর বেশি অঙ্ক জমা রাখলে তার একটা বড় অংশই আর কোনোদিন ফেরত পাওয়া যাবে না৷ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে৷ এর মাধ্যমে ইউরোপের ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ রাষ্ট্র দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিলে তাদের অর্থ কোথাও নিরাপদ নয়৷ অন্যদিকে ব্যাংকগুলির জন্য বার্তা হলো, যারা আর্থিক বাজারে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিয়ে জুয়া খেলে এসেছে, যে কোনো মূল্যে তাদের বাঁচানোর দিন শেষ হয়ে গেছে৷ গ্রিস, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনে এমনটা করা হলেও ভবিষ্যতে সেই সম্ভাবনা আর নেই বললেই চলে৷

জটিল পরিস্থিতি

তবে বিষয়টা এত সহজ নয়৷ যেমন সাইপ্রাসের লাইকি ব্যাংকের মালিকানার সিংহভাগই এখন রাষ্ট্রের হাতে৷ ফলে ক্ষতি রাষ্ট্রেরই হচ্ছে৷ ব্যাংকের গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে একাধিক পেনশন ফান্ড৷ সেই অর্থে হাত দেওয়া কঠিন৷ ব্যাংক ভেঙে দিয়ে প্রত্যাশিত অঙ্কের অর্থ পাওয়া যাবে – এর কোনো নিশ্চয়তা নেই৷

অনেকে বলছেন, সাইপ্রাস ইউরো এলাকা থেকে বেরিয়ে গেলেই হয়ত ভালো হতো৷ সে ক্ষেত্রে নিজস্ব মুদ্রা আবার চালু করে তার অবমূল্যায়ন ঘটিয়ে পরিস্থিতি হয়তো সামলে নেওয়া যেত৷ কিন্তু ইউরো এলাকার বাকি ১৬টি দেশ তাতে রাজি হয়নি৷ তাদের মনে আশঙ্কা ছিল, এমনটা ঘটলে বিশ্বজুড়ে ইউরো এলাকা সম্পর্কে আস্থা হারিয়ে যাবে৷ আসলে কেউই জানে না, কী হতে পারতো৷

ইউরো এলাকা ও সাইপ্রাস সংকট সামাল দিতে যে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেইছবি: picture-alliance/AP

ইউরো এলাকার ভবিষ্যৎ

ইউরো এলাকা ও সাইপ্রাস সংকট সামাল দিতে যে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ ২০১২ সালের জুন মাস থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে সাইপ্রাসের ব্যাংকগুলিকে বাঁচানোর কোনো উপায় নেই৷ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক যখন তাদের অর্থ দেওয়া বন্ধ করার হুমকি দিল, তখন সবার টনক নড়লো৷ অর্থাৎ সবার মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীরা নয় – ইসিবি-র হাতেই রাশ রয়েছে৷ তাহলে ইসিবি-র রাশ কার হাতে?

জার্মানি সহ কয়েকটি দেশের সংসদকে সাইপ্রাসের জন্য সাহায্যের সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করতে হবে৷ সাইপ্রাসের সংসদকে এই প্রশ্নে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না৷ সাইপ্রাসের মানুষের ক্রোধ বেড়ে গেলেও কিছু করার নেই৷ এখন সে দেশের সামনে গুটি পথ খোলা রয়েছে৷ হয় তাদের শর্ত পূরণ করতে হবে, না হলে ইউরো এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