প্রমোদতরীতে ঘুরতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু এর ফলে সাগরের বাতাস দূষিত হয়৷ ইউরোপের বিজ্ঞানীরা এর সমাধানে গবেষণা করছেন৷ আর সে কাজে সাহায্য করছে একটি প্রমোদতরী৷
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞানী ইয়েন্স ইয়রথ বলেন, ‘‘ভূমধ্যসাগরের বাতাসে দূষণের মাত্রা অনেক বেশি৷ কিন্তু এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব আছে৷ আমাদের তা জানতে হবে৷ এই জাহাজ আমাদের সেই কাজে সহায়তা করে৷ কারণ, এটি সাগরের একটা বিশাল অংশে যাতায়াত করে, বিশেষ করে বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায়, যেখানে দূষণ সমস্যা আছে৷''
সাগরের পরিবেশে বায়ু দূষণের মাত্রা পরিমাপ করতে বাহন প্রয়োজন৷ কিন্তু এর জন্য পুরো একটি জাহাজ ভাড়া করা ব্যয়সাপেক্ষ৷ তাই ইউরোপীয় কমিশনের বিজ্ঞানীরা বিনামূল্যে বাণিজ্যিক একটি জাহাজের কেবিন চেয়েছিলেন এবং তাঁরা সেটা পেয়েছেন৷ ইয়রথ জানান, ‘‘২০০৬ সাল থেকে আমরা এভাবে তথ্য সংগ্রহ করছি৷ সবসময় আমরা একই সাগরে এবং কমবেশি একই রুট অনুসরণ করছি৷ এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা বছরের পর বছর যে পরিবর্তন হচ্ছে, তা বুঝতে পারি৷''
সাগর দৈত্যদের খোঁজ এবং তাদের ভবিষ্যৎ
জাহাজ মালিকেরা মহাসাগরে ভাসানো অসাধারণ সব জাহাজ নির্মাণ নিয়ে দুনিয়াজুড়েই প্রতিযোগিতা করছেন৷ এই দৌড়ে আকার-আকৃতিই একমাত্র বিষয় নয়৷ প্রযুক্তিও এখানে বিবেচ্য৷
ছবি: Reuters/F. Bimmer
আকৃতিতে এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং
হামবুর্গ পোতাশ্রয়ে যাওয়া সর্ব বৃহৎ জাহাজের রেকর্ড গড়তে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ মালবাহী জাহাজ এলবে নদী পাড়ি দিয়েছে৷ ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই জাহাজটি সাধারণত ২০ হাজার ১৭০টি কন্টেইনার বহন করে৷ তবে গভীরতা কম হওয়ায় এই নদী পাড়ি দেয়ার সময় কন্টেইনার কমাতে হয়েছে৷ জাপানের শিপিং ফার্ম মিটসুই ও.এস.কে. এই জাহাজকে ইউরোপ-পূর্ব এশিয়া রুটে নিয়মিতভাবে চালাতে চাচ্ছে৷
অন্তহীন প্রতিযোগিতা
‘ওওসিএল হংকং’ নামে একটি জাহাজ শীঘ্রই পৃথিবীর সর্ববৃহৎ কন্টেইনার শিপ মাদ্রিদ মায়ের্স্ক-এর পাশাপাশি এমওএল ট্রায়াম্ফকে ছাড়িয়ে যাবে৷ কারণ, নতুন দৈত্যাকার এই জাহাজটি ২১ হাজার কন্টেইনার বহন করতে পারে৷ সিকি শতাব্দী পূর্বে বৃহৎ মালবাহী জাহাজ ৪ হাজারের কিছু বেশি কন্টেইনার বহন করতে পারতো৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Warmuth
এত বড় যে সামলানোই কষ্ট
৪৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যের নরওয়ের তেলবাহী জাহাজ ‘জাহরে ভাইকিং-’ই এ পর্যন্ত নির্মিত সর্ব বৃহৎ জাহাজ৷ থামতে হলে জাহাজটির ৬ কি.মি. জায়গা দরকার হতো৷ পানামা খাল, সুয়েজ খাল, ইংলিশ চ্যানেলে এটা চলতেই পারতো না৷ ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মাঝের সময় এটা ভাসমান তেল সংরক্ষণাগার হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে৷ পরে এটি গুজরাটের জাহাজ ভাঙা শিল্পে বেচে দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/DPA Report
পানিতে ছোট্ট শহর
