1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ নভেম্বর ২০১৫

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি একসঙ্গে কার্যকর হয়েছে৷

Bangladesch - Polizisten vor dem Dhaka Gefängnis
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Abdullah

শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে বারোটার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে বলে কারা ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে৷ ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে মোট চারজনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হলো৷ এর আগে ২০১৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর জামায়ত নেতা কাদের মোল্লা এবং ২০১৫ সালের ১১ই এপ্রিল কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হয়েছিল এই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই৷

গত বুধবার সাকা ও মুজাহিদের রিভিউ আবেদন খারিজ করে তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷ বৃহস্পতিবার একইসঙ্গে তাদের আপিলের রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ আদেশ কারাগারে পৌঁছায়৷ শনিবার তারা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান বলে ডয়চে ভেলেকে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক৷ সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি৷ তবে সাকা চৌধুরীর পরিবার এবং মুজাহিদের দল জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে যে, তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রাণভিক্ষা চাওয়া হয়নি৷

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শহিদ জহির রায়হানের ভাই ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর ডয়চে ভলেকে বলেন, ‘‘গণহত্যার বিচার হয়েছে কিন্তু গত ৪৪ বছর ধরে ৩০ লাখ শহিদ পরিবারে যে দুঃখ কষ্ট হয়েছে তার বিচার হয়নি৷ ৪৪ বছর ধরে এ সমস্ত অপরাধীরা বাংলাদেশ থেকে যেসব সম্পদ অর্জন করেছে, তা বাজেয়াপ্ত করে শহিদ পরিবারকে দিতে হবে৷’’

প্রসঙ্গত, মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ১৭ই জুলাই মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২৷ আপিলেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে৷ এরপর ২০১৩ সালের ১লা অক্টোবর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল-১৷ একই বছরের ২৯শে অক্টোবর খালাস চেয়ে করা আপিলেও তাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে৷

উল্লেখ্য, একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন সাকা ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহবান জানিয়েছিল৷ তাদের বিচার প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী হয়নি বলে দাবি করেছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-ও৷ তবে বাংলাদেশ সরকার সেসব আপত্তি আমলে নেয়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