নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর লাগোস সাগরের উপকূলে, সাগর থেকেই তার যত বিপদ৷ এর পরেও অবশ্য উঁচু পাথরের দেয়াল তুলে একটি লাক্সারি আবাসিক এলাকা সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ তাতে শহরের গরিব এলাকাগুলোর সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না৷
বিজ্ঞাপন
সৈকত বরাবর এক সুবিশাল পাথরের দেয়াল, যা ইতিমধ্যেই প্রায় আট কিলোমিটার লম্বা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ লাগোসের উপকূলে যে নতুন ইকো অ্যাটলান্টিক সিটি তৈরি হচ্ছে, তাকে সুরক্ষিত করাই এ প্রাচীরের কাজ৷ ম্যানেজার ডেভিড ফ্রেম গোটা প্রকল্পটির বিকাশে সংশ্লিষ্ট ছিলেন৷ তিনি জানালেন, প্রাকারের কাজ অর্ধেক শেষ৷ সব মিলিয়ে লক্ষাধিক সিমেন্ট ব্লক ফেলে কৃত্রিম শহরাঞ্চলটিকে সুরক্ষিত করা হবে৷ সাউথ এনার্জিক্স নাইজেরিয়া লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ডেভিড ফ্রেম বলেন, ‘‘এক একটি সিমেন্ট ব্লকের ওজন পাঁচ টন৷ ওদের বিশেষ আকৃতির দরুণ ওরা পরস্পরের সঙ্গে ফিট করে যায়৷ ফলে ওরা আগ্রাসী ঢেউগুলোকে বাধা দিতে পারে৷''
এখন যেখানে পাথরের ব্লকগুলো স্তূপ করা হচ্ছে, একশ' বছর আগেও সেখানে ছিল বেলাভূমি৷ কিন্তু সাগরের পানির উচ্চতা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে৷ এখন আবার এলাকাটা বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে৷ এভাবে এক কোটি বর্গমিটার জমি পাওয়া যাবে, যার অধিকাংশ ইতিমধ্যেই প্লট করে বিক্রি করা হয়ে গেছে৷ এই নির্মাণকার্য থেকে কাছের ভিক্টোরিয়া আইল্যান্ড নামের শহরাঞ্চলটিও উপকৃত হচ্ছে – আগে এলাকাটি সাগরের গা ঘেঁষে ছিল৷ ডেভিড ফ্রেম বলেন, ‘‘আমরা জমি পুনরুদ্ধার করছি আর সেই সঙ্গে ভিক্টোরিয়া আইল্যান্ডকেও সুরক্ষিত করছি৷ এছাড়া আমরা শহরের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করছি৷ এখানে শুধু বাণিজ্যিক এলাকাই নয়, আবাসিক এলাকাও সৃষ্টি হচ্ছে৷''
সাগরের মায়াপুরী
ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞদের মতে সমুদ্রের পাঁচটি স্থানকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত৷ অবশ্য সাগরের অতলে এই স্থানগুলিতে দর্শক সমাগম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই!
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Courtesy Chris Burville
সাগরের গভীরে, জলের তলায় এক আশ্চর্য জগৎ
সাগরের পানির নীচে পাঁচটি স্থানকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেবার সুপারিশ করেছেন ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞরা৷ এই সব স্থানের বাসিন্দাদের সৌন্দর্য অকল্পনীয়; সেই সঙ্গে রয়েছে অপরিসীম জীববৈচিত্র্য; এছাড়া পরিবেশ বিপন্ন হলে, তার চিহ্নও ধরা পড়ে এখানে৷
ছবি: Kevin Raskoff/NOAA/Wikipedia
‘‘হারানো শহর’’
অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ৮০০ মিটার জলের তলায় ভূপৃষ্টের ফাটল থেকে আগুন, গরম লাভা ও গ্যাস বেরিয়ে আসছে৷ ইউনেস্কোর বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের অন্য কোথাও এ ধরনের একটি আশ্চর্য পরিবেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট নামে পরিচিত প্রাকৃতিক চিমনিগুলি থেকে সম্ভবত ১ লক্ষ ২০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে গ্যাস নির্গত হচ্ছে৷ সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় চিমনিটির নাম রাখা হয়েছে পোসাইডন৷ উচ্চতা ৬০ মিটারের বেশি৷