৩৬২ মিটার দৈর্ঘ্যের ‘দি হারমোনি অব দ্য সি’জ’ হচ্ছে সর্ববৃহৎ প্রমোদ তরী৷ ৬ হাজার ৩০০’র বেশি যাত্রী এই জাহাজে সময় উপভোগ করতে পারেন৷ এ প্রমোদ তরীতে কাজ করছেন ২১০০ ক্রু৷ এতে ১৬টি ডেক, ২০টি ডাইনিং রুম, ২৩টি সুইমিং পুল, সর্ব বৃহৎ ‘ওয়াটার স্লাইড’ এবং ১২ হাজার গাছ রয়েছে৷ এই জাহাজের জন্য রয়েল ক্যারিবিয়ান ক্রুজকে ১ বিলিয়নেরও বেশি ব্যয় করতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Dubray
অতি বড়লোকের ‘খেলনা’
জাহাজ মালিকদের মাঝে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় ‘সুপার ইয়ট’ ক্যাটাগরিতে৷ আরব শেখ, সোভিয়েত যুগের সম্পদ হাত করা রাশিয়ান টাকাওয়ালা, মার্কিন বিলিয়নিয়াররা এই প্রতিযোগিতা করে৷ বিলাসিতার দৌড়ে অপরকে পেছনে ফেলতে নির্মাণ চলাকালে খরচ বাড়িয়ে দিতেও তারা কুণ্ঠা করে না৷ এক সৌদি শেখের ১৮০ মিটার লম্বা একটি ইয়ট রয়েছে, যাতে বিমান নামার জায়গা রয়েছে৷ রয়েছে মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সাবমেরিন৷
ছবি: Imago/TheYachtPhoto.com
রোম্যানটিকদের ভ্রমণ-জাহাজ
সাগর-যাত্রায় থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ইয়টকে ‘সেইলিং ইয়ট এ’ বলা হয়৷ ডিজাইনার ফিলিপ স্টার্ক এটা বানিয়েছেন৷ রাশিয়ান বিলিয়নিয়ার আন্দ্রে মেলনিশেঙ্কো এটার মালিক৷ ৩ হাজার ৭৪৭ বর্গমিটার জায়গা নেয়া এই ইয়টটি একটি ফুটবল মাঠের অর্ধেক৷ এটার আটটি ডেক, তিনটি সুইমিংপুল এবং জাহাজের তলদেশের নীচে একটি ডুবো পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Heimken
সবচেয়ে বেশি খরচে যুদ্ধ জাহাজ
প্রধান জাহাজ হিসাবে এ বছরের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-বহরে ‘দি জেরাল্ড আর ফোর্ড’ যুক্ত হয়েছে৷ এর জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীকে ১৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে৷ বাষ্পচালিত পদ্ধতির পরিবর্তে তড়িৎ-চুম্বকীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে এই জাহাজ আরও দক্ষতার সাথে এবং দ্রুত গতিতে যুদ্ধবিমানকে ধাবিত করতে পারবে৷
ছবি: Imago/Zumapress/C. Delano
যেখানে দিশারী রাশিয়া
তিন মিটার পুরু সুমেরু’র বরফখণ্ড৷ রাশিয়ার আনবিক শক্তি সম্পন্ন বরফভাঙা-আর্কটিকার জন্য এটা কোনো ব্যাপারই না৷ দেশটির গণমাধ্যম বলছে, নিজস্ব ধরণে এটা সবচেয়ে শক্তিশালী জাহাজ, যা এ বছরের শেষের দিকে কাজে নামবে৷ তারপর এটাকে সুমেরুর তেল ও গ্যাসক্ষেত্রে মোতায়েন করা হবে৷ যার কাজ হবে রাশিয়ান ট্যাঙ্কারগুলো আটকে গেলে ছাড়িয়ে দেয়া৷ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশটি এ ধরণের আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ বানাতে চায়৷
ছবি: picture alliance / dpa
শিথিল পেশীর মানুষ
‘থিয়াল্ফ’ সম্ভবত এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নির্মাণ-জাহাজ৷ উপকূলের কাছাকাছি জায়গায় নির্মাণে এটা ১৪ হাজার টনের ভার বহন করতে পারে৷ কাজের জন্য এটা ৮৭ ফিট নীচে স্থির হতে পারে৷ এটা খুব শক্তিশালী হলেও গতি খুবই কম৷ এটা কেবল ঘণ্টায় ১১ কি. মি. চলতে পারে৷
ছবি: BoH/GPL
বৃহত্তম পরিবহণ জাহাজ
ভাসমান তেলের রিগ বা একটা পূর্ণ জাহাজও নিয়ম মেনে নাড়ানো যায়৷ শক্তিশালী এই জাহাজ সাগরে ডুব দেয়, মাল নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসে৷ এরপর জাহাজ নিজেকেই তুলে আনে৷ পৃথিবীর বৃহত্তম পরিবহণ জাহাজটির দৈর্ঘ্য ২৭৫ মিটার৷
