1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাগর-রুনি হত্যা

৪ মার্চ ২০১২

বাংলাদেশে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ কয়েকদিন তোলপাড় দেখা গেছে৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের আন্দোলন দানা বাঁধছে৷ এদিকে প্রবাসী বাঙ্গালীদের মধ্যে এই হত্যার বিচারের দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে৷

Former DW Editor Sagar Sarowar with his wife and son: Mr Sarowar was killed in Dhaka with his wife on February 11, 2012. Foto: Mohammad Zahidul Haque
ছবি: DW

গত ১০ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক সাগর সরওয়ার এবং মেহেরুন রুনিকে হত্যার পর এখনও খুনিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ তাই দিন দিন এই ঘটনা নিয়ে জনমনে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে৷ কেবল দেশে নয় বিদেশেও এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে৷ নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ এই অবস্থায় প্রবাসী বাঙ্গালীরাও এই ঘটনার বিচারের জন্য সোচ্চার হয়েছে৷ ইউরোপ অ্যামেরিকার বেশ কয়েকটি জায়গায় এখন পর্যন্ত প্রবাসীরা এই হত্যার বিচার দাবিতে কর্মসূচী পালন করেছে৷ শনিবার জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে সাগর-রুনির শোকসভা পরিণত হয় প্রতিবাদ সভাতেও৷ এতদিন পরও পুলিশ হত্যাকারীদের কোন খোঁজ না পাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ তাদের একজন লিপি আহমেদ৷ হ্যানোভার থেকে তিনি ছুটে গিয়েছেন এই সভায় যোগ দিতে৷ তিনি বলেন, ‘‘কিছুদিন আগে বলা হলো যে আমরা সব রহস্য উদ্ধার করে ফেলেছি৷ তারপর কিন্তু আর কোন কিছু বলা হচ্ছে না৷ তাই স্বাভাবিকভাবে একটি প্রশ্ন চলেই আসে যে আসলে কী লুকানো হচ্ছে? আমরা কিন্তু এই ঘটনার পেছনে সব কিছু জানতে চাচ্ছি৷ আমরা চাই না সাগর রুনির মত আর কোন ঘটনা ঘটুক৷''

সাগর-রুনির মৃত্যুতে শোক সাংবাদিক মহলেছবি: Harun Ur Rashid Swapan

লিপি আহমেদের মত আরও অনেক বাঙ্গালী ফ্রাঙ্কফুর্টের এই সভায় যোগ দেন যারা অন্যান্য শহরে বাস করেন৷ অনেক অবাঙ্গালী এসে এতে সমবেদনা জানিয়েছেন৷ তাদের একজন ভারতের আনোয়ার জামাল আশরাফ৷ সাগর সরওয়ার সম্পর্কে তার মূল্যায়ন, ‘‘তিনি একজন বড় সাংবাদিক ছিলেন, এই কারণেই বিশ্বের অনেক বড় বড় সংবাদ মাধ্যমেও এই খবরটি জায়গা পেয়েছে৷ যেমন ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল ও ওয়াশিংটন পোস্টের কথা বলতে পারি৷ তার চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ঘটনার পর বাংলাদেশের সরকার দুই দিনের কথা বললো, অথচ ২২ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও তারা কিছুই করতে পারে নি৷''

সাগর-রুনির এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে নতুন করে একটি সামাজিক আন্দোলনের কথা ভাবছে প্রবাসী বাঙ্গালীরা৷ এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাজহারুল ইসলাম রানা বললেন, ‘‘প্রবাসী বাঙ্গালিরা এই হত্যাকাণ্ডকে বিশেষভাবে দেখতে চায় কারণ এই ধরণের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন না৷ তাছাড়া সাগর আমাদের অনেক ঘনিষ্ঠ ছিল৷ তাই এই ধরণের ঘটনা ঘটলে তার পরিবার ও স্বজনদের ওপর কী অবস্থা নেমে আসে তার কিছুটা এখন আমি টের পাচ্ছি৷ এই সমস্যাটা একদিনে তৈরি হয়নি বাংলাদেশে৷ এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য আগে আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে৷ তবে এই পরিবর্তন আনতে সময় লাগবে৷ কিন্তু আমরা শুরু করেছি এবং একটা ফলাফল নিয়ে আসবো৷''

সাগর সরওয়ারের সাবেক সহকর্মী আনোয়ার জামাল আশরাফছবি: Liesegang/DW

সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের পর কেবল বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজে নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও নিরাপত্তাহীনতা আরও বেড়ে গেছে৷ এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে প্রবাসী বাঙ্গালীদের দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণ প্রয়োজন৷ বাংলাদেশের সাংবাদিক মহলের মত দ্বিধাবিভক্তি এড়াতে পারলে প্রবাসীদের পক্ষে একটি ভালো ফল নিয়ে আসা সম্ভব হবে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