বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে অপরাধ বেড়েই চলছে৷ এই অপরাধের বড় অংশই হচ্ছে কাউকে হেয় করে ছবি, মন্তব্য বা পোস্ট৷ কিছু ব্যতিক্রম বাদে এর প্রতিকার তেমন পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের ফেসবুক পেজে তাঁর বোনের সাথে তোলা ছবি পোস্ট করার পর সেখানে নোংরা মন্তব্য নিয়ে এখন বাংলাদেশে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা৷ এরই মধ্যে নাসির হোসেন তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি সরিয়ে নিয়েছেন৷ নাসিরের সমব্যথী হয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশকে ‘কান্ট্রি রেস্ট্রিক্ট' করে দেন৷ ফলে বাংলাদেশের কোনো ফেসবুক ব্যবহারকারী মাশরাফির পেজটি দেখতে পাচ্ছেন না৷
২৫শে জুন নাসির হোসেন তাঁর ছোটবোনের সাথে তোলা একটি সেল্ফি তাঁর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন৷ মূলত ছোট বোনের আবদার রক্ষা করতেই এ ছবি তোলা এবং ফেসবুকে পোস্ট করা৷ কিন্তু সেই ছবিতে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা মন্তব্য করে কতিপয় বিকৃত মানসিকতার ফেসবুক ব্যবহারকারী৷
তথ্য গোপন রাখার সাতটি সহজ উপায়
আধুনিক প্রযুক্তির কারণে মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে তথ্য চুরির ঘটনা৷ ফোর্বস জানাচ্ছে কোন সাতটি উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
পাসওয়ার্ড নিজের কাছে রাখুন
কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়৷ আর ব্যাংক কার্ড-এর সঙ্গে যেন এই পাসওয়ার্ডের মিল না থাকে৷ এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে কোনো পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না৷ এর ফলে আপনার তথ্য চুরির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়৷ বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি ‘লক’ করে যাবেন৷
ছবি: Sergey Nivens - Fotolia.com
নামে ‘গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন
এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি দেখতে চান ইন্টারনেটে আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷ সোজা এই ঠিকানায় যান – http://www.google.com/alerts এবং আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’ জুড়ে দিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা
আপনি যদি অন্য কারো কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷ আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার করবেন, তিনি যাতে আপনার অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷ আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান, তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে৷
ছবি: AFP/Getty Images
ফোন, ই-মেল বা জিপ কোড ব্যবহার করতে না দেয়া
অচেনা কোনো মানুষ এই নম্বরগুলো জানতে চাইলে, আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায় কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ থেকে এ সব তথ্য চাইলে, অনেকেই সেচ্ছ্বায় তা দিয়ে দেয়৷ বহু অফিস এ নিয়ে একটি প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি এতে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ না করেন, তবে দেবেন না৷
ছবি: picture-alliance/ZB
কার্ড নয় ক্যাশ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি কিনছেন, সেই কোম্পানি আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
ছবি: AP
ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য ‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’ বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷ পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’ করে রেখেছেন, নাকি ‘পাবলিক’ করেছেন৷ আপনি যদি ‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং ঠিক করে দেন কে কে আপনার পোস্ট দেখতে পাবে, তবে সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার জন্য তুলনামূলকভাবে ভালো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Bozoglu
‘হিস্ট্রি’ এবং ‘কুকিস’ মুছে ফেলুন