ছবি: Boskalis
পানিতলে অচিন দেশে
ক্যানাডিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন ‘চ্যালেঞ্জার ডিপ’ নামে পরিচিত ‘ডিপসি চ্যালেঞ্জার’ দিয়ে সবচেয়ে গভীর জলে ডুব দেন৷ যেটা প্রশান্ত মহাসাগরে ১০ হাজার ৯৮৪ মিটার গভীরে অবস্থিত৷ ২০০৫ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে গোপনে অস্ট্রেলিয়ায় সাবমেরিন তৈরি করা হয়৷ একটি বদ্ধঘর হলেও যাত্রীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ, তারা ১০৬ মিটার ব্যাসের একটি শক্তিশালী স্টিল বলে বসেন৷
ছবি: REUTERS
যেখানে মানুষই অপ্রয়োজনীয়
আকৃতিই সবকিছু নয়৷ ভবিষ্যতের জাহাজ বিজলী চালিত হবে৷ থাকবে না কোনো ক্রু৷ আগামী বছর নরওয়ে প্রথম স্ব-চালিত ই-কন্টেইনার জাহাজের প্রথম পরীক্ষা করতে যাচ্ছে৷ ‘ইয়ারা বের্কেল্যান্ড’ নরওয়ের উপকূল বরাবর সার পরিবহণ করবে৷ এটাতে অবশ্য একজন ক্যাপ্টেন থাকবে৷ ২০১৯ সাল থেকে এটি রিমোট টিপে চালানো হবে৷ ২০২০ সাল থেকে এটি নিজে নিজেই চলবে৷
ছবি: Yara International
12 ছবি1 | 12
বড় শহর, সেখানকার সড়কে চলা যানবাহন আর জাহাজ থেকে সাগরের বায়ু দূষিত হয়৷ বিজ্ঞানীরা অবশ্য জাহাজে থাকেন না৷ তাঁরা শুধু মাঝেমধ্যে যন্ত্রপাতি ঠিক আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখেন৷ ‘‘ডেকের উপর থাকা দুটি টিউব দিয়ে বাতাস ভেতরে ঢোকানো হয়৷ একটা দিয়ে গ্যাস, অন্যটা দিয়ে কণা পরিমাপ করা হয়৷ এরপর সেগুলো বিশ্লেষণ করে সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও ধোঁয়ার পরিমাণ জানতে পারি আমরা৷ সবশেষে একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কার্বন মনোক্সাইড, ওজন ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়,'' জানালেন ইয়রথ৷
জাহাজ সাগর কিংবা বন্দর যেখানেই থাকুকনা কেন, যন্ত্র সবসময় তথ্য সংগ্রহ করে৷ এরপর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তা সদরদপ্তরে পাঠানো হয়৷ সেখানে কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে দূষণের পরিমাণ জানা যায়৷ আরেক গবেষক পেড্রো মিগুয়েল রোচা বলেন, ‘‘এই ব্যবস্থার কারণে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা জাহাজে উপস্থিত না থেকেও আমরা সহজেই তথ্য পেতে পারি৷ ফলে আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়৷''
সাগর থেকে পাওয়া তথ্য বিজ্ঞানীদের তথ্যের ঘাটতি দূর করে৷ এছাড়া কোনো বিষয়ে নীতি পরিবর্তন কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা-ও বুঝতে পারেন তাঁরা৷
সাগরে বায়ু দূষণের অন্যতম বড় কারণ জাহাজ চলাচল৷ তবে অন্তত এই জাহাজে থাকা ল্যাব সাগরের বাতাস কীভাবে পরিশুদ্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে সাহায্য করছে৷
চলুন যাই ‘ক্রুজ শিপ’-এ
‘ক্রুজ শিপ’ বা বিলাসবহুল প্রমোদতরী তৈরিতে এগিয়ে আছে ইউরোপ৷ এসব জাহাজে করে ভ্রমণে আগ্রহীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ নতুন জাহাজ তৈরিতে পরিবেশের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F.Dubray
জনপ্রিয়তা বাড়ছে
