ইন্টারনেটের সদ্ব্যবহারে জগত যেমন উপকৃত হচ্ছে, তেমনি কিছু মানুষের অশুভ প্রয়াসের ফলে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছেন অনেকে৷ এমনকি ইউরোপেও তরুণীরা আছেন বিপদে৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, তরুণীদের উত্যক্ত করার মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার প্রকাশিত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-র মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংস্থা এফআরএ-র সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইউরোপের তরুণীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নানাভাবে নাজেহাল হচ্ছেন৷ প্রতিদিন ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সি দশ জন তরুণীর অন্তত একজন অশ্রাব্য ভাষায় লেখা টেক্সট মেসেজ, ই-মেল অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে নানা বার্তা পান৷ ভিয়েনাভিত্তিক সংস্থা এফআরএ জানিয়েছে, এভাবে ক্রমাগত উত্যক্ত করার ফলে তরুণীদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ৷ তাঁদের রক্ষা করার জন্য শিগগিরই জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এফআরএ-র পরিচালক মর্টেন কিয়েরুম৷ বর্ণবাদ এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ইউরোপে যথেষ্ট তৎপরতা দেখা গেলেও সাইবার জগতে নারীর অবমাননাবিরোধী উদ্যোগের অভাব রয়েছে – এ কথা জানিয়ে তিনি ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হবার অনুরোধ জানিয়েছেন৷
ডার্কনেটের ব্যবহার বাড়ছে
বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন হওয়ার পরও তথ্য পাওয়া মুশকিল৷ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যে প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করছে, তাতে সব সময় তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় পাওয়া নাও যেতে পারে৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
ইন্টারনেটে তথ্য
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কিছু না কিছু তথ্য যোগ করেন৷ স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ব্যবহারকারীদের ধারণার চেয়ে বেশি তথ্য নিয়ে থাকে৷
ছবি: imago/Schöning
মেটাডাটা
গুপ্তচর বিভাগ বেশি আগ্রহী ‘মেটাডাটা’ সম্পর্কে৷ নেট ব্যবহারকারী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ওয়েবভিত্তিক বিষয়বস্তুর সঙ্গে পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় মেটাডাটা৷
ছবি: Reuters
মেটাডাটার তথ্য
কে কাকে ই-মেল করছেন, সেই ব্যক্তির পরিচয়, সময় সম্পর্কে তথ্য থাকে মেটাডাটায় যা গুপ্তচর বিভাগ পেতে চায়৷ প্রেরক, ঠিকানা, তারিখ থেকে শুরু করে যে সার্ভার ব্যবহার করে ই-মেলটি করা হয়েছে, সেই তথ্যও এভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব৷
ছবি: Raigo Pajula/AFP/Getty Images
ডার্কনেটের ব্যবহার
ডার্কনেটের মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ করা সম্ভব৷ প্রযুক্তিগত কারণে এখনো সরকার বা নিরাপত্তা কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করতে পারেন না৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
ফ্রিনেট
সবচেয়ে আলোচিত ডার্কনেটের নাম ফ্রিনেট৷ তাদের ওয়েবসাইটে গেলে বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়৷
ছবি: Reuters
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথ্য
ফেসবুক এবং টুইটারে একজন ব্যবহারকারী শুধু নিজের সম্পর্কে সাধারণ তথ্যই জানান না, তাঁরা তাঁদের পছন্দ, অপছন্দ, এমনকি বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানান৷ ব্লগে সমাজ সচেতনতা, মানবাধিকার, সরকার বিরোধী লেখাও লেখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাংলাদেশে ডার্কনেট
বাংলাদেশে ডার্কনেটের ব্যবহার আগে না হয়ে থাকলেও খুব শিগগিরই যে সেটা শুরু হয়ে যাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷
ছবি: Fotolia/Amir Kaljikovic
7 ছবি1 | 7
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সাইবার জগতে তরুণীদের সবচেয়ে বেশি উত্যক্ত করা হয় সুইডেনে৷ সুইডেনের এক চতুর্থাংশ তরুণীই উত্যক্তকারীদের নির্মম শিকার৷ ইউরোপে তরুণীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ সাইবার জগত রয়েছে স্পেন, পর্তুগাল এবং স্লোভেনিয়ায়৷ এই দেশগুলোতে মাত্র পাঁচ শতাংশ নারীকে এভাবে উত্যক্ত হতে হয় বলে দাবি করা হয়েছে সমীক্ষায়৷