আপনি সবশেষ কবে এটা করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের ‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান, সেখানে ‘নেভার রিমেমবার হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন৷ এর ফলে ইন্টারনেটে আপনাকে ‘ট্র্যাক’ করাটা হ্যাকারদের জন্য কঠিন হবে৷ এছাড়া আপনি ‘অ্যাড অন’-ও ব্যবহার করতে পারেন৷
ছবি: Fotolia/davidevison
7 ছবি1 | 7
এতে ব্যথিত হয়ে উক্ত ছবিটি ডিলিট করেন নাসির হোসেন এবং এর প্রতিবাদ জানিয়ে একটি অভিমানী পোস্ট দেন তাঁর পেজে৷ তিনি লিখেন, ‘‘আপনাদের খারাপ মন্তব্য দেখে অনেক কষ্ট পেলাম৷ আমার ছোট বোনের আবদার মেটাতে তার সাথে আমার ছবি পেজে পোস্ট করেছিলাম৷ তাই বলে আপনারা অনেকেই বাজে মন্তব্য করেছেন৷ যেটা নিয়ে অনেকেই ফান পোস্টও করছেন৷ পোস্টটা ডিলিট করে দিলাম এখন খুশি তো? আপনাদের মতো ফ্যান আমার দরকার নাই৷ আমাকে যাঁরা পছন্দ করেন না তাঁরা আমার ছবিতে লাইক দিবেন না৷ আমাকে ফলো করবেন না৷''
তবে এসব অসুস্থ মানসিকতার ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই৷ এরই মধ্যে যারা এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তাদের চিহ্নিত করেছেন অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা৷ চিহ্নিত করে অনলাইনে তাদের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে৷ কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করেনি৷
জানা গেছে, র্যাব সদর দপ্তরসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হুমকি বা উত্ত্যক্ত করার বিপুল অভিযোগ প্রতিদিনই জমা পড়ছে৷ এর মধ্যে বড় একটি অংশ হচ্ছে নারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করা৷ বিশেষ করে ইনবক্সে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং ছবি পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই৷ এ ধরনের ঘটনার শিকার ঢাকার ধানমন্ডির এক নারী ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আনফ্রেন্ড বা ব্লক করেও তাদেও থামানো যায় না৷ তারা নতুন ফেসবুক আইডি খুলে একই কাজ শুরু করে৷'' তিনি জানান, ‘‘পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয় না৷ প্রথমত পুলিশ বিষয়টিতে ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যায়৷ আবার কখনো কখনো ‘ফেক আইডি’ বলে উড়িয়ে দেয়৷''
শুধুমাত্র কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য নয়,ফটোশপে কারসাজি করে বানানো আপত্তিকর ছবি দিয়েও হেয় করার চেষ্টা করা হয়৷ এমনকি ফেসবুকে প্রতিপক্ষকে হেয় করতে মিথ্যা ও ভুয়া খবরও ছড়ানো হয়৷
ফেসবুকে জনপ্রিয় যাঁরা
বাস্তব জীবনে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো সেরা ফুটবলার কিনা – তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে৷ তবে ফেসবুকে তিনি অন্যতম সেরা৷ ভক্তের সংখ্যা দশ কোটির বেশি৷ ফেসবুক এবং টুইটারে জনপ্রিয় এরকম আরো কয়েক তারকাকে নিয়ে ছবিঘর৷
ছবি: Reuters
সবার সেরা রোনাল্ডো
ফেসবুকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ হচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলা এই পর্তুগিজ তারকার ফেসবুক ভক্তের সংখ্যা দশ কোটির বেশি৷ টুইটারে তাঁর অনুসারী তিন কোটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টুইটার মেসির বিষয় নয়
আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি গত বছর ফিফার বিশ্বসেরা খেতাবটি জিততে পারেননি৷ সেটা নিয়েছেন রোনাল্ডো৷ ফেসবুকেও মেসি তাঁর পেছনে রয়েছেন৷ ভক্তের সংখ্যা সাড়ে সাত কোটির মতো৷ তবে টুইটারে মেসির ভক্ত মাত্র ২০ লাখ৷
ছবি: Reuters
এগিয়ে যাচ্ছেন নেইমার
রোনাল্ডো বা মেসির পর্যায়ে না পৌঁছালেও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন নেইমার৷ ২২ বছর বয়সি এই ব্রাজিলীয় ফুটবল তারকার ভক্তের সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি৷ টুইটারে চতুর্থ জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Ghement
অনলাইনে জনপ্রিয় কাকা
