‘সাওলা' হলো এক ধরনের বুনো গাই৷ এরা ভিয়েতনাম আর লাওসে আছে গত ২০ লাখ বছর ধরে, অথচ ‘আবিষ্কৃত' হয়েছে ১৯৯২ সালে৷ তারপর আর তাকে ক্যামেরা ট্র্যাপে ছাড়া অন্য কোথাও দেখা যায়নি৷
বিজ্ঞাপন
ভিয়েতনামের বাইরে সাওলাকে কেউ চেনে কিনা সন্দেহ৷ ভিয়েতনাম আর লাওস-এর মধ্যে পাহাড়-জঙ্গল এলাকায় সাওলারা আছে নাকি গত ২০ লাখ বছর ধরে৷ জীববিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু টিল্কার বলেন, ‘‘আমি একটা সাওলাকে দেখার স্বপ্ন দেখছি কতদিন ধরে! শুধু এক ঝলক দেখা, এক সেকেন্ড, দু'সেকেন্ডের হলেই চলবে৷ তা-তেই এত বছরের পরিশ্রম সার্থক হবে, কষ্টের ফল পাওয়া যাবে৷''
অ্যান্ড্রু টিল্কার শুধু ফটো থেকেই সাওলা জীবটিকে চেনেন৷ যেমন ক্যামেরা ট্র্যাপ থেকে তোলা এই সাদা-কালো ছবিটি – জঙ্গলের পথে তোলা সাওলার শেষ ছবিগুলির মধ্যে একটি৷
অ্যান্ড্রু নিজে অ্যামেরিকান৷ গত তিন বছর ধরে ভিয়েতনামের জীবজন্তু নিয়ে গবেষণা করছেন৷ বিজ্ঞানীরা ১৯৯২ সালে সাওলা প্রাণীটিকে আবিষ্কার করেন৷ তারপর আরো পাঁচবার সে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে৷
সেরা গরু-সুন্দরী ‘লেডি গাগা’!
সেরা সুন্দরীদের মেলা বসেছিল জার্মানিতে৷ মানুষ নয়, সুন্দর সুন্দর গরুদের মেলা৷ সেখান থেকে বেছে নেয়া হয়েছে সেরা সুন্দরী৷ সেই সুন্দরীর নাম জানেন? ‘ল্যাডি গাগা’!
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
বাছাই পর্বে ২০ লাখ প্রতিযোগী!
প্রতিযোগিতার নাম ‘হলস্টাইন শো’৷ ফাইনালের আগে ছিল হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাছাই পর্ব৷ জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের অন্তত ২০ লাখ সুন্দরী, স্বাস্থ্যবতী গরু অংশ নিয়েছে সেই পর্বে৷ ২০ লক্ষ থেকে ‘গ্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন’ হবার আশা নিয়ে ফাইনালে উঠেছিল মাত্র দু’শ সুন্দরী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
‘সাইজ জিরো’ নয়, ডাবল এক্সএল
মানবীদের বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মতো ‘হলস্টার শো’-তে কোনো প্রতিযোগী জিরো ফিগার নিয়ে এলে বাছাই পর্বেও নাম লেখাতে পারবে না৷ বিচারকরা এমন সব গরুই বেছে নিয়েছেন যাদের দু’জোড়া শক্ত পায়ের ওপর রয়েছে সবল, সুদৃঢ় কাঠামো এবং যাদের দুধের বাণও বেশ বড়৷ তেমন প্রতিযোগীই ছিল বেশি৷ জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরুরা গড়ে প্রতিদিন ২৫ কেজি ঘাস এবং অন্যান্য খাবার খায়৷ এত খেলে কেউ মোটা-তাজা না হয়ে পারে!
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
সুন্দরীদের সাজগোজ
গরু সুন্দরীদের সাজগোজের জন্য ছিল ব্যাপক আয়োজন৷ শীতপ্রধান দেশ বলে গরুদের গায়ের রোম অনেক বড় বড় হয়৷ মাথার পাশে অনেক গরুর এমন ঘন, দীর্ঘ রোম থাকে যে তাদের ‘সুকেশিনী’ বলা যায় নির্দ্বিধায়৷ তাদের চুল কাটার জন্য ছিল বিশেষ সেলুন৷ পাঁজর আর দুধের বাটে মাখানোর জন্য ছিল বেবি অয়েল৷ চুল রং করানোর জন্যও ছিল বিশেষ ব্যবস্থা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hibbeler
ক্যাটওয়াক!
