1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইবার হামলার পথে উত্তর কোরিয়া

২৫ মার্চ ২০১৩

শুধু ক্ষেপণাস্ত্র বা পরমাণু বোমা নয়, উত্তর কোরিয়া বৈরি মনোভাব দেখাচ্ছে সাইবারস্পেসেও৷ গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার উপর সাইবার হামলার পেছনে পিয়ং ইয়ং ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷

ARCHIV - ILLUSTRATION - Ein Computer-Code ist am 20.11.2011 auf einem Bildschirm in Köln zu sehen. Im Krieg der Zukunft wird nicht nur geschossen, sondern auch gehackt: Weil unsere Gesellschaft von Informationstechnik abhängig ist, könnten Cyberangriffe immense Schäden anrichten, warnt Forscher Sandro Gaycken im Buch «Cyberwar». Der Ausweg: eine neue IT - die ist aber teuer. Foto: Oliver Berg dpa (zu dpa «Digitales Wettrüsten: Buchautor warnt vor dem «Cyberwar»») +++(c) dpa - Bildfunk+++ Photochrom, um 1890/1900 (Detroit Publishing Co.).
ছবি: picture-alliance/dpa

সাইবার হামলা প্রমাণ করা মোটেই সহজ কাজ নয়৷ উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটের নাগালের বাইরে৷ অতএব হ্যাকিং করার ক্ষমতা শুধু রাষ্ট্রেরই রয়েছে৷ দক্ষিণ কোরিয়ার সন্দেহ, একদল কম্পিউটার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এই সব হামলা চালানো হচ্ছে৷

সাইবার হামলা প্রমাণ করা মোটেই সহজ কাজ নয়ছবি: picture alliance/Jens Schierenbeck

গত বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রায় ৩২,০০০ কম্পিউটার ও সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছিল ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার৷ দেশের তিনটি প্রধান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ও তিনটি ব্যাংক এই হামলার শিকার হয়েছিল৷ তদন্তে এখনো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় নি৷ এমনকি ম্যালওয়্যার-এর একটি উৎস ছিল খোদ সৌল শহরে একটি কম্পিউটার৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তিনটি দেশের কম্পিউটার থেকেও নাকি হামলা হয়েছিল৷ তবে সকলেই জানে, হ্যাকাররা কীভাবে এমন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে৷ তাই সন্দেহের তির উত্তর কোরিয়ার দিকেই৷ ২০০৯ সাল থেকে দক্ষিণের উপর মোট ৬ বার সাইবার হামলা চালিয়েছে সে দেশ৷ এমন হামলা প্রতিহত করতে দক্ষিণ কোরিয়া একটি সাইবার নিরাপত্তা কমান্ড সেন্টার গঠন করেছে৷

তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে উত্তর কোরিয়ার আগ্রহ বেড়েই চলেছে৷ অর্থ, লোকবল ও ক্ষমতাও বাড়ছে৷ তারা ‘রেড স্টার' নামে নিজস্ব এক অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেছে৷ সরকারের ঘনিষ্ঠ এলিট শ্রেণি চীনে তৈরি ট্যাবলেট কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে৷ অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সূত্র অনুযায়ী, একদল হ্যাকারকেও সাইবার হামলা চালানোর কাজে নিযুক্ত করেছে কিম জং উন-এর প্রশাসন৷ এই মুহূর্তে প্রায় ১,০০০ হ্যাকার তৎপর রয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার ধারণা৷ তাদের মধ্যে অনেকেই নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র৷ অনেককে উচ্চশিক্ষার জন্য চীন বা রাশিয়ায় পাঠানো হয়৷

উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ ইন্টারনেটের নাগালের বাইরে৷ অতএব হ্যাকিং করার ক্ষমতা শুধু রাষ্ট্রেরই রয়েছেছবি: picture alliance/dpa

কোনো দেশের সরকার সাইবার হামলা চালালে পাল্টা হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারে না৷ উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা নেই বললেই চলে৷ কারণ সে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার অত্যন্ত সীমিত৷ সম্প্রতি কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অনলাইন ব্যাংকিং শুরু করেছে৷ ডেবিট কার্ডের ব্যবহারও বাড়ছে৷ তবে এত কম মানুষ সেই সব পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষতির আশঙ্কা খুবই কম৷

এসবি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