1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাঈদীর বিচার

জাহিদুল হক (এইচআরডাব্লিউ, ইন্টারনেট)১৭ ডিসেম্বর ২০১২

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল- ১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগে নতুন একটা বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, নতুন করে সাঈদীর বিচার শুরুর প্রয়োজন নেই৷ তবে রয়েছে ভিন্নমতও৷

ছবি: AP

সোমবার থেকে কাজ শুরু করবে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল- ১৷ অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইবুনাল- ১ এর মামলাগুলোর কাজ যে পর্যন্ত হয়েছে তারপর থেকেই বিচার কাজ শুরু হবে৷

তবে প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল টেলিভিশন টকশোতে বলেছেন, সাঈদীর মামলা নতুন করে শুরু করতে হবে৷ এর পক্ষে তাদের যুক্তি - ট্রাইবুনাল- ১'এ বর্তমানে যে তিনজন বিচারক রয়েছেন তাদের কেউই সাঈদীর মামলার শুরু থেকে ছিলেন না৷ অর্থাৎ তাঁরা এই মামলা পুরোটা শোনেন নি৷ তাই তাঁরা যদি সাঈদীর মামলার রায় দেন তাহলে সেটা বিতর্কিত হবে৷

একই কথা বলছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'৷ গত ১৩ ডিসেম্বর এ নিয়ে তারা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, সাঈদীর মামলা পুনরায় শুরু করতে হবে৷

‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩' বলছে নতুন করে বিচার শুরুর প্রয়োজন নেইছবি: AP

সংস্থার এশিয়া পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলেছেন, ‘‘রায় ঘোষণা করাটা হবে ‘দায়িত্বহীন' ও ‘অপেশাদারসুলভ' আচরণ কেননা বর্তমান বিচারকদের কেউই সব সাক্ষ্যপ্রমাণ শোনেননি এবং তারা মূল সাক্ষীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারণে সমর্থ নন; বিশেষ করে যে মামলায় রয়েছে ৪০ বছরের পুরনো সাক্ষ্যপ্রমাণ এবং যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে জটিল আইনি বিষয়৷''

অ্যাডামস বলেন, বিচারপতি নাসিম পদত্যাগ করার আগে ট্রাইবুনাল- ১' এ একমাত্র তিনিই ছিলেন, যিনি সাঈদীর মামলার শুনানি পুরোটা শুনেছিলেন৷ ফলে তিনি চলে যাওয়ায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে নতুন করে বিচারকাজ শুরু করাই একমাত্র উপায়৷

এইতো গেল বিশ্লেষকদের মতামত৷ কিন্তু যে আইনের ভিত্তিতে মামলার কাজ চলছে সেখানে কী বলা আছে? ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩' হচ্ছে সেই আইন৷ বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে গেলে পাওয়া যাবে আইনটি৷

এই আইনের ৬ নম্বর ধারার ৬ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, ‘‘কোনো কারণে ট্রাইবুনালের সদস্যপদে পরিবর্তন হলে অথবা কোনো সদস্য কোনো একটি শুনানিতে অনুপস্থিত থাকলে, ঐ ট্রাইবুনাল পুনরায় শুরু করতে এবং যে সাক্ষী ইতিমধ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়েছে তার আবার শুনানি অনুষ্ঠানে বাধ্য থাকবে না৷ বরং যে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে তার ভিত্তিতেই কাজ করতে পারে৷''

রায় ঘোষণা করাটা হবে ‘দায়িত্বহীন' ও ‘অপেশাদারসুলভ' আচরণ: ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ'

এছাড়া একই ধারার ৪ নম্বর উপধারায় বলা হয়েছে, ‘‘ট্রাইবুনালের কোনো সদস্য যদি মারা যান অথবা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে যদি তাঁর দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হন, তাহলে সরকার গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ঐ সদস্যের পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারে এবং সেখানে অন্য একজন যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে পারে৷''

উল্লেখ্য, বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি এক আইনজীবীর সঙ্গে বিচারপতি নাসিমের স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশের পর সৃষ্ট বিতর্কের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন নাসিম৷ এরপর তাঁর জায়গায় নিয়োগ দেয়া হয় ট্রাইবুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি একে এম ফজলে কবিরকে৷

ট্রাইবুনাল ২-এর চেয়ারম্যান হয়েছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান৷ আর ট্রাইবুনাল ২-এ নতুন বিচারপতি হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