বিশ্ববিখ্যাত মডেলদের মতো ক্যাটওয়াকেও অংশ নিয়েছে গরু-সুন্দরীরা৷ কান খাড়া করে, নিতম্বটা একটু যৌনাবেদনময়ীর ভঙ্গিতে তুলে সামনের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে আত্মবিশ্বাসী পদক্ষেপে যারা এগিয়ে যেতে পেরেছে, তাদেরই ‘ফুল মার্কস’ দিয়েছেন বিচারকরা!
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hibbeler
সাফল্যের মূল মন্ত্র
প্রশিক্ষকরা প্রতিযোগীদের পই পই করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ‘‘পরিমিত খাবে এবং ঘুমাবে৷ শরীর কখনো নোংরা করবে না৷’’ প্রতিদিন শাওয়ারের নীচে দাঁড়াতে হতো প্রতিযোগীদের৷ চার পায়ের খুরও পরিষ্কার করা হতো প্রতিদিন৷ বিশ্রাম নিতে হতো বাঁধা সময় মেনে৷ এ সব সু-অভ্যাস রপ্ত করে তবেই সবাই ফাইনালে হাজির হয়েছিল বিচারকদের প্যানেলের সামনে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Wagner
সুন্দরীরা নিলামে!
হলস্টাইন গরুদের জার্মানি, লুক্সেমবুর্গসহ ইউরোপের এ অঞ্চলে অনেক কদর৷ দুধ দেয়া গরুদের মধ্যে এই হলস্টাইন গরুই সবচেয়ে বেশি আছে এ অঞ্চলে৷ এমন গরুর ক্রেতার অভাব নেই৷ এ প্রতিযোগিতায় অনেক কৃ্ষকই এসেছিলেন রথ দেখার পাশাপাশি কলাও বেচার লক্ষ্য নিয়ে৷ অর্থাৎ সুন্দরী গরুটা যখন প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে তৈরি করছে, তখনও ক্রেতা খুঁজেছেন গরুর মালিক৷ নিলাম হয়েছে এবং সেই নিলামে বিক্রিও হয়েছে অনেক ‘সুন্দরী’!
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hibbeler
এবং এবারের বিজয়িনী....
জার্মানি আর লুক্সেমবুর্গের গরু সমাজে সবচেয়ে সুন্দরী কে? দু’বছরের জন্য এ প্রশ্নের উত্তর সবার জানা হয়ে গেছে৷ আট বছর বয়সি ‘সুন্দরী’ লেডি গাগা জিতে নিয়েছে এবারের ‘হলস্টাইন শো’৷ পপস্টার ‘লেডি গাগা’-র নামে নাম রাখার পর এবার তাদের প্রিয় গরুটি সেরার স্বীকৃতিও পেল৷ কৃষক হেনরিক ভিলে সত্যিই ভীষণ গর্বিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
7 ছবি1 | 7
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচার বা ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর হয়ে কাজ করেন অ্যান্ড্রু৷ সঙ্গীসাথীদের নিয়ে সপ্তাহের পর সপ্তাহ জঙ্গলে কাটান৷ সকলের আশঙ্কা যে, যে কোনো দিন শিকারির ফাঁদে বিশ্বের শেষ সাওলা প্রাণ দিতে পারে৷ অ্যান্ড্রু বলেন, ‘‘কোয়াং নাম বা ভিয়েতনামে যে আর ক'টা সাওলা বেঁচে আছে, তা কেউ জানে না৷ তাদের সংখ্যা একশ'ও হতে পারে, আবার হাতে গুণে বলা যায়, এমনও হতে পারে৷ এ যেন সেই খড়ের গাদায় ছুঁচ খোঁজার মতো৷''
জ্যান্ত জুরাসিক
তার একটা সমাধান হতে পারে: জোঁক৷ এই জোঁকগুলো যেন হাজার হাজার ক্যামেরা ট্র্যাপের সমান৷ অ্যান্ড্রু বলেন, ‘‘জোঁকরা জন্তুজানোয়ারের রক্ত চোষে৷ ওরা নিজে থেকেই আমাদের কাছে আসে, কেননা ওরা আমাদের রক্ত খেয়ে বাঁচে৷ আমরা জোঁকগুলোকে সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে জীবজন্তুর যে রক্ত আছে, তার ডিএনএ বিশ্লেষণ করতে পাঠাই৷''
