1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগর-রুনি হত্যা

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২

সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের পর দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পার হয়ে গেছে৷ কিন্তু খুনীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে৷ সাংবাদিকরাও এখন ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়৷ এখন প্রয়োজন সাংবাদিকদের বৃহৎ ঐক্য৷

Protest against Journalist couple murder in Dhaka Journalists on Sunday warned of waging a movement for the resignation of the home minister if the killers of the journalist couple Sagar Sarowar and Meherun Runi are not arrested in 24 hours. Sagar Sarowar worked for DW (Bengali) as editor from 2008 to 2011. He left DW last year. DW correspondent Harun Ur Rashid Swapan shared these photos for online use.
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন সাগর ও রুনি৷ গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঘাতকদের হাতে তাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সংবাদ কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তা এবং আতঙ্ক৷ উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে দেশের নানা জায়গায় সংবাদ কর্মীরা খুনের শিকার হয়েছে৷ তাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন এভাবে কেন খুন হচ্ছেন সাংবাদিকরা? প্রশ্নটি করেছিলাম অনলাইন পত্রিকা বার্তা টোয়েন্টিফোর এর সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমদকে৷ জবাবে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত সাংবাদিক খুন হয়েছে তার কোনটির বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি৷ সব সরকারের আমলেই এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং সেগুলোর কোন বিচার হয়নি৷ তাই এই খুনের মাত্রা বেড়েছে বলে আমি মনে করি৷''

সাংবাদিক সরদার ফরিদ আহমদছবি: DW

সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্যের কোন কুল কিনারা করতে পারেনি পুলিশ৷ তার চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতা৷ সরকারের সর্বোচ্চ মহলের পক্ষ থেকেও যখন এই ঘটনা নিয়ে দায় এড়ানোর মত কথা বলা হয়, তখন সাংবাদিকরা তাদের পেশা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়৷ তাদের মধ্যে তৈরি হয় চরম নিরাপত্তাহীনতা, যা গণমাধ্যমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে৷ এই ব্যাপারে সাংবাদিক ফরিদ আহমদ বলেন, ‘‘এমন নির্মমভাবে দুইজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে যারা ঢাকার সাংবাদিক মহলে পরিচিত মুখ ছিলেন৷ এতদিন পার হয়ে গেলো, কিন্তু কোন কিছু করা হলো না৷ এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও বললেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে কিন্তু কাউকে এখনও ধরা গেল না৷ এই অবস্থায় আমরা আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ৷ এর সমাধান যদি না হয় তাহলে ভবিষ্যতে মিডিয়ার ওপর এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে৷ এটি এখন এমন প্রান্তিক অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে এটির একটি সুরাহা হওয়া উচিত৷''

এই ছবি এখন শুধুই স্মৃতিছবি: DW

পেশাগত কারণেই সাংবাদিকতায় ঝুঁকি অনেক, কিন্তু তার সঙ্গে যখন যোগ হয় প্রশাসনের নগ্ন উদাসীনতা, তখন সাংবাদিকরা অসহায় হয়ে পড়ে৷ এই অবস্থাতে সাংবাদিকদের ঐক্যের কোন বিকল্প থাকে না৷ নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাংবাদিক মহল অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছিলো৷ তারপর থেকে সাংবাদিকরা দুই রাজনৈতিক শিবিরে বিভক্ত৷ এর ফলেই সাংবাদিকদের দুর্ভোগ কমছে না বলে মনে করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমদ৷

সাগর রুনির হত্যার পর বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তাটা আজ সবচেয়ে বেশিই যেন অনুভূত হচ্ছে৷ তবে সেটি নির্ভর করছে এই পেশাজীবীদের ওপরই৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