ছবি: Woods Hole Oceanographic Institute and Charles Fisher, Pennsylvania State University
কোস্টা রিকার থার্মাল ডোম
প্রশান্ত মহাসাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘের এই এলাকাটিকে ‘‘সাগরের মরুদ্যান’’ আখ্যা দিয়েছেন ইউনেস্কোর বিজ্ঞানীরা৷ এখানে যেমন টুনা মাছ কিংবা শুশুক, তেমনই হাঙর বা তিমি মাছ পাওয়া যায়৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে এলাকার সবচেয়ে বড় বাসিন্দা নীল তিমিকে৷ বিশেষভাবে বিপন্ন সামুদ্রিক কচ্ছপ লেদারব্যাক টার্টলরাও এখান দিয়ে যায়৷
ছবি: picture alliance/WILDLIFE
হোয়াইট শার্ক কাফে
সাদা হাঙরের কফিহাউস? হ্যাঁ, মেরিন বায়োলজিস্টরা সত্যিই এই নাম দিয়েছেন৷ জায়গাটা কিন্তু খোলা সমুদ্রে, উত্তর অ্যামেরিকা আর হাওয়াই দ্বীপের মাঝামাঝি৷ হোয়াইট শার্ক নামধারী হাঙরদের ভিড় লেগে থাকে এখানে, হয়তো জলের বিভিন্ন স্রোত তাদের ভালো লাগে বলে৷
ছবি: Pterantula (Terry Goss) via Wikimedia Commons
সারগাসো সি
স্বয়ং কলম্বাস নাকি ১৮৯২ সালে তাঁর প্রথম সমুদ্রযাত্রার সময় এই দৃশ্য দেখেছিলেন৷ বার্মুডার দ্বীপগুলোকে ঘিরে রয়েছে এই সারগাসো সাগর৷ সারগাসো নামটি এসেছে সার্গাসুম নামধারী ভাসন্ত সামুদ্রিক শ্যাওলা থেকে৷ সার্গাসুম-কে বিজ্ঞানীরা বলেন ‘ভাসন্ত সোনালি ক্রান্তীয় অরণ্য’৷ এই ‘অরণ্যে’ বহু জীব ও প্রাণীর বাস৷ ইউরোপীয় ও অ্যামেরিকান বানমাছেরা শুধু এখানেই ডিম পাড়ে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Courtesy Chris Burville
অ্যাটলান্টিসের পাড়
ভারত মহাসাগরের এই জলমজ্জিত দ্বীপটি নাকি লক্ষ লক্ষ বছর আগে সাগরে ডুবে গিয়েছিল – এই কি তাহলে কিংবদন্তীর অ্যাটলান্টিস মহাদেশ? সাগরের ৭০০ থেকে ৪,০০০ মিটার নীচে চড়াই-উৎরাই, সৈকৎ কিংবা উপহ্রদ, সবই পাওয়া যায় – সেই সঙ্গে বড় বড় অ্যানেমনি, সুবিশাল স্পঞ্জ ও প্রবাল৷
ছবি: The Natural Environment Research Council and IUCN/GEF Seamounts Project C/O Alex D Rogers
সারা পৃথিবীর, গোটা মানবজাতির সম্পদ
পাঁচটি স্থানই সাগরের জলভূমির আন্তর্জাতিক অংশে, কোনো বিশেষ দেশের তাঁবে নয়৷ তার খারাপ দিকটা হল এই যে, এই ধরনের এলাকা সুরক্ষিত বা সংরক্ষিত করা কঠিন৷ ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ আখ্যা দেওয়াটা তার একটা পন্থা হতে পারে৷
7 ছবি1 | 7
ইকো অ্যাটলান্টিক সিটি নামের এই লাক্সারি আবাসিক এলাকায় কালে আড়াই লাখ মানুষ বাস করবেন, আরো দেড় লাখ রোজ এখানে চাকরি করতে আসবেন৷ বিলিয়ন ডলার প্রকল্পটির অর্থায়ন করছেন বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা৷ বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহও বেসরকারি সংস্থাদের হাতে৷ তবে এখানকার বাড়ি বা ফ্ল্যাটগুলি শুধুমাত্র বিত্তশালীদের জন্য৷ তাই লাগোসকে এরই মধ্যে আফ্রিকার সবচেয়ে ব্যয়সাধ্য শহরগুলোর মধ্যে ফেলা হয়৷ অবশ্য লাগোসের অন্যান্য এলাকার সমস্যাগুলো থেকেই যাচ্ছে: রাস্তায় মানুষের ভিড় ও যানজট; এমন সব বস্তি, যেখানে মানুষেরা জায়গার অভাবে জলের ওপর খুঁটি গেড়ে বাস করছেন৷