ফুটবল ক্যারিয়ারের ভালো সময়গুলো সম্ভবত ইতোমধ্যে পার করে ফেলেছেন কাকা (ছবিতে স্ত্রী ক্যারোলিনের সঙ্গে কাকা)৷ ৩২ বছর বয়সি এই তারকার টুইটার অনুসারীর সংখ্যা দুই কোটির বেশি৷ মাইক্রো ব্লগিং সাইটটিতে দ্বিতীয় জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদ তিনি৷ আর ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা প্রায় চার কোটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্যতিক্রমী কিং জেমস
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়দের তালিকায় শুরুর দিকে অধিকাংশই ফুটবলার৷ ব্যতিক্রম শুধু এনবিএ সুপারস্টার লিব্রন৷ ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা সোয়া দুই কোটির মতো, আর টুইটারে দেড় কোটির বেশি৷
ছবি: Getty Images
ও্যাজিলও কম যান না
প্রথমে খারাপ ছিল ফর্ম, এখন ইনজুরির কবলে৷ বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান দলের তারকা মেসুত ও্যজিল বর্তমানে সম্ভবত কঠিন সময় পার করছেন৷ তবে সময়টা তিনি দিব্যি কাটিয়ে দিতে পারেন অনলাইন ভক্তদের সঙ্গে৷ ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি, টুইটারে প্রায় ১ কোটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অনলাইনে মন্থর বোল্ট
বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মানব ইউসেইন বোল্ট অনলাইন জগতে বেশ পিছিয়ে আছেন৷ ফেসবুকে তাঁর ভক্তের সংখ্যা মাত্র ১৬ মিলিয়ন! আর টুইটারে সাড়ে তিন মিলিয়নের মতো৷
ছবি: Getty Images
বেকহাম এখনো জনপ্রিয়
ফুটবল মাঠে খেলোয়াড়ের বেশে এখন আর দেখা যাচ্ছে না ডেভিড বেকহামকে৷ তবে তাই বলে ইংল্যান্ড দলের সাবেক এই অধিনায়কের ফেসবুক জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি৷ ফেসবুকে পাঁচ কোটি ভক্ত রয়েছে তাঁর৷
ছবি: Reuters
8 ছবি1 | 8
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা এ ধরনের অভিযোগ পাই এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিই৷ তবে অপরাধীদেরও চিহ্নিত করার পর ভুক্তভোগী অনেকেই মামলা করতে চাননা৷ তারা চান বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে৷ যা অনেক সময় অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে৷''
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ‘‘আমাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে এখন যারা ফেসবুক ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধ করে তাদের অধিকাংশ আইডি ভুয়া৷ আবার একটি গ্রুপ আছে যারা দেশের বাইরে অবস্থান করেন৷ ফলে তাদের চিহ্নিত করা গেলেও আইনের আওতায় আনা অনেক সময় সম্ভব হয় না৷''
ক্রিকেটার নাসির হোসেনের ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গির হোসেন জানান, ‘‘আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি৷ তবে তিনি এখনো পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি৷'' তিনি বলেন, ‘‘সাইবার অপরাধ নিয়ে পুলিশ যে তৎপর আছে, তার প্রমাণ বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতন করছে বলে ফেসবুকে ভুয়া ছবি দিয়ে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর সঙ্গে জড়িতদেরও চিহ্নিত এবং আটক করা হয়েছে৷''
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দিয়ে এরই মধ্যে একজন শিক্ষকসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন৷ আর এ বিষয়ে পুলিশ নিজেই ব্যবস্থা নিয়েছে৷ তবে সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষ প্রতিকার তেমন পায় না৷
অথচ বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি আইনে সাইবার অপরাধের প্রতিকারের ব্যবস্থা কিন্তু আছে৷ বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তিবিদ সাবির আহমেদ সুমন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এগুলো সাইবার অপরাধ৷ তথ্য-প্রযুক্তি আইনে পুলিশ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে৷ আর সেখানে পুলিশের নজরে কোনো ঘটনা আসলে পুলিশ নিজেই বাদি হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে৷''
তিনি বলেন, ‘‘তবে এটা আমাদের সার্বিক শিক্ষা এবং রুচি বোধেরই প্রতিফলন৷ আমরা ইন্টারনেট ভব্যতা শিখিনি৷ ফেসবুক বা টুইটার একটা মাধ্যম৷ একজন রুচিহীন মানুষ যে কোনো মাধ্যমে তার রুচিহীনতার প্রকাশ ঘটাতে পারেন৷ তবে আইন এবং মনিটরিং কঠোর হলে তারা দমে যাবেন৷''