সাগর-রুনি হত্যা
২৩ ডিসেম্বর ২০১২![Bangladeshi Journalists observed a token hunger strike in Dhaka and all over the country to mount pressure on the government to identify, arrest and try the killers of the DW former Editor Sagar Sarwar and his wife Meherun Runi, who were killed in their house in Dhaka on February 11, 2012. Copyright: DW/Harun Ur Rashid Swapan](https://static.dw.com/image/15777400_800.webp)
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক বছর হতে চলল৷ কিন্তু এখনও হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হয়নি৷ প্রকৃত দোষীদেরও আটক করা হয়নি৷ .ব্যাব, পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এই বিচার নিয়ে তামাশা করছেন৷ রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত গণ-অনশন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন সাংবাদিক নেতারা৷ সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আগামীতে ধর্মঘট, সংবাদ পরিবেশন বন্ধ ও মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আন্দোলনকারী সাংবাদিক নেতারা৷
সাংবাদিকদের শীর্ষ চার সংগঠনের আয়োজনে রবিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দিনব্যাপী এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়৷ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দুই অংশ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুটি অংশ, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক সাংবাদিক বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন৷
বিএফইউজের একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, সাগর-রুনি হত্যার প্রকৃত অপরাধীরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি৷ যারা তাদের হত্যা করেছে, তাদের নাম দ্রুত প্রকাশ, গ্রেপ্তার ও বিচার করতে হবে৷ তদন্তের নামে যে দীর্ঘসূত্রতা চলছে সাংবাদিক সমাজ তা মেনে নেবে না৷ খুনিদের আড়ালের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন এই সাংবাদিক নেতা৷ তিনি বলেন, যতদিন পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে, স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা না হবে, ততদিন সাংবাদিকরা আন্দোলন করে যাবে৷
বিএফইউজের অপর অংশের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, সরকার সাংবাদিক দম্পতি হত্যার তদন্তের নামে টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করছে৷ পুলিশ-.ব্যাব হত্যাকারীদের ধরতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সবাই সাংবাদিকদের সঙ্গে তামাশা করছেন৷ এ হত্যার বিচার না হলে গণমাধ্যম মুক্ত হবে না৷
প্রসঙ্গত, মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে নিজ বাসায় খুন হন৷ গত ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন আটজনকে শনাক্ত করা হয়েছে৷ সাগর-রুনি হত্যকাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ওই বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো৷