সোনি আলাকিয়ার পরিবারের লোকজন বহু পুরুষ ধরে এ ধরনের একটি বস্তিতে বাস করছেন – উপকূলেই, পরিকল্পিত ইকো অ্যাটলান্টিক সিটির কিছুটা পুবে৷ ইয়োরুবার বাসিন্দাসোনি আলাকিয়া বলেন, ‘‘আগে এখানে সর্বত্র বাড়ি ছিল৷ ঐ ওদিকে, যেখানে এখন সাগরের জল, ওখান দিয়ে একটা রাস্তা চলে গিয়েছিল৷ কিন্তু তারপর পানি বাড়তেই থাকে৷'' সাগরের জলে বাঁধ দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য এখানকার বাসিন্দাদের নেই৷ কাজেই ঝড়জলে সাগরের বান আরো বেশি জমি খেয়ে ফেলে, বাড়িঘর নষ্ট করে৷ কয়েক কিলোমিটার দূরের মেগাপ্রকল্পটির কারণে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে, বলে এখানকার বাসিন্দাদের বদ্ধমূল ধারণা৷
সাগরে শিক্ষা ট্যুর
এটা একটি বিশেষ ধরনের বিদেশ ভ্রমণ৷ সারা জার্মানি থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা অ্যাটলান্টিকের বুকে কাটায় দীর্ঘ ছয় মাস৷ সেখানে তারা বিদেশি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে৷ জাহাজেই চলে এই ক্লাস৷ এমনকি জাহাজটিও চালায় তারা নিজেরাই৷
ছবি: KUS-Projekt
‘টোর হায়ারডাল’
গত প্রায় ২৫ বছর যবত তিন-তিনটি মাস্তুল বিশিষ্ট ‘টোর হায়ারডাল’ নামের এই জাহাজ যুব শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের সাগরের ওপর দিয়ে নিয়ে গেছে বিশ্বের নানা দেশে৷ ২০০৮ সাল থেকে এই জাহাজটি অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ‘সাগরে ক্লাসরুম’ নামের এই প্রজেক্টটির জন্য ‘রিজার্ভ’ করা থাকে৷
ছবি: KUS-Projekt
দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য প্যাকিং
মোট ১৯০ দিন সাগরে বসবাস, কাজেই সবকিছু সাথে নিতে হয়৷ বলা বাহুল্য তার মধ্যে খাবার-দাবার অন্যতম৷ ভ্রমণের চারদিন আগে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নতুন ‘বাড়ি’, মানে এই জাহাজে সব জিনিস-পত্র তোলার ব্যাপারে একে-অন্যকে সাহায্য করে থাকে৷
ছবি: KUS-Projekt
আনন্দদায়ক এক জাহাজ
জার্মানির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ৩৪ জন ছাত্র-ছাত্রী ইটালির বিশিষ্ট নাবিক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস এবং বিশ্বখ্যাত আবিষ্কারক আলেক্সান্ডার ফন হুমবোল্ড-এর পথ অনুসরণ করছে৷ ছবিতে দেখুন, কেমন করে তারা জার্মানির কিল শহর থেকে বিভিন্ন চ্যানেলের ভেতর দিয়ে ঢুকে পড়ছে নতুন জগতে৷
ছবি: KUS-Projekt
প্রথম দিন
সুন্দর আবহাওয়া, সাগরের জল শান্ত – ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি এমন একটি দিনে শিক্ষার্থীরা সমুদ্র পথে যাত্রা শুরু করে৷ তারা উত্তর সাগরের একটি চ্যানেলের মধ্যে দিয়ে থেকে ইংলিশ চ্যানেল এবং স্পেনের বিস্কায়া হয়ে টেনেরিফা পর্যন্ত পাড়ি দেয়৷
ছবি: KUS-Projekt
পাহাড়ের ছায়ায় ক্লাস
টেনেরিফার সেন্ট ক্রুজে জাহাজটি প্রথম এসে নাঙর ফেলে৷ সেখানে অতিথি বা ‘হোস্ট’ পরিবারে রাত কাটানোর পর শিক্ষার্থীরা স্পেনের সবচেয়ে উঁচু পাহাড় ‘পিকো ডেল টেইডে’-র চূড়ায় ওঠতে থাকে৷ পথেই ওদের জীববিদ্যার ক্লাস হয়৷
ছবি: KUS-Projekt
সাগরের অনুভূতি