জঙ্গল থেকে ল্যাবরেটরি৷ অ্যান্ড্রু আর তার সহকর্মীরা প্রায় বিশ হাজার জোঁক পাঠিয়েছেন চীন আর জার্মানির বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে৷ কিন্তু কোনো স্যাম্পলেই সাওলার রক্ত পাওয়া যায়নি৷ তাহলে কি সাওলা বিলুপ্ত হয়ে গেছে? অ্যান্ড্রুর মতে, ‘‘ধরে নেওয়া যাক, আর কোনো সাওলা নেই৷ কিন্তু অন্যান্য জীবজন্তু রয়েছে, যারা ঠিক সেই পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ অথচ বিপন্ন – জোঁক থেকে যাদের হদিশ পাওয়া গেছে৷ যেমন লাল রঙের শেং ডুক বাঁদর, কিংবা বাঘের মতো ডোরাকাটা খরগোশ, যা শুধু ভিয়েতনাম আর লাওসে পাওয়া যায়৷''
‘যেন আমার পরিবারের কেউ'
সেই কারণে এ অঞ্চলের মানুষজনের উচিত, যত কম সম্ভব শিকার করা৷ আ লাং লাপ্স আর তাঁর পরিবারের লোকজন এ জন্য সরকারের কাছ থেকে টাকা পান – মাসে ৩০ ডলার মতো৷ সেই টাকা দিয়ে তিনি মাছের চাষ করেন – আর করেন ধানচাষ৷ আ লাং বলেন, ‘‘ধানচাষ করা খুব শক্ত নয়, ধানচাষি হিসেবে আমাকে বাড়ি থেকে বেশি দূরে যেতে হয় না৷ তবে শিকার থেকে যা রোজগার হতো, চাষবাস করে ততটা রোজগার করা সম্ভব নয়৷''
পশ্চিমবঙ্গের গরুর দৌড়
প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে গরুর দৌড় হয়৷ সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গরুর দৌড় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু লোকজন যেভাবে গরুর দৌড় নিয়ে উৎসাহিত তাতে কি এটা আদৌ বন্ধ করা যাবে?
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বর্ষার আগমনি উদযাপন
প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে গরুর দৌড় হয়৷ বর্ষার আগমন উদযাপন করতে চালু হয়েছিল এই প্রথা, যেহেতু বর্ষা কৃষিকাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ইতিহাস
যদিও গ্রামের বয়স্করা বলেন, প্রখর গ্রীষ্মে শুকিয়ে যাওয়া জমির উপরিভাগ একটু ভেঙে নিলে বৃষ্টির জল ভিতরে ঢুকতে পারবে এবং পরে লাঙল দিতে সুবিধে হবে - সেই তাগিদ থেকেই শুরু হয়েছিল গরুর দৌড়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
এখন শুধুই বিনোদন
কিন্তু এখন চাষের কাজে যন্ত্রচালিত লাঙলই ব্যবহার হয়৷ গরুর দৌড় তাই থেকে গিয়েছে একটা ক্রীড়া এবং বিনোদন হিসেবে৷ আর গবাদি পশুর মালিকদের কাছে এটা এখন একটা সম্মানের লড়াই৷ অন্যদিকে দৌড়বাজ গরুর উপর বাজি ধরেন সাধারণ দর্শক৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মনোযোগি দর্শক
কাজেই কিছু দর্শকের নিবিষ্ট চাহনি দেখেই বোঝা যায়, দৌড়ের কোনও অংশ তাদের নজর এড়িয়ে যায় না৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সবার প্রিয়
গ্রামের কিশোর, তরুণরাও সকাল থেকে ভিড় জমায় রেসের মাঠে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিরাপদ দূরত্ব
গ্রামের কিশোরী, তরুণী এবং মহিলারা আর প্রবীণরা একটু নিরাপদ দূরত্বে থেকেই মজা দেখেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মাদকের প্রভাব
এই নিরাপদ দূরত্ব রাখাটা জরুরি, কারণ গরুগুলো দিগবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছোটে৷ সম্ভবত ওরা কোনও মাদকের প্রভাবে উত্তেজিত থাকে৷ মাদকের মধ্যে সবথেকে সহজলভ্য কোল্ড ড্রিঙ্ক আর ব্যথা কমানোর ওষুধের মিশ্রন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
