গত মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোনের সাথে একটি স্পন্সরশিপ চুক্তি করেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টিটোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান৷ তার আগের দিনই দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন৷
সাকিবের এই চুক্তিকে ভালোভাবে নিচ্ছে না বিসিবি৷ এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে৷
গ্রামীণফোনের সঙ্গে চুক্তি করে সাকিব বিসিবির চুক্তি ও প্রক্রিয়া ভঙ্গ করেছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী৷ এই বিষয়ে সাকিব ও গ্রামীণফোনের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিসিবি প্রধানও৷
এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমকে নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘‘আমরা লিগ্যাল অ্যাকশনে যাচ্ছি৷ কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই৷''
দৈনিক কালের কণ্ঠকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা ক্ষতিপূরণ দাবি করব এখন৷ সেটি কোম্পানির কাছেও দাবি করব, দাবি করব খেলোয়াড়ের কাছেও৷ আমরা কি ছেড়ে দেব নাকি? কালকে (গত পরশু) শুনলাম প্রথম৷ আমি বলে দিয়েছি, গ্রামীণফোনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাও৷ বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ চাও৷ বলেছি, চিঠি পাঠাও সাকিবকেও৷ আমাদের ব্যাখ্যা চাই৷ আমাদের কাছে ব্যাপারটিকে মনে হয়েছে, ‘বোর্ডের কোনো নিয়ম-কানুন মানি না,’ এ রকম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবই৷''
তিনি জানান ২০১৫ সালে আরেক টেলিকম অপারেটর রবির সাথে বিসিবির টাইটেল স্পন্সর চুক্তি হওয়ার পর গ্রামীণফোন আলাদাভাবে খেলোয়াড়দের চুক্তি শুরু করে৷ এতে বোর্ডের বিরাট ক্ষতি হয়েছে৷ ‘‘যে কারণে আমরা খেলোয়াড়দের টেলিকম কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি করা থেকে বিরত রেখেছি৷ তারপরও সে (সাকিব) এটা করেছে৷ এবং সময়টা দেখেন? খেলা বন্ধ করে চুক্তি! এটা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ,’’ বলেন পাপন৷
এসময় তিনি আফগানিস্তান সিরিজ হার নিয়েও সাকিবের সমালোচনা করেন৷ বলেন, ‘‘(এরপর) আমি হলে আন্দোলন দূরের কথা, লজ্জায় মুখই দেখাতাম না৷''
গত সোমবার সাকিব দেশের শীর্ষ ক্রিকেটারদের সাথে বিভিন্ন দাবি পূরণে ধর্মঘটের ডাক দেন৷ বুধবার বিসিবির আলোচনার পর এই আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়৷ শুক্রবার থেকে খেলোয়াড়রা ভারত সফরের প্রশিক্ষণ পর্বে অংশ নিয়েছেন৷
এফএস/জেডএ (এএফপি)
কম্পিউটারের মাউস, ক্যামেরা, স্কুলের ডেস্ক চেয়ার, নানা দিক দিয়েই বঞ্চিত ‘ন্যাটা’রা৷ কিন্তু নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে খেলাধুলায় হয়তো তারা একটু বেশিই সুবিধা পেয়ে থাকেন৷ আজকের ছবিঘর বিশ্বখ্যাত কিছু বাঁয়ের জাদুকরকে নিয়ে৷
ছবি: Getty Images/A. Davidsonসাকিবের কথা আর নতুন করে বলার কী আছে! একের পর এক সাফল্য আর রেকর্ড ভাঙা ম্যাচ খেলে নিজেকে অন্য কাতারে নিয়ে গেছেন শুধু বাংলাদেশের না, বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার৷ টি-টোয়েন্টি, ওডিআই ও টেস্ট— এই তিন ফরম্যাটেই একইসময়ে নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হওয়া প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটারের নাম সাকিব৷ ব্যাটে-বলে এমন টানা নৈপুন্য অনেকদিন দেখেনি ক্রিকেট বিশ্ব৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zamanজরিপ যেই করুক, সর্বকালের সেরা বোলারদের তালিকায় পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরামের নাম সবার ওপরের দিকেই থাকবে৷ কিন্তু বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের সেরা বাছাইয়ে ওয়াসিম আকরামের বিকল্প নেই৷ বলে রাখা ভালো, ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫০০ উইকেটের সীমা পেরোনো প্রথম বোলার এই বাঁহাতি৷