অ্যাটলান্টিক মহাসাগর বা অতলান্ত সাহর পার হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের নিজেদের অনেকটা নাবিকদের মতোই লাগে৷ জাহাজ ক্রু’র নির্দেশনায় জাহাজের সমস্ত কাজ ছাত্র-ছাত্রীরাই করে৷ এমন কি রান্না এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজও৷
ছবি: KUS-Projekt
যথেষ্ট হয়েছে রোদ আর পামগাছ দেখা
ক্যারিবিকে পৌঁছানোর পর আনন্দ যেন আর ধরে না তাদের! দীর্ঘ ২৪ দিন সাগরে কাটানোর পর এই সবুজ দ্বীপে নাঙর ফেলে এবং এত সুন্দর একটা সমুদ্রসৈকত দেখে শিক্ষার্থীদের মন ভরে যায়৷ এমনটাই তো আশা করেছিল তারা! স্পেনের দক্ষিণাঞ্চলে আলহামরা-খ্যাত গ্রানাডা শহরেও হোস্ট পরিবার বাড়িতে ওরা রাত কাটায়৷
ছবি: KUS-Projekt
ইন্ডিয়ানাদের সাথে বাস
শিক্ষার্থীরা পানামাতে কয়েকদিন হোস্ট পরিবারে থাকা এবং কফি বাগানে কাজ করার সুবাদে কুনা-ইন্ডিয়ানাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানা ও দেখার সুযোগ পেয়ে যায়৷
ছবি: KUS-Projekt
সাইকেলে কিউবা ঘুরে বেড়ানো
সাইকেল চালিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই কিউবার বিখ্যাত তামাক উৎপাদনকারী এলাকায় চলে যায়৷ সেখানে তারা কিউবার শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করে, গল্প করে, আর আড্ডা মারতে মারতে ঘুরে দেখে রাজধানী হাভানা৷
ছবি: KUS-Projekt
দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে ঘরে ফেরা
সব শেষে বারমুডা এবং আৎসোরেন দ্বীপে ছোট্ট একটা বিরতির পর শিক্ষার্থীরা ফিরে আসে নিজ দেশে৷ সাগরে দীর্ঘদিনের এই শিক্ষা ভ্রমণ ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় তো কাজে লাগবেই, একজন সম্পূর্ণ মানুষ হতেও হয়ত সাহায্য করবে অনেকটাই৷
ছবি: KUS-Projekt
10 ছবি1 | 10
মেরিন ইকোলজিস্ট আকো আমাদি-র মতে, এটি হলো বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন উপকূলগুলির মধ্যে একটি৷ অ্যাটলান্টিক সিটির মেগাপ্রকল্পটির ফলে ভূমিক্ষয় যে আরো ত্বরাণ্বিত হয়েছে, তার প্রমাণ আছে, এমনই ধারণা তাঁর৷ আমাদি বলেন, ‘‘আমরা কিছু কিছু জিনিস দেখছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার কারণ খুঁজে পাইনি৷ ভূমিক্ষয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে, কিন্তু তার কার্যকারণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধান করা হয়নি৷ এখানে কী ঘটছে, তা বোঝার জন্য পটভূমিটা আরো ভালোভাবে বোঝা দরকার৷ আমরা প্রতিবছরই দেখছি, এখানে যারা বাস করেন, তাদের কীভাবে আরো সরে যেতে, পিছিয়ে যেতে হচ্ছে৷ তাদের বাড়িঘর, ধনসম্পত্তি বিনষ্ট হচ্ছে – কিন্তু এখনও পর্যন্ত এর কোনো সমাধান নেই৷''
ম্যানেজার ডেভিড ফ্রেমের ধারণা, ইকো অ্যাটলান্টিক সিটি যে লাগোসের অন্যান্য শহরাঞ্চলে ভূমিক্ষয় বাড়িয়েছে, তা ঠিক নয়৷ তিনি বলেন, ‘‘নাইজেরিয়ার গোটা উপকূলই ব্যাপক ভূমিক্ষয়ের শিকার হচ্ছে৷ স্বভাবতই এটা একটা সমস্যা৷ আমাদের প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা শহরের বাণিজ্যিক এলাকাটিকে সুরক্ষিত করছি৷ কিন্তু গোটা শহরকে সুরক্ষিত করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়৷''
গবেষকদের ধারণা, আগামী ১০০ বছরে সাগরের পানি বাড়বে আরো এক মিটার৷ সেই সঙ্গে লাগোসও বেড়ে চলেছে৷ অথচ সময় আসছে ফুরিয়ে...৷