গরুকে ঠান্ডা করা
যে কারণে একেকটা দৌড় যেই শেষ হয়, রাখালেরা গিয়ে একেকজন একেকটা গরুকে সামলাবার দায়িত্ব নিয়ে নেয়৷ জোর করে ওদের নিয়ে যায় সামান্য গভীর জলে, যাতে গরুগুলো একটু ঠান্ডা হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নিষিদ্ধের রায়
তবে পশু অধিকার সুরক্ষা সংগঠনগুলোর অভিযোগ পেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গরুর দৌড় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কারণ গরু দৌড়োবার উপযুক্ত প্রাণি নয় এবং তাদের নিয়ে প্রতিযোগিতার কারণে নানাভাবে তাদের কষ্ট দেওয়া হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বন্ধ হবে কি?
কিন্তু লোকে যেভাবে গরুর দৌড় নিয়ে উৎসাহিত, অদূর ভবিষ্যতে এই দৌড় বন্ধ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, সে আদালত বা পশুপ্রেমীরা যা-ই বলুন না কেন!
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
জন্তুজানোয়ার বাঁচানোর ব্যাপারে মানুষজনকে কিভাবে উৎসাহ দেওয়া যায়? ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর কর্মীরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে সভা করেন, কথা বলেন, ছোট ছোট খেলার মাধ্যমে বোঝান৷ এই কানামাছি খেলাটার লক্ষ্য হল, চোখ বুজে, ফাঁদে না পড়ে হাঁটা৷ ভিয়েতনামের প্রাণীবৈচিত্র্যের কথা শুনে পর্যটকরা আসবেন, তা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা উপকৃত হবেন, এই হলো ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর কর্মীদের যুক্তি৷ অজানা সাওলা জীবটি যেমন এখন ভিয়েতনামের বাইরেও পরিচিত৷ তালাং গ্রামের বাসিন্দা আ লাং থি গাং বলেন, ‘‘বিশেষ করে চোরাশিকার আর জঙ্গল কাটার দরুণ সাওলা বিপন্ন৷ একবার সাওলা দেখতে পেলে আমি খুব খুশি হতাম৷ ও যেন আমার পরিবারের কেউ৷ ও-কে নিশ্চয় খুব সুন্দর দেখতে৷''
বাস্তবিক জীব
অ্যান্ড্রু টিল্কারের মতো বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন হলো, একটি নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করা, তুষার যুগ থেকে চলে আসা একটি জীব, যাকে নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি৷ অ্যান্ড্রু এই প্রথম একটি আস্ত সাওলা দেখলেন – প্রাদেশিক বনবিভাগে৷ নব্বই-এর দশকের সূচনায় বনবিভাগের কর্মীরা একটি মৃত সাওলা খুঁজে পেয়ে খড় দিয়ে পুরে সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেন৷ অ্যান্ড্রুর কাছে তার অর্থ, ‘‘আমি যখন এখানে সাওলাটাকে দেখি, বা কোনো গ্রামে সাওলার শিং দেখি, তখন তা যেন সাওলার ছবিটাকে বাঁচিয়ে রাখতে, তাজা রাখতে সাহায্য করে৷ আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে, সাওলা শুধু আমার কল্পনা নয়, একটা বাস্তবিক জীব৷''
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আবার একটি সাওলার ছবি ধরা পড়ে জঙ্গলের ক্যামেরায়৷ সেই সঙ্গে বিজ্ঞানীদের আশাও নতুন খোরাক পায় যে, সাওলা সত্যি সত্যি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি৷