চলতি বছর প্রায় আড়াই কোটি মানুষ ‘ক্রুজ শিপ’ অর্থাৎ বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে ভ্রমণ করবেন বলে জানিয়েছে ‘ক্রুজ লাইনস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন’ বা সিএলআইএ৷ আগের বছরের চেয়ে সংখ্যাটি প্রায় ১০ লক্ষ বেশি৷ এই সময়ে ২৬টি নতুন ক্রুজ শিপ পানিতে নামবে বলেও জানিয়েছে সিএলআইএ৷ এর মধ্যে ১২টি গভীর সমুদ্রে যাওয়া জাহাজ আছে৷ আর বাকিগুলোর মধ্যে আছে নদীতে চলবে এমন জাহাজ ও বিশেষায়িত নৌকা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Herrera
মেড ইন জার্মানি
এ বছর যে জাহাজগুলো চলাচল শুরু করবে তার প্রতি চারটির মধ্য একটি জার্মান শিপইয়ার্ড বা তার সাবসিডিয়ারিতে তৈরি হবে৷ নতুন জাহাজগুলো ২৮ হাজারেরও বেশি যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Marks
ইউরোপীয়দের প্রাধান্য
ইটালির ফিনকানতিয়েরি, ফ্রান্সের এসটিএক্স ও জার্মানির মায়ার ভ্যার্ফট (ছবি) - এই তিন শিপইয়ার্ডেই বেশিরভাগ বিলাসবহুল প্রমোদতরী নির্মাণ করা হয়৷ ২০১৬ সালের শুরু পর্যন্ত ফিনকানতিয়েরি-র কাছে ২৪টি, মায়ার ভ্যার্ফটের কাছে ২১টি ও এসটিএক্স ফ্রান্সের কাছে ১২টি জাহাজ তৈরির কার্যাদেশ ছিল৷
ছবি: Meyer Werft
পরিবেশের ক্ষতি কমানোর লক্ষ্য
নতুন যে জাহাজগুলো তৈরি হচ্ছে সেগুলোতে জ্বালানি তেলের পরিবর্তে এলএনজি অর্থাৎ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হবে৷ এছাড়া থাকবে ইলেকট্রিক মোটর, এলইডি বাতি ইত্যাদি৷ জাহাজের কাঠামোর কোটিংয়েও পরিবর্তন আনা হবে৷ এছাড়া জাহাজ তৈরিতে অপেক্ষাকৃত হালকা ওজনের ধাতু ব্যবহারের মাধ্যমে একে জ্বালানি সাশ্রয়ী করে তোলা হবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/I. Wagner
সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী
নাম ‘হারমোনি অফ দ্য সিজ’৷ দৈর্ঘ্য ৩৬২ মিটার আর প্রস্থ ৬৬ মিটার৷ আছে ১৬টি ডেক, ২০টি খাবার ঘর, ২৩টি সুইমিং পুল৷ প্রায় ১২ হাজার গাছ সমৃদ্ধ একটি পার্কও আছে জাহাজটিতে৷ ৫,৪৮০ জন যাত্রী আর ২,০০০ জন ক্রু পরিবহণে সক্ষম এটি৷ ‘রয়েল ক্যারিবিয়ান ক্রুজ’ জাহাজটি তৈরিতে এসটিএক্স ফ্রান্সকে এক বিলিয়ন ইউরোর বেশি অর্থ দিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F.Dubray
ভালো দিন নয়
১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল ক্রুজ শিপের ইতিহাসে বেদনাদায়ক এক দিন৷ সেদিন ‘টাইটানিক’ ডুবে গিয়েছিল৷ ২৬৯ মিটার দীর্ঘ জাহাজটিতে নয়টি ডেক ছিল৷ দুর্ঘটনার সময় টাইটানিকে প্রায় ২,২০০ মানুষ ছিলেন৷ এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন প্রাণ হারান৷ দুর্ঘটনায় পড়ার এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের মধ্যে অন্য একটি জাহাজ উপস্থিত হলেও টাইটানিকে সবার জন্য লাইফবোট না থাকায় এতজনের মৃত্যু হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্রুজ জাহাজ নির্মাণে চীন?
২০১৬ সালে প্রায় ১০ লক্ষ চীনা নাগরিক প্রমোদতরীরে ভ্রমণ করেছেন৷ ২০৩০ সালের মধ্যে সংখ্যাটি ৮০ লক্ষ হতে পারে৷ তাই চীনা শিপইয়ার্ডগুলো ক্রুজ জাহাজ তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে৷ ২০১৫ সালে ইটালির ফিনকানতিয়েরি ‘চায়না শিপবিল্ডিং কর্পোরেশন’ এর সঙ্গে একটি যৌথ কোম্পানি গড়ে তুলেছে৷ তারা চীনা বাজারের জন্য জাহাজ তৈরি করবে৷