1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাখারভ পুরস্কারে ভূষিত মালালা

২১ নভেম্বর ২০১৩

ঘটনাটা ২০১৩ সালের৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গিয়ে নিজের হাতে ‘সাখারভ প্রাইজ ফর ফ্রিডম’ গ্রহণ করেন পাকিস্তানের কিশোরী মালালা ইউসুফজাই৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তসলিমা নাসরিন৷

Pakistani teenage activist Malala Yousafzai, who was shot in the head by the Taliban for campaigning for girls' education, addresses the European Parliament after she received her 2013 Sakharov Prize during an award ceremony in Strasbourg, November 20, 2013. REUTERS/Vincent Kessler (FRANCE - Tags: POLITICS EDUCATION)
ছবি: Reuters

শিশুদের জন্য শিক্ষার দাবিতে সোচ্চার মালালা৷ তালেবানের চোখরাঙানি, বুলেটের আঘাত – কিছুই দমাতে পারেনি তাঁকে৷ এমন সাহসী ও দৃঢ় অবস্থানের স্বীকৃতি হিসেবেই মালালা পেয়ে চলেছেন একের পর এক পুরস্কার৷ বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলৎস মালালার ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন৷ তিনি মালালাকে শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক ‘গ্লোবাল আইকন' বা আন্তর্জাতিক প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন৷ মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও তাঁর অবদানের কথা স্বীকার করেন মার্টিন শুলৎস৷

ছবি: Reuters

মালালা তাঁর ভাষণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্দেশ্যে সারা বিশ্বে শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে সংগ্রামের ডাক দিয়েছে৷ প্রায় ৫ কোটি ৭০ লক্ষ শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত, তারা স্কুলে যেতে পারে না৷ ফলে সবারই বিবেক দংশন হওয়া উচিত বলে মনে করে মালালা৷ শুধু ইউরোপের মধ্যে দৃষ্টি আবদ্ধ না রেখে সর্বত্র মানবাধিকার রক্ষার প্রতি মনোযোগ দেবার আবেদন করে সে৷ যে সব শিশু দারিদ্র্য, নির্যাতন ও সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে, তারা আইফোন, এক্সবক্স, প্লে-স্টেশন বা চকোলেট চায় না৷ মালালার মতে, তাদের হাতে বই ও কলম তুলে দিলেই তারা সন্তুষ্ট হবে৷

তাঁর নিজের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে এই পুরস্কার অত্যন্ত সহায়ক হবে৷ মালালা এই পুরস্কারটি পাকিস্তানের সেই সব মানুষের প্রতি উৎসর্গ করেছে, যাঁরা সবার অলক্ষ্যে একই প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন৷ গোটা বিশ্বে যাঁরা মৌলিক মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছেন, তাঁদেরকেও একই আসনে বসিয়েছেন তিনি৷

সবচেয়ে কম বয়সি সাখারভ পুরস্কারজয়ী হিসেবে বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছেন পাকিস্তানের এই কিশোরী মেয়েটি৷ তাও এমন এক বছরে, যখন এডওয়ার্ড স্নোডেনের নামও সাখারভ পুরস্কারের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল৷ চূড়ান্ত তালিকা থেকে শুধু মালালাকেই বেছে নেয়া হয়৷

বুধবার ২৫তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাখারভ পুরস্কার বিজয়ী আরও ২১ জন৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনও৷ ১৯৯৪ সালে তিনি এই পুরস্কার পান৷ তিনি বলেন, নারীশিক্ষা ও নারী অধিকারের প্রতি ইউরোপ তার সমর্থন দেখাচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