ছবি: APশুধু সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন নয়, আধুনিক ভারতীয় ক্রিকেটের সেরা অধিনায়ক হিসেবেও বিবেচনা করা হয় বাঙালি সৌরভকে৷ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের ক্যারিয়ারে ১১ হাজারের বেশি রান করেছেন বঙ্গ বিভূষণ উপাধি পাওয়া এই ক্রিকেটার৷ বাঁহাতে ব্যাট করলেও বোলিং অবশ্য তিনি ডান হাতেই করতেন৷
ছবি: APচেকোস্লোভাকিয়ায় জন্ম নেয়া এই মার্কিন টেনিস তারকা লন টেনিস জগতের এক কিংবদন্তী৷ টানা ৩৩২ সপ্তাহ সিঙ্গেলসে এবং রেকর্ড ২৩৭ সপ্তাহ ডাবলসে ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান ছিলেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, ২০০ সপ্তাহের বেশি দুই ফরম্যাটেই শীর্ষ স্থান ধরে রাখা একমাত্র টেনিস খেলোয়াড় এই বাঁহাতি তারকা৷
ছবি: Reuters/H. Mckayযুগোস্লাভিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে লন টেনিস খেলেছেন মনিকা সেলেস৷ ১৯৯০ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে রেকর্ড করেন মনিকা৷ ২০ বছর হওয়ার আগেই তার ঝুলিতে জমা হয় আটটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা৷ ১৯৯৩ সালে এক ম্যাচ চলাকালে তার ওপর নয় ইঞ্চি ধারালো ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে বসেন এক ব্যক্তি৷ দুই বছর পর ফিরে এলেও আর আগের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারেননি মনিকা সেলেস৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Campbellএখনও দুর্দান্ত ফর্মে খেলে চলেছেন বাঁহাতি এই টেনিস তারকা৷ এই মুহূর্তে পুরুষ এককে অবস্থান করছেন দ্বিতীয় স্থানে৷ এখন পর্যন্ত ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতেছেন নাদাল৷ এটিপি ট্যুর মাস্টার্সের ১০০০-এর ৩৫টি শিরোপা জিতে করেছেন রেকর্ড৷
ছবি: Reuters/K. Pfaffenbachমোহাম্মদ আলীর সম্পর্কে আর নতুন করে কীই বা বলা যেতে পারে? ভক্তরাই আদর করে তাকে ডাকতেন ‘দ্য গ্রেটেস্ট’৷ বিংশ শতাব্দীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিহাসের সেরা বক্সার হিসেবে বিবেচনা করা হয় মোহাম্মদ আলীকে৷ হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ তিনবার পুনরুদ্ধার করা একমাত্র বক্সার তিনি৷ ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করে সেনাবাহিনীতে যোগ না দেয়ায় সাজা পেলেও, এ অবস্থান অনেকের কাছেই তাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন সম্মানের আসনে৷
ছবি: picture alliance/UPIইতিহাসের সবচেয়ে দুর্ভাগা ফুটবলার মনে করা হয় আর্জেন্টাইন এ খেলোয়াড়কে৷ ভক্তদের কাছে ‘ভিনগ্রহের খেলোয়াড়’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মেসি ক্লাবের পক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেও তেমন কিছু এনে দিতে পারেননি নিজের দেশকে৷ স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে খেলে লা লিগা, উয়েফাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছেন৷ কিন্তু দেশের পক্ষে ২০০৮ সালে অলিম্পিকে সোনাই তাঁর ক্যরিয়ারের সর্বোচ্চ অর্জন৷
ছবি: Reuters/U. Marcelinoযেকোনো বিবেচনায় ফুটবলের ইতিহাসের সর্বকালের সেরাদের একজন মারাদোনা৷ ফিফার ঘোষণা করা বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতিতে মারাদোনার সঙ্গে অবশ্য ভাগ বসিয়েছিলেন আরেক কিংবদন্তি পেলেও৷ বাম পা দিয়ে দুর্দান্ত খেললেও হাতের ব্যবহারেও কম ছিলেন না এই লেজেন্ড৷ ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর বাঁহাত দিয়ে করা গোলটি এত বছর পরও জোগায় বিতর্কের রসদ৷
ছবি: picture-alliance/AFP